বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৫

লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত



লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার দইখাওয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে অমূল্য চন্দ্র বর্মণ নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোর ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দইখাওয়া সীমান্তের ৯০১নং মেইন পিলারের ৬ নম্বর সাবপিলার সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহত অমূল্য চন্দ্র বর্মণ (৩৮) হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের দইখাওয়া এলাকার মহেশ চন্দ্র বর্মণের ছেলে।

এলাকাবাসী ও বিজিবি জানান, হাতীবান্ধা উপজেলার দইখাওয়া সীমান্তের ৯০১ নম্বর মেইন পিলারের ৬নং সাব পিলার সীমান্তে ৬/৭ জনের গরু ব্যবসায়ীর একটি দল সীমান্তের তারকাঁটা কাটার সময় ভারতের কোচবিহার ২১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বড়মরিচা ক্যাম্পের বিএসএফের একটি টহল দল তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে অমূল্য বর্মণ গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। অন্য গরু ব্যবসায়ীরা নিহতের লাশ টেনে হেচড়ে তার বাড়িতে নিয়ে আসে।

লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আহমদ বজলুর রহমান হায়াতী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিএসএফের গুলিতে গরু ব্যবসায়ী অমূল্য মারা যাছেন। এ ঘটনায় বিএসএফের কাছে কড়া প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়েছে এবং পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে।

বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৫

চট্টগ্রামে হত্যা মামলার আসামী ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপতার



চট্টগ্রামে হত্যা মামলার আসামী ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপতার

চট্টগ্রাম নগরীর রেলের টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে সিআরবিতে জোড়া খুনের অন্যতম আসামি বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নগরীর গোয়ালপাড়া থেকে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক এএসপি সাহেদা সুলতানা।

জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ জুন রেলের ৫৮ লাখ টাকার টেন্ডার জমাদানকে কেন্দ্র করে সিআরবি এলাকায় যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল আকবর বাবর ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা (পরে বহিষ্কার) নেতা সাইফুল আলম লিমন গ্রুপের গোলাগুলিতে যুবলীগকর্মী সাজু পালিত ও আট বছর বয়সী স্থানীয় শিশু আরমান হোসেন টুটুল নিহত হয়। ওই ঘটনায় কোতয়ালী থানার এসআই মহিবুর রহমান বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ও ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমনহ দু’পক্ষের ৮৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন। সোমবার এ মামলায় পুলিশ বাবর ও লিমনকে অভিযুক্ত করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৬২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।