শুক্রবার, ২৬ জুন, ২০১৫

The International Committee

The International Committee for Breaking the Siege of Gaza has confirmed that all the necessary measures and arrangements have been made for the Freedom Flotilla III boats and ships to begin their journey towards Gaza.

They added that the weather conditions that delayed the flotilla from setting off from Greece have cleared and that the flotilla can set sail to Gaza in the next few hours.

Zaher Birawi, head of the committee, said that a number of the flotilla's participants have left their hotels and are heading to board the ships. He added that the rest will head to where their ships are docked tomorrow morning.

বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন, ২০১৫

মাদারিপুর

পঞ্চদশ শতাব্দীর সুফি সাধক বদর উদ্দিন শাহ মাদার (রঃ)এর নাম অনুসারে মাদারিপুর জেলার নামকরণ করা হয়।

একে-৪৭ /ak-47

একে-৪৭ বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র। এটি একটি গ্যাস পরিচালিত স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র। এর ডিজাইনার রাশিয়ার (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) মিখাইল কালাশনিকভ। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটিরও অধিক এই অস্ত্র বিক্রি হয়েছে এবং বিশ্বের প্রায় ৫০ টিরও বেশি দেশের সামরিক বাহিনীতে এটি ব্যাবহ্ত্রত হচ্ছে। যা কিনা দুনিয়ার সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত এবং জনপ্রিয় রাইফেল। একে ৪৭ এর জনপ্রিয়তার অন্যতম কারন এর সহজ ব্যবহার,নির্ভরতা ও রক্ষানাবেক্ষন ইত্যাদি। এটাকে বিশ্বের প্রথম কার্যকর অটোমেটিক রাইফেল বলা হয়। ১৯৫১সাল থেকে এখনও এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সৈন্যদের মধ্যে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তার মূল কারণ এটি জলে ভিজিয়ে, ধুলাতে রেখে বা এর উপর দিয়ে রাস্তা মেরামতের রোলার চালানোর পরও এটিকে আগের মতই ব্যাবহার করা যায়,যা এর সমপর্যায়ের অন্যান্য অস্ত্রের ক্ষেত্রে অসম্ভব।গুনাবলিসম্পাদনা

একে ৪৭ এর অন্যতম বৈশিষ্ট হল এর বুলেট এর মারাত্বক ভেদন ক্ষমতা ,এটি ৭.৬২*৩৯ মি.মি বুলেটকে ৭১৫ মিটার/সেকেন্ডে ছুড়ে যা ৮ ইঞ্চি কাঠ এবং ৫ ইন্চি কনন্ক্রিট ভেদ করতে পারে। এছাড়া এতে কষ্টমাইজ বুলেট ব্যবহার করা যায়। এতে সিঙ্গেল শট, ব্রাস্ট অব ফায়ার এবং গ্রেনেড ছুড়ার সুবিধা আছে । নির্ভরতার দিক দিয়ে আজও একে ৪৭ অনন্য। একে ৪৭ এ কখনো ব্যাক ফায়ার হয় না। এটিকে দুনিয়ার যেকোন স্থানে ব্যবহার করা যায়। তীব্র শীত,গরম,ভেজা আবহওয়াতেই এর কিছু হয় না। অন্যান্য রাইফেলের তুলনায় একে-৪৭ জ্যাম হবার রেটও কম। বর্তমান বিশ্বের সব দেশই একে ৪৭ বা এর বিভিন্ন সংস্করনের রাইফেল ব্যবহার করে থাকে। বাংলাদেশে সেনাবাহিনীতে একে ৪৭ এর চাইনিজ সংস্করন টাইপ ৫৬ ব্যবহৃত হয়। কালাশনিকভের পূর্ণ নাম মিখাইল তিমোফিয়েভিচ কালাশনিকভ। তিনি সাবেক সোভিয়েট সেনাবাহিনীর একজন লে. জেনারেল। ১৯১৯ সালের ১০ নভেম্বর সাইবেরিয়ার আলতাই অঞ্চলে কুরিয়া নামে একটি গ্রামে কৃষক পরিবারে তার জন্ম। তিমোফেল ও আলেকসান্দ্রা কালাশনিকভ দম্পতির তিনি সপ্তদশ সন্তান। ১৯৩৮ সালে তিনি সোভিয়েট রেড আর্মিতে যোগদান করেন। ২৪তম ট্যাংক রেজিমেন্টের সিনিয়র ট্যাংক কমান্ডার হিসাবে পদোন্নতি পান তিনি। ১৯৪১ সালের অক্টোবরে ব্রায়ানস্কে তিনি জার্মান বাহিনীর গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন। আহত হওয়ায় তিনি ৬ মাস ছুটিতে ছিলেন। জার্মানদের হাতে উন্নততর অস্ত্র থাকায় রাতে তার সুনিদ্্রা হতো না। ছুটিতে থাকাকালে একটি নয়া কারবাইন তৈরির ধারণা তার মাথায় আসে। নিজের ধারণাকে কাজে লাগাতে তিনি মাতাই অস্ত্র কারখানায় যান। কর্তৃপক্ষ তাকে তার উদ্ভাবনী ক্ষমতা ব্যবহারের সুযোগ দেয়। তিনি আমেরিকান এম-১ এবং জার্মান এসআইজি-৪৪ এর ডিজাইনের সর্বোত্তম কৌশলের সমন্বয়ে একটি স্বয়ংক্রিয় রাইফেল তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৪৪ সালে তিনি একটি কারবাইনের ডিজাইন তৈরি করেন। যৌবনে ইজভেস্ক অস্ত্র কারখানায় ডিজাযৌবনে ইজভেস্ক অস্ত্র কারখানায় ডিজাইন নিয়ে ব্যস্ত মিখাইল কালাশনিকভ

কিন্তু তার ডিজাইন কর্তৃপক্ষের পছন্দ হয়নি। তবে ব্যর্থ হলেও তিনি দমে যাননি। ১৯৪৬ সালে তার উদ্ভাবিত একে-৪৭ রাইফেলের পূর্ববর্তী সংস্করণ ‘একে-৪৬’ সরকারিভাবে সামরিক বাহিনীতে পরীক্ষা করা হয়। ১৯৪৭ সালে রেড আর্মির কয়েকটি নির্দিষ্ট ইউনিটে তার রাইফেল গ্রহণ করা হয়। ১৯৪৯ সালে প্রতি মিনিটে ৬ শ’ গুলিবর্ষণে সক্ষম তার উদ্ভাবিত রাইফেল সোভিয়েট সেনাবাহিনীতে পূর্ণমাত্রায় চালু করা হয়। দুই বছরের মধ্যে একে-৪৭ সোভিয়েট সেনাবাহিনীতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। সে সময় থেকে এ রাইফেল সোভিয়েট ইউনিয়নের একটি অন্যতম রপ্তানি সামগ্রীতে পরিণত হয়। একে-৪৭ রাইফেল অত্যন্ত কার্যকর ও নির্ভরযোগ্য হওয়ায় ভিয়েতনাম যুদ্ধে মার্কিন বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি এম-১৬ রাইফেল ফেলে দিয়ে এ অস্ত্র গ্রহণ করে। এ পর্যন্ত এক কোটির বেশি একে-৪৭ রাইফেল নির্মাণ করা হয়েছে। ৫০টির বেশি দেশ এবং অসংখ্য গেরিলা গ্রুপ এ অস্ত্র ব্যবহার করছে। তবে সাবেক ওয়ারশ জোটভুক্ত দেশগুলোতে পাইরেসি হওয়ায় সোভিয়েত ইউনিয়নের ক্ষতি হয় ২ শ’ কোটি ডলার। আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও সোভিয়েট যুগে একে-৪৭ রাইফেলের প্যাটেন্ট সংরক্ষণ না করায় কালাশনিকভ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। ১৯৯১ সালে স্বত্ব সংরক্ষণ করার আইনি লড়াইয়ে তিনি হেরে যান। ১৯৪৯ সাল থেকে তিনি উদমার্টিয়ার ইজভেস্কে বসবাস করছেন। ৭ দশমিক ৬২ এমএম ক্যালিবারের এ রাইফেল উদ্ভাবনের জন্য তিনি স্টালিন হন.

 গত ২০০৯ সালের ১০ নভেম্বর জন্মদিনে রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ তার হাতে ‘হিরো অব রাশা’ পদক তুলে দেন। পদক প্রদান অনুষ্ঠানে কালাশনিকভ নিজের লেখা একটি দেশাত্মবোধক কবিতা আবৃত্তি করেন। আরেকটি অজানা বিষয় মারণাস্ত্রের জনক কালাশনিকভ একজন সৌখিন কবি। এ পর্যন্ত তার ৬টি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৩ সালে ৯৪ বছর বয়সে রাশিয়ার উদমুরত প্রজাতন্ত্রের রাজধানী ইজহভস্কে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে যেটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যুর কারণ হিসেবে দেখা হয়, সেই একে-৪৭ এর উদ্ভাবক মিখাইল কালাশনিকভ।প্রস্তুতকারি দেশ:সোভিয়েত রাশিয়া

আবিষ্কারক:মিখাইল কালাশানিকভ
ডিজাইনের বছর:১৯৪৭
কার্টিজ: ৭.৬২×৩৯মিমি
রেট অফ ফায়ার:৬০০ রা/মি
কার্যকর দুরত্ব:৩০০মি
ওজন:৪.৩ কেজি
দৈর্ঘ্য:৮৭০ মিমি

ব্যবহারকারী দেশ সমুহসম্পাদনা

 আলজেরিয়া
 পেরু
 আজারবাইজান
 বেলারুশ
 বাংলাদেশ
 কিউবা
 হাঙ্গেরি
 ভারত
 ইসরাইল
 ইরান
 কাজাখস্তান
 মালয়েশিয়া
 লেবানন
 মায়ানমার
 উত্তর কোরিয়া
 পোল্যান্ড
 রাশিয়া
 সার্বিয়া
 স্লোভাকিয়া
 সুদান
 দক্ষিণ সুদান
 সিরিয়া
 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
 তুর্কমেনিস্তান
 ইউক্রেন
 কিরগিজিস্তান
 উজবেকিস্তান
 চেকোস্লোভাকিয়া/ চেক প্রজাতন্ত্র
 পূর্ব জার্মানি/ জার্মানি
 ইরাক
 মলদোভা
 রোমানিয়া
 সোভিয়েত ইউনিয়ন
 যুগোশ্লাভিয়া
 জর্জিয়া

বিজয় মুমিনদের জন্য লিখিত


বিজয় মুমিনদের জন্য লিখিত, এটা আল্লাহ্‌র ওয়াদা। আল্লাহ্‌ সুভহানা তায়ালা বলেন,

“এবং কিছুতেই আল্লাহ কাফেরদেরকে মুসলমানদের উপর বিজয় দান করবেন না।” [নিসা ১৪১]

তবে সে বিজয় শর্তহীন নয়, শর্ত সাপেক্ষ্য। মহান আল্লাহ্‌ বলেন,

“তোমরা কখনো হীনমন্যতায় ভুগবেনা ও দুঃখিতও হবেনা বরং তোমরাই হবে বিজয়ী যদি তোমরা মুমিন হও” [সুরাহ ইমরান, ১৩৯]

কে মুমিন আর কে মুমিন না আল্লাহ্‌ তা কিভাবে জানবেন? আল্লাহ্‌ তো সবার অন্তরের খবর রাখেন। তাহলে আল্লাহ্‌ সুভহানা তায়ালা কি অন্তরের অবস্থা বিবেচনা করেই মুমিনদের জয় পরাজয় নির্ধারিত করে দিবেন? না, তিনি তা করবেন না। বরং তিনি মুমিনদের জন্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করবেন। আল্লাহ্‌ পাক কোরআনে বলেন,

“তোমাদের কি ধারণা, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ আল্লাহ এখনও দেখেননি তোমাদের মধ্যে কারা জেহাদ করেছে এবং কারা ধৈর্য্যশীল।” সুরাহ আলে ইমরান ১৪২

আল্লাহ্‌ সুভহানা তায়ালা জান্নাতে দাখিল করার আগে জানতে চান কে তার রাস্তায় জিহাদ করে এবং কারা দুনিয়ার প্রতিকূলতার মোকাবেলায় ধৈর্য ধারণ করেন।

এবং আল্লাহ্‌ সুভহানা তায়ালা এই পদ্ধতি অনুসরণ করছেন পৃথিবীর ইতিহাসের শুরু থেকেই। তিনি বলেন,

“তোমরা মনে কর যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে অথচ আল্লাহ্‌ এখনও তোমাদের নিকট তোমাদের পূর্ববর্তীদের অনুরূপ অবস্থা আসেনি? তাদের উপর এসেছে বিপদ ও কষ্ট আর এমনি ভাবে শিহরিত হয়েছে যাতে নবী ও তার প্রতি যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে পর্যন্ত এ কথা বলতে হয়েছে যে, কখন আসবে আল্লাহর সাহায্য। তোমরা শুনে নাও আল্লাহর সাহায্য একান্ত নিকটবর্তী।” সুরাহ বাকারাহ ২১৪

সুতারাং বিজয় মুমিনদের জন্য আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে লিখিত, এটা মুমিনদের প্রতি তার একটা ওয়াদা।

বিজয় আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকেই আসবে। আমাদের অস্ত্র-সস্ত্র এর উপর বিজয় নির্ভর করবে না।

সুতারাং যারা জিহাদের জন্য অস্ত্র – সরাঞ্জাম নিয়ে চিন্তিত তাদের প্রশ্নের প্রথম জবাব- মুমিনদের বিজয় আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে আসবে যখন উনার পরীক্ষায় আমরা উত্তীর্ণ হব। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে ভারি অস্ত্র অত্যাধুনিক মরনাস্ত্র দিয়ে মুমিনদের বিজয় আসবে না।

তাহলে কি আমরা খালি হাতে জিহাদ করব?

এ প্রসংগে আল্লাহ্‌ সুভহানা তায়ালা বলেন,

তোমরা বের হয়ে পড় হালকা বা ভারী সরঞ্জামের সাথে এবং জিহাদ কর আল্লাহর পথে নিজেদের মাল ও জান দিয়ে, এটি তোমাদের জন্যে অতি উত্তম, যদি তোমরা বুঝতে পার। [সুরাহ তাওবাহ, ৪১]

আমাদের যদি অত্যাধুনিক মেশিনগান আর জঙ্গি বিমান থাকে তবে আমরা অবশ্যই তাই নিয়ে যুদ্ধ করব আর যদি আমাদের পুরাতন মরিচাধরা রাইফেল আর ঘরে বানান বোমাই সম্বল হয় তবে আমরা তাই নিয়ে জিহাদ করব। ভারী অস্ত্র সরঞ্জাম না থাকলে আমরা পরাজিত হবো কাফির মুশ্রিকদের বিরুদ্ধে এরকম যারা মনে করছেন তারা এখনও বিশ্বাশ স্থাপন করতে পারেন নাই আল্লাহ্‌র আয়াতের উপর। উপরুন্তু ভারী অস্ত্র না থাকার অযুহাতে যদি জিহাদে যাওয়া থেকে বিরত হয়, তাহলে আল্লাহ্‌ কি আমাদের হাশরের ময়দানে ক্ষমা করবেন? নিশ্চয়ই নয়।

অধিক জনবল ও ভারী অস্ত্র বরং জিহাদের পথের প্রতিবন্ধক।

বদর, উহুদ যুদ্ধে মুসলিমদের সংখ্যা ছিল কম, সাজ- সরঞ্জাম ছিল অপ্রতুল কিন্তু আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় তারা মুশরিকদের পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু হুনাইনের যুদ্ধে অধিক জনবল ও প্রচুর যুদ্ধ সরঞ্জাম থাকা স্বত্বেও মুসলিমদের বিপর্যয় সৃষ্টি হয়।অষ্টম হিজরীর শাওয়াল মাসে প্রায় বারো হাজার মুসলিম সৈন্য নিয়ে মুহাম্মদ (স) হুনাইনের অধিবাসী হাওয়াজেন ও সাকীফ গোত্রের মুকাবিলার জন্যে রওয়ানা হলেন। ঐ সময় মুসলমানদের সৈন্য সংখ্যা ছিলো বিপুল আর তাদের যুদ্ধ-সরঞ্জামও ছিলো প্রচুর। এটা দেখেই তাদের মনে পূর্ণ প্রত্যয় জন্মালো যে, দুশমনরা তাদের মুকাবিলা করতে কিছুতেই সমর্থ হবে না; বরং অচিরেই তারা ময়দান ছেড়ে পালিয়ে যাবে। এমন কি, কোনো কোনো মুসলমানের মুখ থেকে এ উক্তি পর্যন্ত বেরিয়ে পড়লো : ‘আজ আর আমাদের ওপর কে জয়লাভ করতে পারে কিন্তু এরূপ ধারণা মুসলমানদের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে কিছুমাত্রও সামঞ্জস্যশীল ছিল না। কারণ তাদের কখনো আপন শক্তি-সামর্থ্যের ওপর ভরসা করা উচিত নয়। তাদের শক্তি হওয়া উচিত শুধুমাত্র আল্লাহ তা’আলার দয়া ও করুণা। কুরআন পাকে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেছেন :

‘হুনাইনের দিনকে স্মরণ করো, যখন তোমরা নিজেদের সংখ্যাধিক্যতে তুষ্ট ছিলে; কিন্তু তাতে তোমাদের কোনো কাজ হয়নি; বরং জমিন প্রশস্ত থাকা সত্ত্বেও তা তোমাদের জন্যে সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছিলো এবং তোমরা পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে পালিয়েছিলে। অতঃপর আল্লাহ তাঁর রাসূল এবং মুসলমানদের ওপর নিজের তরফ থেকে সান্ত্বনা ও প্রশান্তির ভাবধারা নাযিল করলেন এবং তোমরা দেখতে পাওনি এমন সৈন্যবাহিনী প্রেরণ করে কাফিরদের শাস্তি দিলেন। কাফিরদের জন্যে এমনি শাস্তিই নির্ধারিত।’ (সূরা তাওবাঃ ২৫,২৬)

সুতারাং এখান থেকে স্পষ্ট জানা গেল মুসলিমদের জয়ের জন্য প্রয়োজন আল্লাহ্‌ পাকের করুণা ও রহমত, ভারী ও আধুনিক অস্ত্র সরঞ্জাম নয়।
তাহলে কি অস্ত্র সস্ত্রের কোন দরকার নেই? আমরা কি খালি হাতে যুদ্ধ করব? আর আল্লাহ্‌র গায়েবী মদদে আমরা অলৌকিক ভাবে বিজয়ী হয়ে যাব?
অবশ্যই যুদ্ধ সরঞ্জাম আমাদেরকে প্রস্তুত করতে হবে। যথা সাধ্য চেষ্টা করতে হবে সরবচ্চ প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। আমরা যদি প্রস্তুতি নিতে অবহেলা করি তাহলে আল্লহর সাহায্য পাওয়া পরের কথা, এজন্যে আমাদের আল্লাহ্‌র কাছে জবাব্দিহি করতে হবে। মহান রব্বুল আলামিন বলেন,“সত্যিই যদি তারা (আল্লাহর প্রথে জিহাদে) বের হতে চাইত, তারা এর জন্য কিছু না কিছু প্রস্তুতি নিত” –সুরা তাওবাঃ ৪৬

সুতারাং জিহাদের প্রস্তুতি নেওয়া প্রত্যেকের উপর ফরয দায়িত্ব। এবং এক্ষেত্রে কোন অবেহেলা বা হেলাফেলার জন্যে রয়েছে কঠিন শাস্তি।

তাহলে এখন বাংলাদেশে কিভাবে অস্ত্র সস্ত্র পাওয়া সম্ভব?

বাংলাদেশে অস্ত্র কিভাবে পাওয়া সম্ভব সেটা জানার আগে আমরা জানি বর্তমানে যে সমস্ত মারেকাতে জিহাদ চলছে তারা কিভাবে অস্ত্র পেয়েছে?

বর্তমানে আফগানিস্থান কে বলা হয় “দ্যা ল্যান্ড ওফ জিহাদ”। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত আফগানিস্থানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে মুজাহিদরা প্রচুর অস্ত্র কিনে, এবং পাকিস্তান সৌদি আরব সহ বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ত্র সাহায্য পায়। যুদ্ধে শেষে তা বিভিন্ন ছোট বড় মিলিশীয়া বাহিনী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কাছে অস্ত্র ছরিয়ে পরে। মোল্লা মুহাম্মদ উমর হাফিজুল্লাহ এরকমই কিছু অস্ত্র ধার করে প্রথম কান্দাহারে যুদ্ধের সূচনা করেন। পরবর্তীতে অনেকে তালিবানদের অস্ত্র দান করেন, আর বাকি অংশ তারা অন্যান্য মিলিশিয়ার কাছ থেকে জবর দখল করেন।

বর্তমানে ন্যাটোর বিরুদ্ধে যুদ্ধে মুজাহিদদের প্রধান অস্ত্র কৃষি জমিতে ব্যবহিত সার থেকে প্রস্তুত করা আইইডি (IED)। নাইট্রেট সার থেকে প্রস্তুত করা এই বোমা আমেরিকা ও তার মিত্রদের জন্য এখন সবচেয়ে বড় আতঙ্ক। আর মুজাহিদরা নিজেরাই ঘরে লোহা থেকে এমুনিউশন বানায়।

২০০৩ সালে সাদ্দাম হোসেন যখন আমেরিকার আক্রমণের মুখে পিছু হটা শুরু করল তখন সে তার অস্ত্রের ভান্ডার খুলে দিল যে কারও জন্য যে আমেরিকার বিরুদ্ধে এই অস্ত্র ব্যবহার করতে চাই। মুজাহিদরা সেখান থেকে অনেক অস্ত্র মজুদ করেছিল এবং কিছু অংশ ইয়েমেন, আফ্রিকাতে পাঠিয়েছিল।

বর্তমান বিশ্বে প্রতি বছর ৬০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কেনা বেচা হয় ব্ল্যাক মার্কেটে। সুতারাং অর্থ থাকলে অস্ত্র ক্রয় কোন সমস্যা নয়। ব্ল্যাক মার্কেট থেকে অস্ত্র কেনা মুজাহিদদের অস্ত্রের অন্যতম উৎস।

গণিমত হচ্ছে এখন পর্যন্ত মুজাহিদদের অস্ত্রের সবচেয়ে বড় উৎস। শত্রু পক্ষকে পরাজিত করে তাদের অস্ত্র জবর দখল করে নেওয়া মাধ্যমে মুজাহিদরা এখন অস্ত্রের মজুদ গড়ে তুলেছে।

মোট কথা হচ্ছে, অস্ত্রের অভাব পৃথিবীর কোথাও জিহাদের প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায় নি। ইনশাল্লাহ বাংলাদেশে বা পৃথিবীর যে কোন জায়গায় যারা যুদ্ধ করতে চাই তাদের কারও অস্ত্রের অভাবে জিহাদ থেমে থাকবে না।বাংলাদেশেও যে ব্ল্যাক মার্কেটে অস্ত্র আনা সম্ভব তার প্রমাণ আসামের উলফার দশ ট্র্যাক অস্ত্র। আর বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ, এখানে নাইট্রেট সারের কোন অভাব নেই। আর জিহাদ একবার শুরু হলে শত্রু পক্ষের অস্ত্র সরঞ্জাম দখলের মাধ্যমে অস্ত্র ভান্ডার আরও সমৃদ্ধ হবে ইনশাল্লাহ।

সুতারাং অস্ত্র- সরঞ্জাম জিহাদের পথে কোন প্রতিবন্ধকতা নয়, প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে আমাদের ইমান। আমরা যদি ইমানদার হয়, ধৈর্যশীল হয়- ইনশাল্লাহ আমরাই বিজয়ী হব।

bangla hadis,বাংলা হাদিস

হাসান ইবনু সাববাহ (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘ইয়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! কোন কাজ সর্বোত্তম? তিনি বললেন, ‘সময় মত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করা। আমি বললাম, ‘তারপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘আল্লাহর পথে জিহাদ। ’ তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে আর কিছু জিজ্ঞাসা না করে আমি চুপ রইলাম। আমি যদি (কথা) বাড়াতাম তবে তিনি আরো অধিক বলতেন।

1 no. terrorist

Terrorist no. 1 off tha world

বাংলাদেশের অর্থনীতি


বাংলাদেশের অর্থনীতি

একটি নিম্ন আয়ের উন্নয়নশীল এবং স্থিতিশীল অর্থনীতি। এই অর্থনীতির বৈশিষ্ট্যসমূহের মধ্যে রয়েছে মধ্যম হারের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি, পরিব্যাপ্ত দারিদ্র, আয় বণ্টনে অসমতা, শ্রমশক্তির উল্লেখযোগ্য বেকারত্ব, জ্বালানী, খাদ্যশস্য এবং মূলধনী যন্ত্রপাথরি জন্য আমদানী নির্ভরতা, জাতীয় সঞ্চয়ের নিম্নহার, বৈদেশিক সাহায্যের ওপর ক্রমহ্রাসমান নির্ভরতা এবং কৃষি খাতের সংকোচনের সঙ্গে সঙ্গে পরিষেবাখাতের দ্রুত প্রবৃদ্ধি। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অগ্রগতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশের তৈরি পোষাক শিল্প বিশ্বের বৃহত্তম শিল্পের মধ্যে অন্যতম । ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দের আগে পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত পাট ও পাটজাত পণ্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল। এসময় পাট রপ্তানি করে দেশটি অধিকাংশ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করত। কিন্তু পলিপ্রোপিলিন পণ্যের আগমনের ফলে ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দ থেকেই পাটজাত দ্রব্যের জনপ্রিয়তা ও বাণিজ্য কমতে থাকে।

বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭০-এর দশকে সর্বোচ্চ ৫৭% প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। তবে এ প্রবৃদ্ধি বেশীদিন টেকেনি। ১৯৮০-এর দশকে এ হার ছিলো ২৯% এবং ১৯৯০-এর দশকে ছিলো ২৪%।

বাংলাদেশ বর্ধিত জনসংখ্যার অভিশাপ সত্ত্বেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এর মূল কারণ হচ্ছে অভ্যন্তরীন উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ধান উৎপাদনের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। বাংলাদেশের চাষাবাদের জমি সাধারণত ধান ও পাট চাষের জন্য ব্যবহৃত হলেও সাম্প্রতিক সময়ে গমের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে ধান উৎপাদনের দিক দিয়ে মোটামুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ। তা সত্ত্বেও মোট জনসংখ্যার ১০% থেকে ১৫% অপুষ্টির ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশের কৃষি মূলত অনিশ্চিত মৌসুমী চক্র, এবং নিয়মিত বন্য ও খরার উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। দেশের যোগাযোগ, পরিবহন ও বিদ্যুৎ খাত সঠিকভাবে গড়ে না ওঠায় দেশটির উন্নতি ব্যহত হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল খনি রয়েছে এবং কয়লা, খনিজ তেল প্রভৃতির ছোটখাট খনি রয়েছে। বাংলাদেশের শিল্প-কাঠামো দুর্বল হলেও এখানে অদক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা অঢেল এবং মজুরিও সস্তা।

১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ বিভিন্ন দাতা দেশ থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও অধিক বৈদেশিক সাহায্য ও ঋণ পেয়েছে যার মধ্যে ১৫ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের প্রধান দাতার মধ্যে রয়েছে বিশ্ব ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, সৌদি আরব ও পশ্চিম ইউরোপীয় রাষ্ট্রসমূহ। তাসত্ত্বেও বাংলাদেশের দারিদ্রের হার এখনও অনেক বেশি। মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে এবং ভারত ও চীনের পর বাংলাদেশেই সর্বোচ্চ সংখ্যক দরিদ্র মানুষ বসবাস করে। একই আয়ের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সামাজিক সেবার মান অনেক কম। বাংলাদেশে ঐতিহাসিকভাবেই বিরাট বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে এবং এর অর্থনীতি বর্তমানে বিদেশে কর্মরত শ্রমিকের পাঠানো রেমিটেন্সের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। ১৯৯৫ ও ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সবচেয়ে কম পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যানে রিজার্ভ স্থিতিশীল রয়েছে। বর্তমানের রিজার্ভ প্রায় ৩.১ বিলিয়ন ডলার যা ২০০৬ অর্থবছরের শুরুর দিকে ছিল। ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে সেপ্টেম্বরে রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৬ বিলিয়ন ডলারে।

ইতিহাসসম্পাদনা


ইতিহাসসম্পাদনা

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুর্কি উসমানীয় সাম্রাজ্যের পতনের পর প্যালেস্টাইন বা ফিলিস্তিন সহ বেশিরভাগ আরব এলাকা চলে যায় ইংল্যান্ড- ফ্রান্সের ম্যান্ডেটে। ১৯১৭ সালের ২রা নভেম্বর বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার জেমস বালফোর ইহুদীবাদীদেরকে লেখা এক পত্রে ফিলিস্তিনী ভূখন্ডে একটি ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন। বেলফোর ঘোষণার মাধমে ফিলিস্তিন এলাকায় ইহুদিদের আলাদা রাষ্ট্রের সম্ভাবনা উজ্জল হয় এবং বিপুলসংখ্যক ইহুদি ইউরোপ থেকে ফিলিস্তিনে এসে বসতি স্থাপন করতে থাকে।

১৯০৫ থেকে ১৯১৪ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সংখ্যা ছিল মাত্র কয়েক হাজার। কিন্তু ১৯১৪ সাল থেকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত বৃটিশদের সহযোগিতায় ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সংখ্যা ২০ হাজারে উন্নীত হয়। এরপর প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনে ইহুদী অভিবাসীদের ধরে এনে জড়ো করা শুরু হলে ১৯১৯ থেকে ১৯২৩ সাল নাগাদ ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সংখ্যা ৩৫ হাজারে পৌঁছে যায়। ১৯৩১ সালে ইহুদীদের এই সংখ্যা প্রায় ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১ লাখ ৮০ হাজারে পৌঁছায়। এভাবে ফিলিস্তিনে ইহুদী অভিবাসীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে থাকে এবং ১৯৪৮ সালে সেখানে ইহুদীদের সংখ্যা ৬ লাখে উন্নীত হয়।১৯১৮ সালে বৃটেনের সহযোগিতায় গুপ্ত ইহুদী বাহিনী "হাগানাহ" গঠিত হয়। এ বাহিনী ইহুদীবাদীদের অবৈধ রাষ্ট্র তৈরির কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রথমে ফিলিস্তিনী জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদীবাদীদের সহায়তা করা হাগানাহ বাহিনীর দায়িত্ব হলেও পরবর্তীকালে তারা সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনীতে পরিণত হয়। ফিলিস্তিনী জনগণের বাড়িঘর ও ক্ষেতখামার দখল করে তাদেরকে ফিলিস্তিন থেকে বিতাড়িত করা এবং বাজার ও রাস্তাঘাটসহ জনসমাবেশ স্থলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ফিলিস্তিনীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে তাদের বিতাড়নের কাজ ত্বরান্বিত করা ছিল হাগানাহ বাহিনীর কাজ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনী ভূখন্ডকে দ্বিখন্ডিত করা সংক্রান্ত ১৮১ নম্বর প্রস্তাব গৃহীত হয়। জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে দ্বিখন্ডিত করার প্রস্তাব পাশ করে নিজেদের মাতৃভূমির মাত্র ৪৫ শতাংশ ফিলিস্তিনীদের এবং বাকি ৫৫ শতাংশ ভূমি ইহুদীবাদীদের হাতে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এভাবে ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইসরায়েল স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা


বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সবুজ আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল বৃত্ত। সবুজ রং বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি ও তারুণ্যের প্রতীক, বৃত্তের লাল রং উদীয়মান সূর্য, স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারীদের রক্তের প্রতীক। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার এই রূপটি ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি সরকারীভাবে গৃহীত হয়।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় প্রায় একই রকম দেখতে একটি পতাকা ব্যবহার করা হতো, যেখানে মাঝের লাল বৃত্তের ভেতর হলুদ রংয়ের একটি মানচিত্র ছিল। ১২ জানুয়ারি, ১৯৭২ তারিখে বাংলাদেশের পতাকা থেকে মানচিত্রটি সরিয়ে ফেলা হয়। পতাকার উভয় পাশে সঠিকভাবে মানচিত্রটি ফুটিয়ে তোলার অসুবিধা পতাকা থেকে মানচিত্রটি সরিয়ে ফেলার অন্যতম কারণ।১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্যবহৃত পতাকার উপর ভিত্তি করে এই পতাকা নির্ধারণ করা হয়, তখন মধ্যের লাল বৃত্তে বাংলাদেশের মানচিত্র ছিল, পরবর্তীতে পতাকাকে সহজ করতেই, মানচিত্রটি বাদ দেয়া হয়। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, জাপানের জাতীয় পতাকার সাথে মিল রয়েছে, কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে বাংলাদেশের সবুজের স্থলে, জাপানীরা সাদা ব্যবহার করে। লাল বৃত্তটি একপাশে একটু চাপানো হয়েছে, পতাকা যখন উড়বে তখন যেন এটি পতাকার মাঝখানে দেখা যায়।

১৯৭০ সালের ৭ জুন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক সামরিক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এই লক্ষ্যে ছাত্রদের নিয়ে একটি জয়বাংলা বাহিনী, মতান্তরে 'ফেব্রুয়ারী ১৫ বাহিনী' গঠন করা হয়। ছাত্র নেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। এই লক্ষ্যে ১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের (তৎকালীন ইকবাল হল) ১০৮ নং কক্ষে ছাত্রলীগ নেতা আ স ম আবদুর রব, শাহজাহান সিরাজ, কাজী আরেফ আহমদ, মার্শাল মনিরুল ইসলাম পতাকার পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে বসেন। এ বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা স্বপন কুমার চৌধুরী, জগন্নাথ কলেজের ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা শিবনারায়ন দাশ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ সাধারণ সম্পাদক হাসানুল হক ইনু ও ছাত্রনেতা ইউসুফ সালাউদ্দিন আহমেদ।

সভায় কাজী আরেফের প্রাথমিক প্রস্তাবনার উপর ভিত্তি করে সবার আলোচনার শেষে সবুজ জমিনের উপর লাল সূর্যের মাঝে হলুদ রঙের বাংলার মানচিত্র খচিত পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। কামরুল আলম খান (খসরু) তখন ঢাকা নিউ মার্কেটের এক বিহারী দর্জির দোকান থেকে বড় এক টুকরো সবুজ কাপড়ের মাঝে লাল একটি বৃত্ত সেলাই করে আনেন; এরপর ইউসুফ সালাউদ্দিন আহমেদ ও হাসানুল হক ইনু প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কায়েদে আজম হল (বর্তমানে তিতুমীর হল)এর ৩১২ নং কক্ষের এনামুল হকের কাছ থেকে মানচিত্রের বই নিয়ে ট্রেসিং পেপারে আঁকেন পূর্ব পাকিস্তানের মানচিত্র। ছাত্রনেতা শিবনারায়ণ দাশ পরিশেষে তার নিপুন হাতে মানচিত্রটি লাল বৃত্তের মাঝে আঁকেন,
১৯৭১ সালের ২রা মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন ছাত্র নেতা আ.স.ম. আব্দুর রব। তিনি সেই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন।পূর্ব পাকিস্তানের চিহ্ন চাঁদ তারা ব্যবহার না করার জন্য নতুন এই প্রতীক তৈরী করা হয়েছিল। সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যক্টবুক অনুযায়ী বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি বুঝাতে পতাকায় সবুজ রং ব্যবহার করা হয়েছিল

আজ শুক্রবার থেকে মসজিদুল আকসায় নামাজ নিষিদ্ধ করেছে ইসরাইল

আগামী শুক্রবার থেকে মসজিদুল আকসায় নামাজ নিষিদ্ধ করেছে ইসরাইল। গত মঙ্গলবার ইসরাইলে রকেট হামলার অভিযোগ তুলে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দখলদার ইসরাইলের সামরিক মুখপাত্র অভিচেই আদ্রী। এ নিয়ে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

প্রতি টি মানুষ যদি এইভাবে আল্লাহ'র কাছে সমর্পন করতো

প্রতি টি মানুষ যদি এইভাবে আল্লাহ'র কাছে সমর্পন করতো , আশেপাশের মানুষগুলোকে শিক্ষা দিতো , তাদের বিবেক কে জাগ্রতো করতো তাহলে বহুদিন আগেই আমাদের দেশটা পাল্টে যেতো । 

Israel is seeking to confiscate Palestinian lands for an illegal settlement near the West Bank city Bethlehem

Israel is seeking to confiscate Palestinian lands for an illegal settlement near the West Bank city  Bethlehem, a statement by NGO Peace Now said yesterday.

The statement said that the Israeli Supreme Court would hold a hearing session regarding the petition jointly filed by the organisation and the Palestinian owners of the land, where 17 residential units were built as part of the illegal Israeli settlement of Derech Ha'Avot.

According to the statement, "the [Israeli] Minister of Defence is pushing the Attorney General (despite his legal opinion) to ask the court to allow a de-facto confiscation of the Palestinian lands in order to avoid the demolition" of the housing units.

Peace Now said the Israeli government uses legal trick to confiscate Palestinian lands in favour of the illegal settlement of Derech Ha'Avot which was established in 2001 on private Palestinian land. It started with 60 settlement units.

After a legal battle, Peace Now said, the Israeli authorities announced last year that the land, where the settlement is built, is state property.

ফলগাছ রোপণ


ফলগাছ রোপণে করণীয়

গ্রীষ্মের শেষে প্রথম বৃষ্টি হলেই আমরা গাছ রোপণের কথা চিন্তা করি। ভাবি, বাড়ির আশপাশের ফাঁকা জায়গাটা এবার গাছে গাছে ভরিয়ে দেবো। বাদ যাবে না ঘরের বারান্দা কিংবা ছাদও। অনেকের চিন্তাটা মাথার ভেতরেই ঘুরপাক খেতে থাকলেও অনেকে বাস্তবায়ন করতে মাঠেও নেমে পড়ি। প্রিয় গাছের চারা বা কলম খুঁজতে ছুটে যাই সরকারি বা বেসরকারি নার্সারিতে। কাংখিত গাছের চারা বা কলম পেয়েও যাই। তাৎক্ষণিকভাবে রোপণের জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় লাগিয়েও ফেলি। লাগিয়েই ভাবি, যাক কিছু দিনের মধ্যেই জায়গাটা সবুজে সবুজে ভরে যাবে। কিন্তু না, ভাবনার সাথে বাস্তবতাটা ঠিক মেলে না। ক’দিন পরেই দেখা যায় চারা বা কলম সঠিকভাবে বাড়ছে না। শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। কী যে হলো চারাগুলোর। চারা বা কলমের এই সমস্যাটা কিন্তু কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখলেই দূর করা যায়। তাহলে চলুন কারণগুলো একে একে জেনে নেয়া যাক। গ্রীষ্মের শেষে প্রথম বৃষ্টি হলেই গাছের চারা বা কলম রোপণ করা ঠিক নয়। একটু অপেক্ষা করতে হয় পরের দু’তিন বার বৃষ্টির জন্য। কারণ প্রথম বৃষ্টির পর মাটির ভেতরে সৃষ্টি হওয়া গ্যাস বের হওয়ার জন্য বা মাটিতে কিছুটা রস সঞ্চয়ের জন্য সময় দিতে হয়। তাই পর পর কয়েকবার বৃষ্টি হলে মাটির ভেতর ও বাইরের আবহাওয়া প্রায় সম পর্যায়ে চলে আসে। অর্থাৎ মাটির রস ও বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে যায়। এই অবস্খায় গাছের চারা বা কলম রোপণ করলে সেগুলো আর মরে না। প্রতিবìধকতা দূর হওয়ায় চারাগুলো তরতর করে বেড়ে উঠতে থাকে।
দেশের অনেক জায়গাতেই এখন মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে। তাপমাত্রা বেশি থাকলেও বাতাসের আর্দ্রতা আগের তুলনায় বেশ বেড়ে গেছে। ফল বা কাঠজাতীয় যেকোনো গাছের চারা বা কলম রোপণের সময় এখনই। এ জন্য বেশ কিছু করণীয় কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- চারা বা কলম নির্বাচন, রোপণের জায়গা ঠিক করা, চারা বা কলমের জাত অনুসারে সঠিকভাবে গর্ত তৈরি, গর্তে সঠিক নিয়মে সার ব্যবহার, গর্তে সঠিক নিয়মে চারা বা কলম রোপণ এবং রোপণ করা গাছের সুরক্ষা প্রদান। রোপণ করার জন্য যে চারা বা কলম নির্বাচন করা হবে তার বয়স কখনোই এক বা দু’ বছরের বেশি হওয়া চলবে না। আমাদের অনেকেরই ধারণা, বড় আকারের চারা বা কলম রোপণ করলে সেটা খুব তাড়াতাড়ি বড় হবে এবং ফল দিতে শুরু করবে। সত্যি বলতে কি ধারণাটি একদম ভুল। ছোট আকারের নিখুঁত ও তেজি চারা বা কলম সহজেই পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এবং দ্রুত বেড়ে ওঠে। চারা বা কলম বাছাই করার সময় আরো যেসব বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। চারা বা কলমের নতুন পাতা থাকলে সেই চারা বা কলম রোপণের জন্য বাছাই করবেন না। চারা বা কলমে ফুল বা ফল থাকলে সেটাও রোপণের জন্য বাছাই করবেন না। রোপণের জন্য বাছাই করা চারা বা কলমটি সোজা হতে হবে, দুর্বল বা বাঁকা চারা বা কলম বাদ দিতে হবে। বেশি শাখা-প্রশাখাযুক্ত চারা বা কলম বাছাই করবেন না। বেশি শাখা-প্রশাখা থাকলে সেগুলো ছাঁটাই করে শুধু মূল কাণ্ডটি রেখে রোপণ করতে হবে। রোপণের আগে নিচের দিকের কিছু পাতার অর্ধেক ছাঁটাই করে দিতে হবে। এতে চারা বা কলম থেকে পানি বের হয়ে গাছ শুকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। কলমের গাছের বেলায় জোড় ঠিকমতো আছে কি না, তা পরখ করে নিতে হবে। বিশেষ করে আদিজোড়ে কোনো ফাটা দাগ আছে কি না, তা দেখে নিতে হবে। যদি থাকে তাহলে সেই কলম বাদ দিতে হবে। কলমের জায়গার পলিথিন খোলা হয়েছে কি না রোপণের আগে সেটাও দেখে নিতে হবে। চারা বা কলমের পাতা কোনো ধরনের পোকামাকড়ে আক্রান্ত থাকলে তা ছাঁটাই করে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে ছত্রাকনাশক দিয়ে চারা বা কলম ভালোভাবে স্প্রে করার পর রোপণ করতে হবে। রোগাক্রান্ত কোনো চারা বা কলম রোপণের জন্য বাছাই করা ঠিক হবে না। বিশ্বস্ত উৎস বা প্রতিষ্ঠান থেকে সঠিক তথ্য নিয়ে উন্নত জাতের চারা বা কলম সংগ্রহ করে রোপণ করতে হবে। চারা বা কলমের শিকড় পলিব্যাগ বা মাটির পট ভেদ করে বের হয়েছে কি না সেটা দেখে নিতে হবে। যদি শিকড় বের হয় তাহলে সেটা ছাঁটাই করে দিতে হবে। পলিব্যাগ বা মাটির পটের মাটি ঠিক আছে কিনা সেটাও দেখে নিতে হবে। যদি চারা বা কলমের গোড়ার মাটি আলগা হয়ে সরে যায় কিংবা পট বা পলিথিন থেকে চারা বা কলম বের করার পর মাটির বল ভেঙে যায় তাহলে সেই চারা বা কলম বাদ দেয়া ভালো। চারা বা কলম কোথায় রোপণ করা হবে সেই জায়গাটি আগে থেকেই নির্ধারণ করতে হবে। রোদ পড়ে এবং ভবিষ্যতে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে কোনো রকম বাধার সৃষ্টি না হয় এমন জায়গাই নির্বাচন করতে হবে। চারা বা কলম রোপণের আগেই বড় গাছের জন্য (আম, কাঁঠাল, লিচু, নারিকেল, বাতাবি লেবু, সফেদা)দৈর্ঘ্য-প্রস্খ ও গভীরতায় ১ বর্গ মিটার গর্ত খনন করে কমপক্ষে ৭-১০ দিন খোলা অবস্খায় ফেলে রাখতে হবে। এ সময় গর্ত থেকে তোলা মাটি ঝুরঝুরে করে তার সাথে জৈব সার মিশিয়ে রাখতে হবে। মাঝারি গাছের জন্য (পেয়ারা, লেবু, জলপাই, কামরাঙ্গা, আমড়া) দৈর্ঘ্য-প্রস্খ ও গভীরতায় ৬০ বর্গ সেন্টিমিটার গর্ত খনন করতে হবে। ছোট গাছের জন্য (কলা, পেঁপে, ডালিম) দৈর্ঘ্য-প্রস্খ ও গভীরতায় ৪৫ বর্গ সেন্টিমিটার গর্ত খনন করতে হবে। রোপণের ঠিক ৩-৪ দিন আগে জৈব সার মিশ্রিত মাটির সাথে রাসায়নিক সার মিশাতে হবে এবং মাটি দিয়ে গর্ত এমনভাবে ভরাট করতে হবে যেন জমির সমতল থেকে ভরাটকৃত মাটির উচ্চতা ১৫-২০ সেন্টিমিটার উঁচু হয়। ভরাট করা মাটি চার দিকে ঢালু করে দিতে হবে যেন পানি সহজেই গড়িয়ে যেতে পারে। এ সময় প্রয়োজনমতো পানি গর্তের মাটিতে দিতে হবে, যাতে মাটিতে রসের অভাব না হয়। এরপর গর্তের ঠিক মাঝখানে নিড়ানি বা হাত দিয়ে পট বা পলিব্যাগের সমান করে বা একটু বড় করে গর্ত করতে হবে। গর্তের মাঝে চারা বা কলম স্খাপন করতে হবে এমনভাবে যেন চারা বা কলমের গোড়া আগের অবস্খাতেই থাকে। অর্থাৎ আগে যেটুকু মাটির বলের নিচে ছিল কিংবা যেটুকু মাটির বলের বাইরে ছিল ঠিক সেভাবেই যেন থাকে। এতে চারা বা কলমের গোড়ার বাকল ঠিক থাকে এবং গোড়াপচা রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। রোপণ করার পরপরই গাছে এবং গাছের গোড়ার চার দিকে কিছুটা পানি ছিটিয়ে দিতে হয়। রোপণ করা চারা বা কলমের সুরক্ষার জন্য ঘেরার ব্যবস্খা করতে হবে। দৈর্ঘ্য-প্রস্খ ও গভীরতায় ১ বর্গ মিটার গর্ত খনন করে কমপক্ষে ৭-১০ দিন খোলা অবস্খায় ফেলে রাখতে হবে। এ সময় গর্ত থেকে তোলা মাটি ঝুরঝুরে করে তার সাথে জৈব সার মিশিয়ে রাখতে হবে। মাঝারি গাছের জন্য (পেয়ারা, লেবু, জলপাই, কামরাঙ্গা, আমড়া) দৈর্ঘ্য-প্রস্খ ও গভীরতায় ৬০ বর্গ সেন্টিমিটার গর্ত খনন করতে হবে। ছোট গাছের জন্য (কলা, পেঁপে, ডালিম) দৈর্ঘ্য-প্রস্খ ও গভীরতায় ৪৫ বর্গ সেন্টিমিটার গর্ত খনন করতে হবে। রোপণের ঠিক ৩-৪ দিন আগে জৈব সার মিশ্রিত মাটির সাথে রাসায়নিক সার মিশাতে হবে এবং মাটি দিয়ে গর্ত এমনভাবে ভরাট করতে হবে যেন জমির সমতল থেকে ভরাটকৃত মাটির উচ্চতা ১৫-২০ সেন্টিমিটার উঁচু হয়। ভরাট করা মাটি চার দিকে ঢালু করে দিতে হবে যেন পানি সহজেই গড়িয়ে যেতে পারে। এ সময় প্রয়োজনমতো পানি গর্তের মাটিতে দিতে হবে, যাতে মাটিতে রসের অভাব না হয়। এরপর গর্তের ঠিক মাঝখানে নিড়ানি বা হাত দিয়ে পট বা পলিব্যাগের সমান করে বা একটু বড় করে গর্ত করতে হবে। গর্তের মাঝে চারা বা কলম স্খাপন করতে হবে এমনভাবে যেন চারা বা কলমের গোড়া আগের অবস্খাতেই থাকে। অর্থাৎ আগে যেটুকু মাটির বলের নিচে ছিল কিংবা যেটুকু মাটির বলের বাইরে ছিল ঠিক সেভাবেই যেন থাকে। এতে চারা বা কলমের গোড়ার বাকল ঠিক থাকে এবং গোড়াপচা রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। রোপণ করার পরপরই গাছে এবং গাছের গোড়ার চার দিকে কিছুটা পানি ছিটিয়ে দিতে হয়। রোপণ করা চারা বা কলমের সুরক্ষার জন্য ঘেরার ব্যবস্খা করতে হবে। খ. বৃষ্টিপাত : সব ধরনের ফল গাছেরই বৃষ্টিপাতের চাহিদা সমান নয়। বৃষ্টিপাত কম কিংবা অধিক বৃষ্টি অনেক ফল গাছের ক্ষতি সাধন করে। গাছে ফুল ফোটার সময় অধিক বৃষ্টি হলে পরাগ রেণু ও গর্ভমুণ্ডের আঠালো রস ধুয়ে যায়। ফুলে কীট-পতঙ্গের বিচরণ কমে যায়, এর ফলে নিষেকক্রিয়া ব্যাহত হয়ে ফল উত্পাদন হ্রাস পায়।
বাংলাদেশে ফল উত্পাদনের ক্ষেত্রে আবহাওয়ার উপাদানগুলোর মধ্যে তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত এ দুটিই অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতের ক্ষেত্রে ঋতুভেদে কিছুটা তারতম্য পরিলক্ষিত হয়।

গ. আলো : ফল গাছের বৃদ্ধি, ফল উত্পাদন এবং ফলের গুণগতমান অক্ষুণ্ন রাখতে আলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ধরনের ফল গাছের জন্য আলোর চাহিদায় ভিন্নতা রয়েছে।ঘ. বাতাসের আর্দ্রতা : ফলের আকার, আকৃতি, রং, গুণগতমান ইত্যাদি বাতাসের আর্দ্রতার উপর অনেকাংশে নির্ভর করে। অনেক ফল শুষ্ক আবহাওয়ায় ভালো জন্মে, আবার কিছু কিছু ফল উত্পাদনের জন্য আর্দ্র আবহাওয়া প্রয়োজন হয়।

ঙ. বাতাসের গতিবেগ : বাতাসের গতিবেগ ফল চাষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পেলে গাছ এবং মাটির রস দ্রুত নিঃশেষ হয়, এজন্য ঘন ঘন পানি সেচের প্রয়োজন হয়। এর ফলে উত্পাদন খরচ বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া ঝড়ো বাতাসে ফল গাছের এবং ফলের অধিক ক্ষতি সাধিত হয়।

চ. মাটির গুণাবলী : সাধারণত, উঁচু জমি ফল চাষের জন্য অধিক উপযোগী। দেশের সব স্থানের জমির গুণাবলীতেও বেশ পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। কোনো স্থানের মাটি লালচে, কোথাও কালচে, কোনো স্থানের মাটিতে বালির আধিক্য, আবার কোথাওবা কর্দমাক্ত। কোনো স্থানের মাটিতে লবণের ভাগ বেশি, কোথাও আবার অম্লমান অধিক। কোথাও কম নিষ্কাশিত, কোথাওবা সু-নিষ্কাশিত। পানির স্তর কোথাও কম, কোথাও বেশি। মাটির উর্বরতা এবং ফল উত্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপাদানের তারতম্য রয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাটিতে।

ফল গাছের পারিপার্শ্বিক উপযোগিতা বিচার করে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়ার বৈশিষ্ট্য, পরিবেশ, অর্থনীতি, ফলশিল্প এবং সামাজিক বিষয়াদির উপর ভিত্তি করে প্রধান প্রধান ফলের চাষ বিশেষ বিশেষ এলাকায় কেন্দ্রীভূত হয়েছে। নিম্নে বাণিজ্যিক উত্পাদনকারী জেলাসমূহের একটি তালিকা দেয়া হলো-১. কলা-মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, বগুড়া, রংপুর, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, রাঙামাটি, বান্দরবান ও ময়মনসিংহ।

২. পেঁপে-রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, যশোর, খুলনা, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি।

৩. আম-চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, গাজীপুর, রাঙামাটি ও রংপুর।

৪. লিচু-পাবনা, দিনাজপুর, রাজশাহী, গাজীপুর, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, নাটোর, কুষ্টিয়া, যশোর, ময়মনসিংহ ও পঞ্চগড়।

৫. কাঁঠাল-চট্টগ্রাম, ঢাকা, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, নরসিংদী, রাঙ্গামাটি, দিনাজপুর, নাটোর, পঞ্চগড়, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নরসিংদী ও কুষ্টিয়া।

৬. আনারস-সিলেট, টাঙ্গাইল, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, চট্টগ্রাম ও নরসিংদী।

৭. তরমুজ-চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ঠাকুরগাঁও, নাটোর, কুষ্টিয়া, যশোর, কুমিল্লা, পটুয়াখালী ও রাজবাড়ী।

৮. আমড়া-বরিশাল, ঝালকাঠি, মাদারীপুর, পিরোজপুর ও যশোর।

৯. পেয়ারা-বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, যশোর, পাবনা, গাজীপুর, কুমিল্লা, রংপুর, নাটোর, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি।

১০. নারিকেল-পটুয়াখালী, খুলনা, বাগেরহাট, ভোলা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রংপুর ও নাটোর।

১১. লেবু জাতীয় ফল-সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, রাঙামাটি, রংপুর, পঞ্চগড় ও খাগড়াছড়ি।

১২. কুল-পাবনা, রাজশাহী, রংপুর, গাজীপুর, কুমিল্লা, বরিশাল ও সিলেট।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে হলে টেলিফোন করতে পারেন :
+৮৮০১৭৪৪৫৯১৪৬৭
shamimhawlader67@gmail.com

১৮দিন ছিলাম ওমানে


“১৮দিন ছিলাম ওমানে। বাসায় কাজের কথা বলে আমাকে ছেলেদের একটি মেসে দেয়া হয়। ২২জন ছেলেমানুষ। এমন কোন অত্যাচার নাই তারা করেনাই। ঘুমের ঔষধ খাইয়ে তারা একের পর এক অত্যাচার করে।”। এভাবেই নিজের ওপর অত্যাচারের বিবরণ দিলেন যশোরের সাথী বেগম।
গত মাসে তিনি ওমানে গিয়েছিলেন বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমেই। কিন্তু সেখানে গিয়ে একমাসও টিকতে পারেননি। কোনও ভাবে জীবন বাঁচিয়ে ফিরে এসেছেন দেশে। মামলাও করেছেন দালালদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় মানবাধিকার সংগঠন ‘রাইটস যশোর’ আয়োজিত গণ-শুনানিতে অংশ নিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন সাথী বেগম।
এই অনুষ্ঠানে নির্যাতিতদের অনেকই তাদের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন। একই সাথে তারা এজেন্সিগুলোর সঙ্গে জড়িত দালালদের বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন সচেতনতা কার্যক্রম জোরদারের পাশাপাশি শ্রমিকদের কাজের ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
ইরাক থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হওয়া আরেকজন অভিবাসী শ্রমিক লক্ষ্মীপুরের আব্দুর রাজ্জাক বিবিসিকে জানান, বৈধভাবে গেলেও দালালরা তাদের বিক্রি করে এজেন্সির কাছে।
দেশীয় এজেন্সি তাদের বিক্রি করে ইরাকের এজেন্সি বা কোম্পানির কাছে। ফলে এসব কোম্পানি তাদের দিয়ে কাজ করিয়ে পারিশ্রমিক দেয়ার বদলে টাকা চাইলেই নির্যাতন করে থাকে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।
মি: রাজ্জাক বলেন,“আটকে রেখে নির্যাতন করেছে। নাজাফ থেকে বাগদাদে। পরে পালিয়ে প্রাদেশিক সরকারের দ্বারস্থ হয়ে একটি পারমিট নিয়ে দেশে ফিরে এসেছি।”
গণশুনানিতে আসা এসব শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করেন এমন একটি সংগঠনের কর্মকর্তা বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক।
তিনি বলেন বিদেশে কাজের নামে যারা শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান এখন এসব শ্রমিকরা।
এদিকে এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইতোমধ্যে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে শ্রমিকদের বিদেশে যাওয়ার আগে সচেতন করার পদক্ষেপ নেয়া হলেও তা যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেই মানবাধিকার পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়। তহালে সেখানে শ্রমিকদের কাজ ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কতটা সম্ভব ?
জানতে চেয়েছিলাম অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংগঠনের কর্ণধার সৈয়দ সাইফুল হক।
তিনি বলেন, “ শ্রমিক যেখান থেকে যায় ও যেদেশে যায় দু’দেশকেই শ্রমিকদের কাজ ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সচেতনতা কার্যক্রম শুরু হয়েছে কিন্তু সেটিকে আরও জোরদার করতে হবে”।
এদিকে সচেতনতার পাশাপাশি সরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগের কারণে পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটতে শুরু করবে বলেই আশা করছেন কর্মকর্তারা

ইফতারের দুয়া


সেহরীর সময়
وَبِصَوْمِ غَدٍ نَّوَيْتَ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ
ওয়া বিসাওমি গাদ্দিন নাওয়াইতু মিন সাহারী রামাজান - আমি আগামীকালের রমজান মাসের রোজা রাখিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিতেছি।

ইফতারের দোয়া
اللَّهُمَّ اِنِّى لَكَ صُمْتُ وَبِكَ امنْتُ [وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ] وَعَلَى رِزْقِكَ
اَفْطَرْتُ -আল্লাহুম্মা ইন্নি লাকা সুমতু ওয়া বিকা আমানতু [ওয়া আলাইকা তাওয়াকালতু ] ওয়া আলা রিজকিকা ইফতারতু- হে আল্লাহ আমি তোমাকে বিশ্বাস করে রোজা রাখলাম ও তোমারি নির্দেশে রোজা ভাঙ্গলাম।

যে ব্যাক্তি এই রোজার দোয়া দুটি সেহেরীর সময় ৭বার পাঠ করিবে আল্লাহর রহমতে সে সহস্রাধিক নেকী লাভ করিবে:
"লা ইলাহা ইল্লাল্লা হুল হায়্যুল কায়্যুমুল ক্বা-ইমু আলা-কুল্লে নাফসিম বিমা কাসাবাত" এবং
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আস্তাগফিরুকা, ওয়া আস-আলুকাল জান্নাতু, ওয়া আ'জুবিকা মিন্নান নার"

মঙ্গলবার, ২৩ জুন, ২০১৫

কাজি নজরুল ইসলাম

 ধার্মিক মুসলিম সমাজ এবং অবহেলিত ভারতীয় জনগণের সাথে তার বিশেষ সম্পর্ক ছিল। তার সাহিত্যকর্মে প্রাধান্য পেয়েছে ভালবাসা, মুক্তি এবং বিদ্রোহ। ধর্মীয় লিঙ্গভেদের বিরুদ্ধেও তিনি লিখেছেন। ছোট গল্প, উপন্যাস, নাটক লিখলেও তিনি মূলত কবি হিসেবেই বেশি পরিচিত। বাংলা কাব্যে তিনি এক নতুন ধারার জন্ম দেন। এটি হল ইসলামী সঙ্গীত তথা গজল, এর পাশাপাশি তিনি অনেক উৎকৃষ্ট শ্যামাসংগীত ও হিন্দু ভক্তিগীতিও রচনা করেন। নজরুল প্রায় ৩০০০ গান রচনা এবং অধিকাংশে সুরারোপ করেছেন যেগুলো এখন নজরুল সঙ্গীত বা "নজরুল গীতি" নামে পরিচিত এবং বিশেষ জনপ্রিয়। মধ্যবয়সে তিনি পিক্‌স ডিজিজে[২] আক্রান্ত হন। এর ফলে আমৃত্যু তাকে সাহিত্যকর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। একই সাথে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে ১৯৭২ সালে তিনি সপরিবারে ঢাকা আসেন। এসময় তাকে বাংলাদেশের জাতীয়তা প্রদান করা হয়। এখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

কবিতা:
"ছোট  সুন্দর ছনমনে ছেলেটি, আমি ক্লাশ পরিদর্শন করিতে গেলে সে আগেই প্রণাম করিত। আমি হাসিয়া তাহাকে আদর করিতাম। সে বড় লাজুক ছিল।”


আমার উপর অভিযোগ, আমি রাজবিদ্রোহী। তাই আমি আজ রাজকারাগারে বন্দি এবং রাজদ্বারে অভিযুক্ত।... আমি কবি,আমি অপ্রকাশ সত্যকে প্রকাশ করার জন্য, অমূর্ত সৃষ্টিকে মূর্তিদানের জন্য ভগবান কর্তৃক প্রেরিত। কবির কণ্ঠে ভগবান সাড়া দেন, আমার বাণী সত্যের প্রকাশিকা ভগবানের বাণী। সেবাণী রাজবিচারে রাজদ্রোহী হতে পারে, কিন্তু ন্যায়বিচারে সে বাণী ন্যায়দ্রোহী নয়, সত্যাদ্রোহী নয়। সত্যের প্রকাশ নিরুদ্ধ হবে না। আমার হাতের ধূমকেতু এবার ভগবানের হাতের অগ্নি-মশাল হয়ে অন্যায় অত্যাচার দগ্ধ করবে...।


আমি বঞ্চিত ব্যথা পথবাসী চির গৃহহারা যত পথিকের,

আমি অবমানিতের মরম বেদনা, বিষ জ্বালা, চির লাঞ্ছিত বুকে গতি ফের

আমি অভিমানী চির ক্ষুব্ধ হিয়ার কাতরতা, ব্যথা সুনিবিড়,

চিত চুম্বন-চোর-কম্পন আমি থর-থর-থর প্রথম প্রকাশ কুমারীর !

আমি গোপন প্রিয়ার চকিত চাহনি, ছল করে দেখা অনুখন,

আমি চপল মেয়ের ভালবাসা তার কাকন চুড়ির কন-কন ।

...

মহা- বিদ্রোহী রণক্লান্ত

আমি সেই দিন হব শান্ত।

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবে না,

অত্যাচারীর খড়ুগ কৃপাণ ভীম রণ, ভূমে রণিবে না-

বিদ্রোহী রণক্লান্ত

আমি সেই দিন হব শান্ত।

..........................

আমি চির বিদ্রোহী বীর –

বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির উন্নত শির !


বল বীর –
বল উন্নত মম শির!
শির নেহারি আমারি, নত-শির ওই শিখর হিমাদ্রীর!
বল বীর –
বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি’
চন্দ্র সূর্য্য গ্রহ তারা ছাড়ি’
ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া,
খোদার আসন “আরশ” ছেদিয়া
উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ব-বিধাত্রীর!
মম ললাটে রুদ্র-ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটীকা দীপ্ত জয়শ্রীর!
বল বীর –
আমি চির-উন্নত শির!

আমি চিরদুর্দ্দম, দুর্বিনীত, নৃশংস,
মহা- প্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস,
আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর!
আমি দুর্ব্বার,
আমি ভেঙে করি সব চুরমার!
আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল,
আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃংখল!
আমি মানি নাকো কোনো আইন,
আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম,
ভাসমান মাইন!
আমি ধূর্জ্জটী, আমি এলোকেশে ঝড় অকাল-বৈশাখীর!
আমি বিদ্রোহী আমি বিদ্রোহী-সূত বিশ্ব-বিধাত্রীর!
বল বীর –
চির উন্নত মম শির!আমি ঝঞ্ঝা, আমি ঘূর্ণী,
আমি পথ-সম্মুখে যাহা পাই যাই চূর্ণী!
আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ,
আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ।
আমি হাম্বীর, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল,
আমি চল-চঞ্চল, ঠুমকি’ ছমকি’
পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’
ফিং দিয়া দিই তিন দোল্!
আমি চপলা-চপল হিন্দোল!

আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা’,
করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা,
আমি উদ্দাম, আমি ঝঞ্ঝা!
আমি মহামারী, আমি ভীতি এ ধরিত্রীর।
আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ণ চির-অধীর।
বল বীর –
আমি চির-উন্নত শির!

আমি চির-দুরন্ত-দুর্ম্মদ,
আমি দুর্দ্দম, মম প্রাণের পেয়ালা হর্দ্দম্ হ্যায়্ হর্দ্দম্
ভরপুর মদ।
আমি হোম-শিখা, আমি সাগ্নিক, জমদগ্নি,
আমি যজ্ঞ, আমি পুরোহিত, আমি অগ্নি!
আমি সৃষ্টি, আমি ধ্বংস, আমি লোকালয়, আমি শ্মশান,
আমি অবসান, নিশাবসান।
আমি ইন্দ্রাণি-সূত হাতে চাঁদ ভালে সূর্য্য,
মম এক হাতে-বাঁকা বাঁশের বাঁশরী, আর হাতে রণ-তূর্য্য।
আমি কৃষ্ণ-কন্ঠ, মন্থন-বিষ পিয়া ব্যথা বারিধির।
আমি ব্যোমকেশ, ধরি বন্ধন-হারা ধারা গঙ্গোত্রীর।
বল বীর –
চির উন্নত মম শির।আমি সন্ন্যাসী, সুর-সৈনিক
আমি যুবরাজ, মম রাজবেশ ম্লান গৈরিক!
আমি বেদুঈন, আমি চেঙ্গিস,
আমি আপনা ছাড়া করি না কাহারে কুর্ণিশ!
আমি বজ্র, আমি ঈশান-বিষাণে ওঙ্কার,
আমি ইস্ত্রাফিলের শিঙ্গার মহা-হুঙ্কার,
আমি পিনাক-পাণির ডমরু-ত্রিশূল, ধর্ম্মরাজের দন্ড,
আমি চক্র ও মহাশঙ্খ, আমি প্রণব-নাদ-প্রচন্ড!
আমি ক্ষ্যাপা দুর্বাসা-বিশ্বামিত্র-শিষ্য,
আমি দাবানল-দাহ, দাহন করিব বিশ্ব!
আমি প্রাণ-খোলা-হাসি উল্লাস, – আমি সৃষ্টি-বৈরী মহাত্রাস,
আমি মহা-প্রলয়ের দ্বাদশ রবির রাহু-গ্রাস!
আমি কভু প্রশান্ত, – কভু অশান্ত দারুণ স্বেচ্ছাচারী,
আমি অরুণ খুনের তরুণ, আমি বিধির দর্প-হারী!
আমি প্রভঞ্জনের উচ্ছাস, আমি বারিধির মহাকল্লোল,
আমি উজ্জ্বল আমি প্রোজ্জ্বল,
আমি উচ্ছল জল-ছল-ছল, চল-ঊর্মির হিন্দোল্ দোল!

আমি বন্ধন-হারা কুমারীর বেণী, তন্বী-নয়নে বহ্নি,
আমি ষোড়শীর হৃদি-সরসিজ প্রেম-উদ্দাম, আমি ধন্যি।
আমি উন্মন মন উদাসীর,
আমি বিধাতার বুকে ক্রন্দন-শ্বাস, হা-হুতাশ আমি হুতাশীর!
আমি বঞ্চিত ব্যথা পথবাসী চির-গৃহহারা যত পথিকের,
আমি অবমানিতের মরম-বেদনা, বিষ-জ্বালা, প্রিয়-লাঞ্ছিত
বুকে গতি ফের!আমি অভিমানী চির-ক্ষুব্ধ হিয়ার কাতরতা, ব্যথা সুনিবিড়,
চিত- চুম্বন-চোর-কম্পন আমি থর-থর-থর প্রথম পরশ কুমারীর!
আমি গোপন প্রিয়ার চকিত চাহনি, ছল ক’রে দেখা অনুখন,
আমি চপল মেয়ের ভালোবাসা, তা’র কাঁকন-চুড়ির কন্-কন্।
আমি চির-শিশু, চির-কিশোর,
আমি যৌবন-ভীতু পল্লীবালার আঁচর কাঁচলি নিচোর!
আমি উত্তর-বায়ু, মলয়-অনিল, উদাসী পূরবী হাওয়া,
আমি পথিক-কবির গভীর রাগিণী, বেণু-বীনে গান গাওয়া!
আমি আকুল নিদাঘ-তিয়াসা, আমি রৌদ্র রবি,
আমি মরু-নির্ঝর ঝর-ঝর, আমি শ্যামলিমা ছায়া-ছবি! –
আমি তুরিয়ানন্দে ছুটে চলি এ কি উন্মাদ, আমি উন্মাদ!
আমি সহসা আমারে চিনেছি, আমার খুলিয়া গিয়াছে
সব বাঁধ!

আমি উত্থান, আমি পতন, আমি অচেতন-চিতে চেতন,
আমি বিশ্ব-তোরণে বৈজয়ন্তী, মানব বিজয় কেতন!
ছুটি ঝড়ের মতন করতালি দিয়া
স্বর্গ-মর্ত্ত্য করতলে,
তাজি বোরবাক্ আর উচ্চৈস্রবা বাহন আমার
হিম্মত-হ্রেস্বা হেঁকে চলে!
আমি বসুধা-বক্ষে আগ্নেয়াদ্রি, বাড়ব-বহ্নি, কালানল,
আমি পাতালে মাতাল অগ্নি-পাথর-কলরোল-কল-কোলাহল!
আমি তড়িতে চড়িয়া উড়ে চলি জোর তুড়ি দিয়া, দিয়া লম্ফ,
আণি ত্রাস সঞ্চারি ভুবনে সহসা, সঞ্চরি’ ভূমি-কম্প!
ধরি বাসুকির ফনা জাপটি’, –
ধরি স্বর্গীয় দূত জিব্রাইলের আগুনের পাখা সাপটি’!
আমি দেব-শিশু, আমি চঞ্চল,
আমি ধৃষ্ট আমি দাঁত দিয়া ছিঁড়ি বিশ্ব-মায়ের অঞ্চল!আমি অর্ফিয়াসের বাঁশরী,
মহা- সিন্ধু উতলা ঘুম্-ঘুম্
ঘুম্ চুমু দিয়ে করি নিখিল বিশ্বে নিঝ্ঝুম্
মম বাঁশরী তানে পাশরি’
আমি শ্যামের হাতের বাঁশরী।
আমি রুষে উঠে’ যবে ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া,
ভয়ে সপ্ত নরক হারিয়া দোজখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া!
আমি বিদ্রোহ-বাহী নিখিল অখিল ব্যাপিয়া!

আমি প্লাবন-বন্যা,
কভু ধরণীরে করি বরণিয়া, কভু বিপুল ধ্বংস-ধন্যা –
আমি ছিনিয়া আনিব বিষ্ণু-বক্ষ হইতে যুগল কন্যা!
আমি অন্যায়, আমি উল্কা, আমি শনি,
আমি ধূমকেতু-জ্বালা, বিষধর কাল-ফণি!
আমি ছিন্নমস্তা চন্ডী, আমি রণদা সর্বনাশী,
আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি!

আমি মৃণ্ময়, আমি চিন্ময়,
আমি অজর অমর অক্ষয়, আমি অব্যয়!
আমি মানব দানব দেবতার ভয়,
বিশ্বের আমি চির দুর্জ্জয়,
জগদীশ্বর-ঈশ্বর আমি পুরুষোত্তম সত্য,
আমি তাথিয়া তাথিয়া মথিয়া ফিরি এ স্বর্গ-পাতাল-মর্ত্ত্য
আমি উন্মাদ, আমি উন্মাদ!!
আমি চিনেছি আমারে, আজিকে আমার খুলিয়া গিয়াছে
সব বাঁধ!!
আমি পরশুরামের কঠোর কুঠার,
নিঃক্ষত্রিয় করিব বিশ্ব, আনিব শান্তি শান্ত উদার!
আমি হল বলরাম স্কন্ধে,
আমি উপাড়ি’ ফেলিব অধীন বিশ্ব অবহেলে নব সৃষ্টির মহানন্দে।

মহা- বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত,
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল, আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না,
অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না –
বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত
আমি আমি সেই দিন হব শান্ত!
আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দিই পদ-চিহ্ন,
আমি স্রষ্টা-সূদন, শোক-তাপ-হানা খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব-ভিন্ন!
আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দেবো পদ-চিহ্ন!
আমি খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন!

আমি চির-বিদ্রোহী বীর –
আমি বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির-উন্নত শির!


Pakistan-পাকিস্তান পতাকা


পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার নকশা প্রণয়ন করেন সৈয়দ আমিরুদ্দিন কেদোয়াই। এই নকশাটি অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগের ১৯০৬ সালের পতাকার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করার ৩ দিন আগে ১৯৪৭ সালের ১১ই আগস্ট তারিখে এই পতাকাটির নকশা গৃহীত হয়।

পতাকাটিকে পাকিস্তানে সাব্‌জ হিলালি পারচাম বলা হয়। উর্দু ভাষার এই বাক্যটির অর্থ হলো "নতুন চাঁদ বিশিষ্ট সবুজ পতাকা"। এছাড়াও এটাকে "পারচাম-ই-সিতারা আও হিলাল" অর্থাৎ "চাঁদ ও তারা খচিত পতাকা" বলা হয়ে থাকে।
পতাকাটির খুঁটির বিপরীত দিকের গাঢ় সবুজ অংশটি ইসলাম ধর্মের প্রতীক। খুঁটির দিকে সাদা অংশ রয়েছে, যা পাকিস্তানে বসবাসরত সংখ্যালঘু অমুসলিমদের প্রতীক। পতাকার মধ্যস্থলে রয়েছে একটি সাদা নতুন চাঁদ, যা প্রগতির প্রতীক; এবং একটি পাঁচ কোনা তারকা, যা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের প্রতীক।

Atlantic,আটলান্টিক

Atlantis, The Palm is a UAE hotel resort located at the apex of the Palm Jumeirah. It was the first resort to be built on the island and is themed on the myth of Atlantis[5] but includes distinct Arabian elements. The resort opened on September 24, 2008 as a joint venture between Kerzner International Holdings Limited and Istithmar

Hotel:
The 1,500 room nautically themed resort has two accommodation wings, also referred to as the Royal Towers, consisting of the East and the West Tower, both linked together by the Royal Bridge Suite. It is complemented by the Aquaventure water park and the locally popular Nasimi Beach which frequently plays host to concerts and other events.


শুক্রবার, ১৯ জুন, ২০১৫

এবার রমজানে রোজা রাখতে পারছেন না চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়রা

এবার রমজানে রোজা রাখতে পারছেন না চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়। এ নিয়ে ইতোমধ্যেই নানা তৎপরতা শুরু করেছে বেইজিং সরকার। চীন সরকার এক ঘোষণায় জানিয়েছে, উইঘুর জনগোষ্ঠীর মুসলিমরা এবার পবিত্র রমজান মাসে কোনো রোজা রাখতে পারবে না। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উইঘুর নেতা দিলজাত রাজিত। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, এটি তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর হামলা এবং এ ধরনের কড়াকড়ি আরোপের কারণে উইঘুর জনগোষ্ঠী চীনা সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠতে পারে।তিনি আরো বলেন, উইঘুরদের ধর্ম নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে চীন। ধর্ম পালনে এ ধরনের বিধি-নিষেধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে ওঠতে পারে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সমাবেশ লক্ষ্য করে বিচ্ছিন্নতাবাদী উইঘুররা একাধিক সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ চীন সরকারের। তবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়টি বারবার এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে। এবার রমজান শুরুর আগেই এ ব্যাপারে তৎপর হয়ে ওঠেছে চীনা সরকার। তারা উইঘুর ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে রমজান বিরোধী নানা প্রচারণা শুরু করেছে। ওই সম্প্রদায়ের অভিভাবকদের কাছ থেকে এই মর্মে জোর করে প্রতিশ্রুতি আদায় করছে যে, তাদের ছেলেমেয়েরা রমজান মাসে কোনো রোজা রাখবে না।কাজাখ সীমান্তবর্তী এলাকার রেস্টুরেন্টগুলো রোজার সময় খোলা রাখার জন্য নানাভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে সরকারি ওয়েবসাইটগুলো। এছাড়া মুসলিম মালিকানাধীন দোকানগুলোতে সিগারেট এবং মদ বিক্রি অব্যাহত রাখতে কড়া নির্দেশ দিয়েছে বেইজিং সরকার। এ নির্দেশ অমান্য করা হলে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০১৫

Hamas


The actions of extremist Jews in setting fire to an historical church located near the Sea of Galilee is "proof of the Israeli occupation's racism and its rejection of all those who are not Jewish", a Hamas spokesperson said.

In a press release, Hossam Badran said setting fire to the church was a criminal offense, adding that such actions are committed repeatedly against Muslims and Christians in Palestine and that they aim to erase the Palestinian heritage and change the features of the land.

Jewish settlers set the Tabgha church on fire early this morning. The included a monastery for monks. Two people sustained injuries from the fire. Verses from the Torah were written in Hebrew on the church's entrance.

Badran added: "This crime was not committed by marginal occupation groups; it was committed in the context of the systematic and continuous incitement exercised by various institutions and individuals on the level of Israeli politics, religion and media."

He also pointed out that the extremist Jewish groups "receive legal cover", noting that "they are neither prosecuted nor held responsible for their actions."

Badran called on the parties concerned with the Palestinian cause and world heritage to "expose" the occupation and condemn its actions which violate all international laws and conventions. He also urged the Palestinians to stand their ground and confront the occupation in all arenas and by all means and forms in order to defeat the occupation and get rid of its consequences for good.