রবিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৫

Bangla Quran - বাংলা কুরআন

সূরা ত্বীন ★★★★★★★★★★★★ 1 - শপথ আঞ্জীর (ডুমুর) ও যয়তুনের, 2 - এবং সিনাই প্রান্তরস্থ তূর পর্বতের, 3 - এবং এই নিরাপদ নগরীর। 4 - আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে। 5 - অতঃপর তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি নীচ থেকে নীচে। 6 - কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্যে রয়েছে অশেষ পুরস্কার। 7 - অতঃপর কেন তুমি অবিশ্বাস করছ কেয়ামতকে? 8 - আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্টতম বিচারক নন?

শনিবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৫

আহসান মঞ্জিল-Ahsan Manzil

আহসান মঞ্জিল আহসান মঞ্জিল পুরনো ঢাকার ইসলামপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি পূর্বে ছিল ঢাকার নবাবদের প্রাসাদ। বর্তমানে এটি জাদুঘর হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর প্রতিষ্ঠাতা নওয়াব আবদুল গনি। তিনি তার পুত্র খাজা আহসানুল্লাহ - র নামানুসারে এর নামকরণ ক বসবাসকারী নওয়াব আবদুল গণির পিতা খাজা আলীমুল্লাহ এটি ক্রয় করে বসবাস শুরু করেন। নওয়াব আবদুল গণি ১৮৭২ সালে প্রাসাদটি নতুন করে নির্মাণ করান। নতুন ভবন নির্মাণের পরে তিনি তাঁর প্রিয় পুত্র খাজা আহসানউল্লাহর নামানুসারে এর নামকরণ করেন আহসান মঞ্জিল। ১৮৯৭ সালে ১২ই জুন ঢাকায় ভূমিকম্প আঘাত হানলে আহসান মঞ্জিলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। আহসান মঞ্জিলের দক্ষিণের বারান্দাসহ ইসলামপুর রোড সংলগ্ন নহবত খানাটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়ে। পরবর্তীকালে নবাব আহসানুল্লাহ তা পুনঃনির্মাণ করেন।

Israeli Prime Minister

Israeli Prime Minister Benjamin Netanyahu insists that his country will not accept any Iranian nuclear deal that does not include Tehran's recognition of Israel's right to exist, Anadolu has reported. "Israel will not accept an agreement that allows a country that vows to annihilate us to develop nuclear weapons, full stop," he said. Speaking after a Friday cabinet meeting, Netanyahu slammed a framework deal signed on Thursday between Iran and a number of world powers as a "threat to Israel and the world." The cabinet, he noted, is united in opposing the proposed deal. "This deal poses a grave danger to the region and to the world and threatens the very survival of the state of Israel," he stressed, adding that the agreement would also lend international legitimacy to Iran's nuclear programme. "The deal will not shut down a single nuclear facility in Iran, will not destroy a single centrifuge in Iran, and will not stop research and development on Iran's advanced centrifuges," said the prime minister. "On the contrary, the deal will legitimise Iran's illegal nuclear programme. It will leave Iran with a vast nuclear infrastructure." He added that the deal will lead to the lifting of sanctions almost immediately "This at the very time that Iran is stepping up its aggression and terror in the region and beyond the region."

শুক্রবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৫

মুহাম্মাদ শামীম


এই ছবিটি শারজাহ খান শাহেব মার্কেট এর ভিতরে থেকে তোলা
shamimhawlader67@gmail.com

2050 সালে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম থাকবে ভারতে


২০৫০ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলমান থাকবে ভারতে। ইন্দোনেশিয়ার চেয়েও ভারতে বেশি মুসলিম জনগোষ্ঠী বসবাস করবে। সারা বিশ্বে মুসলমানের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ২৮০ কোটিতে।

গতকাল বৃহস্পতিবার পিউ রিসার্চ সেন্টারের জরিপে এমন তথ্য মিলেছে। পিটিআইয়ের খবরে প্রকাশিত ওই জরিপের তথ্যে জানানো হয়, ২০৫০ সালে বিশ্বে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা হবে ১৪০ কোটি। ভিন্নধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা হবে ২৯০ কোটি।

বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের সংখ্যা বাড়ছে বলে ওই জরিপের তথ্যে জানানো হয়। আসাম রাজ্যে মুসলমানের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। জরিপের তথ্যে জানানো হয়, ২০৫০ সালে বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় ভারতে সবচেয়ে বেশি মুসলিম বাস করবে। আগামী ৪০ বছরে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি বাড়বে। তবে অন্য যেকোনো ধর্মের চেয়ে ইসলাম ধর্মের প্রসার অনেক বেশি ঘটছে। এই প্রবণতা চলতে থাকলে ২০৭০ সালে ইসলাম বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় ধর্মে পরিণত হবে।

বিশ্বে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা সংখ্যায় বাড়ছে না। যেসব দেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা সংখ্যায় বেশি, সেসব দেশে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে এবং জন্মহার স্থিতিশীল রয়েছে। যেমন চীন, জাপান ও থাইল্যান্ড।

কোনো ধর্ম অনুসরণ করে না-এমন মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। ২০৫০ সালে তাঁদের হার হবে মোট জনগোষ্ঠীর ১৩ দশমিক ২ শতাংশ।

israel's top court

Israel's top court has blocked the controversial planned extension of Israel's separation wall through the historic Cremisan valley. The Cremisan community has been fighting against the Israeli defence ministry's plans to sever the Valley with the wall for nine years. The valley lies in the small town of Beit Jala, on the outskirts of Bethlehem. For over 150 years, monks from the Salesian order have made the famous Cremisan wine from the grapes in the area. Today the valley is home to the Salesian Sisters of Cremisan's convent, the Salesian monastery, a school, 58 families and the Cremisan Cellars. Under Israel's original plan, the convent school, which educates several hundred Palestinian children from the surrounding villages, would have been on the Israeli side of the separation wall. Students would have been required to cross an Israeli military checkpoint to get to class. Palestinians appealed to two popes to intervene to save the valley, in an issue that became a source of friction between Israel and the Vatican. The mayor of Bethlehem, Vera Baboun, most recently made a direct appeal to Pope Francis during an audience with him in February. The campaign against the severing of the valley was also taken up by William Hague when he was UK foreign secretary, and the archbishop of Westminster, Vincent Nichols.

Islam-ইসলাম


ইসলাম (আরবি: الإسلام‎ আল্-ইস্‌লাম্) একটি একেশ্বরবাদী এবং আব্রাহামিক ধর্ম । কোরআন দ্বারা পরিচালিত;  যা  এমন এক কিতাব যাকে এর অনুসারীরা  হবহু আল্লাহর [১]( আরবি : الله আল্লাহ ) বানী বলে মনে করেন এবং ইসলামের প্রধান নবী মুহাম্মাদ (সঃ) এর প্রদত্ত শিক্ষা পদ্ধতি, জীবনাদর্শও (বলা হয় সুন্নাহ এবং হাদিস নামে লিপিবদ্ধ রয়েছে ) এর ভিত্তি । ইসলামের অনুসারীরা মুহাম্মদ (সাঃ)কে শেষ নবী বলে মনে করেন। "ইসলাম" শব্দের অর্থ "আত্মসমর্পণ", বা একক স্রষ্টার নিকট নিজেকে সমর্পন করা। অনেকের ধারণা যে মুহাম্মদ হলেন এই ধর্মের প্রবর্তক। তবে মুসলমানদের মতে, তিনি এই ধর্মের প্রবর্তক নন বরং আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত সর্বশেষ ও চূড়ান্ত রাসূল (পয়গম্বর)। খৃস্টিয় সপ্তম শতকে তিনি এই ধর্ম পুনঃপ্রচার করেন। পবিত্র কোরআন ইসলাম ধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থ। এই ধর্মে বিশ্বাসীদের মুসলমান বা মুসলিম বলা হয়। পবিত্র কোরআন আল্লাহর বাণী এবং এটি তার কর্তৃক মুহাম্মদ (সঃ) এর নিকট প্রেরিত বলে মুসলমানরা বিশ্বাস করেন। তাদের বিশ্বাস অনুসারে মুহাম্মদ (সঃ) শেষ নবী। হাদিসে প্রাপ্ত তাঁর নির্দেশিত কাজ ও শিক্ষার ভিত্তিতে কোরআনকে ব্যাখ্যা করা হয়। তবে, কোনো হাদিসের মর্মার্থ কোরআনের বিরুদ্ধে গেলে, তা বাতিল বলে গণ্য হয়।

ইহুদি ও খৃস্ট ধর্মের ন্যায় ইসলাম ধর্মও ইব্রাহিমীয়।[২] বর্তমান বিশ্বে মুসলমানের সংখ্যা আনুমানিক ১৬০ কোটি এবং তারা পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠী। [৩] মুহাম্মদ (সাঃ) ও তার উত্তরসূরীদের প্রচার ও যুদ্ধ জয়ের ফলশ্রুতিতে ইসলাম দ্রুত বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। [৪] বর্তমানে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়া, পূর্ব আফ্রিকা, পশ্চিম আফ্রিকা, মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পূর্ব ইউরোপে মুসলমানরা বাস করেন। আরবে এ ধর্মের গোড়াপত্তন হলেও অধিকাংশ মুসলমান আন্যাংশ। আরব দেশের মুসলমানরা মোট মুসলমান জনসংখ্যার শতকরা মাত্র ২০ বিশ ভাগ।[৫] যুক্তরাজ্যসহ বেশ কিছু বলকান অঞ্চল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম ইসলাম।

বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০১৫

গোলাপ ফুল চাষ


  1. গোলাপ ফুলকে ফুলের রাণী বলা হয়। রঙ, গন্ধ ও
  2. সৌন্দর্যের জন্য গোলাপ ফুল সবার কাছেই প্রিয়।
  3. এর ইংরেজি নাম Rose ও বৈজ্ঞানিক নাম Rosa
  4. sp. আমাদের দেশে নানান রঙ ও জাতের গোলাপ ফুল
  5. চাষ করা হয়ে থাকে। যেমন-ক্রিমশন গ্লোরি, পাপা-
  6. মাইল্যান্ড, টিপটপ, হানিমুন, সানসিল্ক, রোজিনা,
  7. গোল্ডেন ইত্যাদি। জাত ভেদে গোলাপ ফুলের রঙ,
  8. আকৃতি ও গন্ধ ভিন্ন হয়ে থাকে। আমাদের দেশের
  9. সাভার, যশোর, কুষ্টিয়া প্রভৃতি জায়গায় এখন
  10. ব্যবসায়িক ভিত্তিতে গোলাপ ফুল চাষ ও বাজারজাত
  11. করা হচ্ছে।
  12. বাজার সম্ভাবনা
  13. আমাদের দেশে সারাবছরই গোলাপ ফুলের চাহিদা
  14. থাকে। সৌখিন মানুষ তার ঘর সাজানোর জন্য ফুল
  15. ব্যবহার করে। এছাড়া বিয়ে, গায়ে হলুদ, বিভিন্ন সভা,
  16. সমাবেশ অনুষ্ঠানের স্থান ফুল দিয়ে সাজানো হয়ে
  17. থাকে। তাই বলতে গেলে সারাবছরই ফুলের চাহিদা
  18. থাকে। আমাদের দেশের প্রায় সব জেলা শহরে ফুলের
  19. দোকান দেখা যায়। এসব ফুলের দোকানে ফুল
  20. সরবরাহ করে আয় করা সম্ভব। এছাড়া গোলাপ ফুল
  21. চাষ করে দেশীয় বাজারে বিক্রয়ের পাশাপাশি ফুল
  22. বিদেশেও রপ্তানী করা সম্ভব। এক্ষেত্রে বিভিন্ন
  23. রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সহায়তা দিয়ে থাকে।
  24. রজনীগন্ধা ফুল বিদেশে রপ্তানি করার জন্য এসব
  25. প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
  26. গোলাপ ফুল উৎপাদন কৌশল
  27. * চাষের উপযোগী পরিবেশ ও মাটি
  28. জাত
  29. গোলাপ ফুলকে অনেক শ্রেণীতে ভাগ করা যেতে
  30. পারে। তবে উল্লেখযোগ্য শ্রেণীগুলো হলো-
  31. ১. হাইব্রিড টি (Hybrid Teas) : এ শ্রেণীর
  32. ফুলগুলো বেশ বড়, সুগঠিত ও অনেক পাপড়িবিশিষ্ট।
  33. কাটা ফুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ক্রিমশন গ্লোরি,
  34. পাপা-মাইল্যান্ড, টিপটপ ইত্যাদি এ শ্রেণীর জাত।
  35. ২. ফ্লোরিবান্দা (Floribunda) : এ শ্রেণীর
  36. ফুলগুলো আকারে ছোট এবং থোকায় ধরে।
  37. কতকগুলো জাত কাঁটা ফুলের জন্য চাষ করা হয়।
  38. হানিমুন, সানসিল্ক, টিপটপ ইত্যাদি এ শ্রেণীর জাত।
  39. ৩. পলিয়েন্থা (Polyantha) : এ শ্রেণীর ফুলগুলো
  40. আকারে অপেক্ষাকৃত ছোট এবং বড় বড় থোকায়
  41. ধরে। জর্জ এলগার, ক্যামিও, আইডিয়াল ইত্যাদি এ
  42. শ্রেণীর জাত।
  43. ৪. মিনিয়েচার (Miniature) : এ শ্রেণীর গাছ ছোট,
  44. পাতা ছোট এবং ফুল ছোট ছোট হয়। রোজিনা,
  45. গোল্ডেন, ইয়ালো ডল ইত্যাদি এ শ্রেণীর জাত।
  46. তথ্যসূত্র : কৃষি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, জুন ২০০৭,
  47. Microfinance for Marginal and Small
  48. Farmers (MFMSF) Project, প্রজেক্ট
  49. ম্যানেজমেন্ট সেল-১, পল্লী কর্ম-সহায়ক
  50. ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ), ঢাকা।
  51. বংশবিস্তার
  52. কাটিং, গুটিকলম ও ‘টি’ বাডিং এর মাধ্যমে গোলাপের
  53. বংশবিস্তার করা হয়। কাটিং ও গুটি কলম জুলাই-
  54. আগস্ট মাসে এবং ‘টি’ বাডিং ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে
  55. শেষ করতে হয়।
  56. জমি তৈরি
  57. ১. সাধারণত চারা রোপণের ২-৩ সপ্তাহ আগে জমিকে
  58. গভীরভাবে চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝরঝরে ও সমান
  59. করে নিতে হবে।
  60. ২. এরপর জমিতে ১.২ মিটার চওড়া ও পরিমাণমত
  61. লম্বা উঁচু বেড তৈরি করে নিতে হবে।
  62. ৩. দু’টি বেডের মাঝখানে পানি নিকাশ ও সেচের জন্য
  63. নালা তৈরি করতে হবে।
  64. ৪. বেডে গাছ লাগানোর জন্য এক মিটার গভীর এবং
  65. ৬০ সে.মি. চওড়া গর্ত করতে হবে।
  66. ৫. গর্ত করার সময় ২০ সে.মি. গভীর উপরের মাটি
  67. আলাদা করে রেখে বাকি মাটির সাথে ১০ কেজি
  68. কম্পোস্ট, আধা কেজি খৈল ও একমুঠো হাড়ের
  69. গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হবে।
  70. ৬. বাকি উপরের মাটির সাথে প্রয়োজনমত গোবর
  71. মিশিয়ে গর্ত ভরাট করে নিতে হবে।
  72. ৭. বড় জাতের গোলাপের জন্য বেশি গোবর সার
  73. মিশিয়ে গর্ত ভরাট করতে হবে। বড় জাতের
  74. গোলাপের জন্য এক গর্ত থেকে অন্য গর্তের দূরত্ব
  75. ৬০ সে.মি. এবং ছোট জাতের জন্য ৩০ সে.মি. দূরত্ব
  76. বজায় রাখতে হবে।
  77. চারা রোপণ
  78. ১. নতুন চারা না লাগিয়ে এক বছর পুরানো চারা
  79. লাগানো উচিত।
  80. ২. গর্তের মধ্যে চারা সোজাভাবে লাগাতে হবে।
  81. ৩. চারার শেকড় মাটি দিয়ে সম্পূর্ণ ঢেকে দিতে হবে।
  82. ৪. জোড় কলমের মাধ্যমে তৈরি চারার জোড়ের
  83. জায়গাটি মাটি থেকে অন্তত ৩-৪ সে.মি. উপরে
  84. রাখতে হবে।
  85. সার প্রয়োগ
  86. কৃষকদের মতে গুণগত মানসম্পন্ন ভালো ফলন পেতে
  87. হলে গোলাপ ফুলের গাছে যতটুকু সম্ভব জৈব সার
  88. প্রয়োগ করতে হবে। মাটি পরীক্ষা করে মাটির ধরণ
  89. অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে। তবে জৈব সার
  90. ব্যবহার করলে মাটির গুণাগুণ ও পরিবেশ উভয়ই
  91. ভালো থাকবে। বাড়িতে গবাদি পশু থাকলে সেখান
  92. থেকে গোবর সংগ্রহ করা যাবে। নিজের গবাদি পশু না
  93. থাকলে পাড়া-প্রতিবেশি যারা গবাদি পশু পালন করে
  94. তাদের কাছ থেকে গোবর সংগ্রহ করা যেতে পারে।
  95. এছাড়া ভালো ফলন পেতে হলে জমিতে আবর্জনা
  96. পচা সার ব্যবহার করা যেতে পারে। বাড়ির আশেপাশে
  97. গর্ত করে সেখানে আবর্জনা, ঝরা পাতা ইত্যাদির
  98. স্তুপ করে রেখে আবর্জনা পচা সার তৈরি করা
  99. সম্ভব।
  100. সেচ
  101. ১. চারা রোপণের পর, চারার গোড়ায় প্রাথমিক
  102. অবস্থায় ঘন ঘন পানি দিতে হবে।
  103. ২. চারা মাটিতে ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে নতুন
  104. ডালপালা ছাড়ার পর খরা মৌসুমে প্রতি ১০ দিন পর
  105. পর একবার সেচ দিলেই চলবে।
  106. ৩. প্রতিবার পানি সেচের পর গাছের গোড়ার মাটি
  107. ঝরঝরে করে দিতে হবে।
  108. রোগবালাই ও তার প্রতিকার
  109. গোলাপ ফুলের বাগানে পোকার আক্রমণ হলে
  110. স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা
  • যেতে পারে।

Hamas

Head of Hamas Political Bureau Khaled Meshal
has said that the results of the latest Israeli
elections, which brought Benjamin Netanyahu to
form a new government 'will further diminish
hopes for peace.'
Speaking to the BBC, Meshal stated that the
victory of Prime Minister Benjamin Netanyahu's
Likud party and its right-wing allies meant there
would be "more extremism".
When asked whether his movement agrees on
the two-state solution with Israel, he said 'Israel
with its extremist leadership has killed the peace
process, the two-state solution and every
opportunity of a political solution for the
Palestinian cause.'
He insisted that his movement was not looking
for any escalation, but would defend itself. 'If
there is occupation, aggression, war and killing.'
Meshal replied on a question whether his
movement's activities were overshadowed with
the activities of the extremist Jihadists, saying
'Hamas is a model of an active resistance for a
just cause –battling occupied with a moderate
and open minded ideology.'
Condemning other so called jihadi groups such
as Al Nusra and ISIS, he explained that 'others
are acting violently in the name of Jihad, this is
not Islam.'
Regarding the people who do not believe that
Hamas is a moderate organisation, Meshal
laughed and said that 'the principles do not
change. The people who laugh at Hamas should
laugh at [Nelson] Mandela, the Vietnamese and
what [Charles] de Gaulle did when he fought
the Nazi occupation in WWII.'
'They should laugh at George Washington who
led the American Revolution. The people of the
world have been liberating from occupiers.
Palestinian people are doing the same and
Hamas is doing the same.'
He mentioned that Netanyahu during his
election campaign had pledged to ensure a
Palestinian state would not be established.
In addition, prior to his victory in the elections,
Netanyahu said 'whoever moves to establish a
Palestinian state or intends to withdraw from
territory is simply yielding territory for radical
Islamic terrorist attacks against Israel.'
Asked if that meant a state would not be
established if he remained prime minister, he
said: 'Indeed.'
During a visit to the illegal Israeli settlement of
Har Homa in the occupied East Jerusalem,
Netanyahu vowed to preserve Jerusalem's unity
'in all its parts' and said he would 'continue to
build and fortify' the city to prevent any future
division.

বাংলাদেশের অর্থনিতি


বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি নিম্ন আয়ের উন্নয়নশীল এবং স্থিতিশীল অর্থনীতি। এই অর্থনীতির বৈশিষ্ট্যসমূহের মধ্যে রয়েছে মধ্যম হারের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি, পরিব্যাপ্ত দারিদ্র, আয় বণ্টনে অসমতা, শ্রমশক্তির উল্লেখযোগ্য বেকারত্ব, জ্বালানী, খাদ্যশস্য এবং মূলধনী যন্ত্রপাথরি জন্য আমদানী নির্ভরতা, জাতীয় সঞ্চয়ের নিম্নহার, বৈদেশিক সাহায্যের ওপর ক্রমহ্রাসমান নির্ভরতা এবং কৃষি খাতের সংকোচনের সঙ্গে সঙ্গে পরিষেবাখাতের দ্রুত প্রবৃদ্ধি। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অগ্রগতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশের তৈরি পোষাক শিল্প বিশ্বের বৃহত্তম শিল্পের মধ্যে অন্যতম । ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দের আগে পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত পাট ও পাটজাত পণ্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল। এসময় পাট রপ্তানি করে দেশটি অধিকাংশ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করত। কিন্তু পলিপ্রোপিলিন পণ্যের আগমনের ফলে ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দ থেকেই পাটজাত দ্রব্যের জনপ্রিয়তা ও বাণিজ্য কমতে থাকে।

বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭০-এর দশকে সর্বোচ্চ ৫৭% প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। তবে এ প্রবৃদ্ধি বেশীদিন টেকেনি। ১৯৮০-এর দশকে এ হার ছিলো ২৯% এবং ১৯৯০-এর দশকে ছিলো ২৪%।

বাংলাদেশ বর্ধিত জনসংখ্যার অভিশাপ সত্ত্বেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এর মূল কারণ হচ্ছে অভ্যন্তরীন উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ধান উৎপাদনের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। বাংলাদেশের চাষাবাদের জমি সাধারণত ধান ও পাট চাষের জন্য ব্যবহৃত হলেও সাম্প্রতিক সময়ে গমের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে ধান উৎপাদনের দিক দিয়ে মোটামুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ। তা সত্ত্বেও মোট জনসংখ্যার ১০% থেকে ১৫% অপুষ্টির ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশের কৃষি মূলত অনিশ্চিত মৌসুমী চক্র, এবং নিয়মিত বন্য ও খরার উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। দেশের যোগাযোগ, পরিবহন ও বিদ্যুৎ খাত সঠিকভাবে গড়ে না ওঠায় দেশটির উন্নতি ব্যহত হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল খনি রয়েছে এবং কয়লা, খনিজ তেল প্রভৃতির ছোটখাট খনি রয়েছে। বাংলাদেশের শিল্প-কাঠামো দুর্বল হলেও এখানে অদক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা অঢেল এবং মজুরিও সস্তা।

১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ বিভিন্ন দাতা দেশ থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও অধিক বৈদেশিক সাহায্য ও ঋণ পেয়েছে যার মধ্যে ১৫ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের প্রধান দাতার মধ্যে রয়েছে বিশ্ব ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, সৌদি আরব ও পশ্চিম ইউরোপীয় রাষ্ট্রসমূহ। তাসত্ত্বেও বাংলাদেশের দারিদ্রের হার এখনও অনেক বেশি। মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে এবং ভারত ও চীনের পর বাংলাদেশেই সর্বোচ্চ সংখ্যক দরিদ্র মানুষ বসবাস করে। একই আয়ের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সামাজিক সেবার মান অনেক কম। বাংলাদেশে ঐতিহাসিকভাবেই বিরাট বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে এবং এর অর্থনীতি বর্তমানে বিদেশে কর্মরত শ্রমিকের পাঠানো রেমিটেন্সের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। ১৯৯৫ ও ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সবচেয়ে কম পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যানে রিজার্ভ স্থিতিশীল রয়েছে। বর্তমানের রিজার্ভ প্রায় ৩.১ বিলিয়ন ডলার যা ২০০৬ অর্থবছরের শুরুর দিকে ছিল। ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে সেপ্টেম্বরে রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৬ বিলিয়ন ডলারে।

বাংলাদেশের কৃষি


বাংলাদেশের কৃষি



বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশে শতকরা ৭৫ ভাগ লোক গ্রামে বাস করে। বাংলাদেশের গ্রাম এলাকায় ৫৯.৮৪% লোকের এবং শহর এলাকায় ১০.৮১% লোকের কৃষিখামার রয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান ১৯.১% এবং কৃষিখাতের মাধ্যমে ৪৮.১% মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। ধান,পাট,তুলা,আখ,ফুল ও রেশমগুটির চাষসহ বাগান সম্প্রসারণ,মাছ চাষ,সবজি, পশুসম্পদ উন্নয়ন, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি,বীজ উন্নয়ন ও বিতরণ ইত্যাদি বিষয়সমূহ এ দেশের কৃষি মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহের কর্মকাণ্ডের অন্তর্ভুক্ত।

এদেশের কৃষকরা সাধারণত সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে থাকে। বেশিরভাগ কৃষক এখনও ফসল উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে লাঙ্গল,মই এবং গরু ইত্যাদির উপর নির্ভরশীল। তবে কৃষকদের অনেকেই এখন বিভিন্ন আধুনিক কৃষি-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পূর্বের তুলনায় ফলন বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। ধান ও পাট বাংলাদেশের প্রধান ফসল হলেও গম,চা,আখ,আলু এবং বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি এদেশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে উৎপাদিত হয়।

কৃষি মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের কৃষিখাতের উন্নয়নের জন্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় যা বিভিন্ন প্রকল্প ও সংস্থার মাধ্যমে কৃষিখাত উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এই মন্ত্রণালয়ের কাজের পরিধি কৃষিপণ্যের উন্নয়ন থেকে শুরু করে কৃষি, কৃষি প্রকৌশল ও কৃষি অর্থনীতির ওপর গবেষণাসহ কৃষিভিত্তিক শিল্পের উন্নয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর -এর কার্যকর সেবা কৃষিখাতে যুগান্তকারী সাফল্য এনে দিয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সরবরাহ করার কাজে নিয়োজিত। বিএডিসির ২১টি বীজ বহুমুখীকরণ খামার এবং ১৫টি কনট্রাক্ট গ্রোয়ার্স জোন রয়েছে। ১২টি বীজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে কৃষিজাত পণ্যের বীজ যান্ত্রিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এছাড়াও বেসরকারি পর্যায়ে ব্যক্তি উদ্যোগ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক সংস্থা কৃষির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

আমাদের এই দেশ


প্রতিনিয়তই আমাদের দেশের আবাদযোগ্য
জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। বর্ধিত
জনসংখ্যার বাসস্থানের প্রয়োজনেই মূলতঃ
কৃষি জমির পরিমাণ কমলেও বাড়ছে মানুষের
খাদ্যের চাহিদা। ফলে ব্যাপক জনগোষ্ঠির
জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের চাহিদা বর্তমান
আবাদযোগ্য জমি থেকে প্রাপ্ত ফলন দ্বারা
মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রথমতঃ কৃষি
জমির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে এবং দ্বিতীয়তঃ
সম্পদের সঠিক ও সর্বোত্তম ব্যবহার
নিশ্চিত হচ্ছে না বিধায় কৃষকের আয় বাড়ছে
না। ফলশ্রুতিতে কৃষি প্রধান আমাদের এই
দেশের মোট জনসংখ্যার অধিকাংশই খাদ্যের
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং অর্থনৈতিক ও
সামাজিকভাবে দূরাবস্থায় জীবন-যাপন
করছে। এমতাবস্থায় কৃষি জমি ও সম্পদের
সঠিক ও সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা
অতীব গুরুত্বপূর্ণ।

১ এপ্রিল


বাংলাদেশ ৯০ শতাং
মুসলিমের দেশ হলেও আমরা মুসলিমরা আমাদের
ইতিহাস, ঐতিহ্য, চরিত্র, ধর্ম ও সংস্কৃতি
সবকিছুই যেন ভুলে গেছি! মুসলিম হিসেবে কী
করণীয় তা খুঁজে দেখি না। এক কথায় বিবেকের
দায়বদ্ধতা নেই বললেই চলে। জ্ঞান চর্চা না
করে চরিত্রহীনদের অনুকরণের ওপর নির্ভরশীল
হয়ে পড়ছি। তার একটি দৃষ্টান্ত হলো ‘এপ্রিল
ফুল’ উদযাপন করা। এপ্রিল ফুল শব্দের অর্থ,
দিবসের সূচনাকাল, প্রেক্ষাপট, মুসলিমদের
সাথে এ দিবসের সম্পর্ক ইতিবাচক নাকি
নেতিবাচক, দিবসে কী কী করা হয়, করণীয়-
বর্জনীয় ও তথ্যের ভিত্তিসহ নানা দিক
আমাদের জানা দরকার। এসব কিছু জানার পর
তা মেনে চলাই জ্ঞানীর কাজ। এ দিবসের
প্রেক্ষাপট না জেনেই এর চর্চা করা হচ্ছে।
নিজেরা যেমন এ অপসংস্কৃতির সাথে জড়িয়ে
পড়ছি তেমনি আমাদের সন্তানরাও অজ্ঞতাবশত
এ দিবসকে পালন করছে। এপ্রিল ফুল দিবসের
ইতিহাস যারা জানেন তারা এ দিবসটি পালন
করেন না বরং এ রকম একটি দিবস পালনকে বড়
ধরনের অন্যায় বলে স্বীকার করেন।
এবারে মূল কথায় আসা যাক। সাংস্কৃতিক কর্ম
হিসেবে কৌতুক করেই পালন করা হয় এপ্রিল
মাসের প্রথম দিনটি। এ দিবসটি এপ্রিল ফুল
নামে পরিচিত। এর অন্য নাম হলো অখখ
ঋঙঙখঝ’উঅণ। ফুল (ঋড়ড়ষ) একটি ইংরেজি
শব্দ। এর অর্থ বোকা। ইংরেজি এপ্রিল ফুলের
অর্থ এপ্রিলের বোকা। স্পেনের তৎকালীন
খ্রিস্টানরা মুসলিমদের বোকা বানিয়েছে বলেই
নামটি এ রকম। এপ্রিল ফুল সম্পর্কে কয়েকটি
বর্ণনা পাওয়া যায়। পক্ষে-বিপক্ষে নানা কথার
প্রচলন থাকলেও সত্যকে কেউ অস্বীকার করতে
পারে না। মুসলিমপিডিয়া, জুইস
এনসাইক্লোপিডিয়া ও অন্যান্য
এনসাইক্লোপিডিয়া ও ইতিহাস গ্রন্থের বরাতে
ড. আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া সম্পাদিত
‘পহেলা এপ্রিল’ প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন,
স্পেনের অত্যাচারিত মানুষদের আহ্বানে সাড়া
দিয়ে মুসলিম বাহিনী ৯২ হিজরি মুতাবেক ৭১১
খ্রি. স্পেনে প্রবেশ করে। মুসলিমগণই
ইউরোপের মানুষদের জ্ঞানবিজ্ঞান শিক্ষা
দেন। মুসলিম স্পেনের গ্রানাডা, কর্ডোভা ও
অন্যান্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে
ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা
পড়তে আসত। ৭১১-১৪৯২ খ্রি. পর্যন্ত প্রায়
আটশ বছর স্পেন, ফ্রান্স ও পর্তুগাল মুসলমানরা
শাসন করেছিল। এটি ছিল মুসলমানদের জন্য
স্বর্ণযুগ। শেষ দিকে তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ
কোন্দল ছড়িয়ে পড়ে। মুসলিমরা কুরআন-সুন্নাহ
ভুলে গিয়ে দুনিয়ার মায়ায় মত্ত হয়ে নেতার
নির্দেশ অমান্য করায় পারস্পরিক শত্রুতা বেড়ে
গেল। তখনই তারা স্পেন ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল।
ফলে খ্রিস্টানরা ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন অঞ্চল
মুসলিমদের থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে সক্ষম
হয়।
আজ থেকে ৫২২ বছর আগে মুসলিম অধ্যুষিত ৮৯৮
হিজরি মোতাবেক ১৪৯৩ খ্রি. রাজা
ফার্দিনান্ড ও রানী ঈসাবেলার যৌথ উদ্যোগে
মুসলিমদের শেষ রাজধানী গ্রানাডা দখল করতে
সক্ষম হয়। জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্য,
চিকিৎসা, রাজনীতি, স্থাপত্য, শিল্প ও
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি দেখে মুসলমানদের ক্ষতি
করার জন্য রাজা ফার্দিনান্ড এক ভয়ঙ্কর ফন্দি
আঁটলো। মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হলো।
মুসলমানরা রাজা-রানীর কাছে আত্মসমর্পণ
করলেন। এমতাবস্থায় ফার্দিনান্ড ঘোষণা
করেছিল, যারা মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নেবে
তাদের নিরাপদে আশ্রয় দেওয়া হবে। তার
ঘোষণায় চল্লিশ হাজার মুসলমান আত্মবিশ্বাসী
হয়ে গ্রানাডার বিভিন্ন মসজিদে আশ্রয় নিলেও
তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। মসজিদের দরজাগুলো
বাহির থেকে বন্ধ করে দিয়ে মসজিদের
মেঝেতে পেট্রল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে
মুসলিমদের হত্যা করেছিল রাজা ফার্দিনান্ড।
ঐতিহাসিক এক বর্ণনা মতে তিন দিন পর্যন্ত
হত্যাকা-ের উৎসব চলেছিল। মসজিদের
বাহিরেও অসংখ্য মুসলিমকে আগুনে পুড়িয়ে,
পাহাড় থেকে ফেলে, সমুদ্রের মধ্যে জাহাজ
ডুবিয়ে ও গণজবাই করে হত্যা করা হয়।
অনেককে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়। অথচ
মুসলমানরা এ রকম একটি অবস্থার জন্য প্রস্তুত
না থাকায় তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছে। সেদিন খ্রিস্টানগুরুর আদেশে জ্ঞান-
বিজ্ঞানের মূল সূত্র লক্ষ লক্ষ আরবি পুস্তক
পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। শুধু মুসলিমগণ নয়,
ইয়াহুদীদের উপরও খ্রিস্টানগণ একই রূপ
অত্যাচার করে। এ সময়ে রাজা ফার্দিনান্ড
উপহাস করে বলেছিল, হায় মুসলমান! তোমরা
হলে এপ্রিলের বোকা। মুসলিমদের মিথ্যা
আশ্বাসের মাধ্যমে বোকা বানানোর সময়কে
স্মরণীয় করে রাখতে এপ্রিল ফুল পালন করা হয়।
অবশেষে খ্রিস্টানরা কর্ডোভার সেই
ঐতিহাসিক মসজিদটিকে গীর্জায় পরিণত
করেছে। মসজিদের ভেতরে দরজা ও জানালার
ফাঁকে ফাঁকে মূর্তি স্থাপন করেছে। এভাবেই
মুসলিম ঐতিহ্যকে ধ্বংস করা হয়েছে। এ ঘটনা
ছাড়া আরো দুটি ঘটনার কথা উইকিপিডিয়াতে
উল্লেখ থাকলেও বর্ণিত ঘটনাটিই সবচেয়ে
বেশি প্রসিদ্ধ বলে ঐতিহাসিকরা মত প্রকাশ
করেছেন।
এপ্রিল ফুল দিবসটি পালনের সাথে মুসলিমদের
দূরতম সম্পর্ক নেই। এটি নেতিবাচক একটি
কাজ। পহেলা এপ্রিল তারিখটি আসলে মিথ্যা,
ধোঁকা ও প্রতারণার ব্যাপক চর্চা করতে দেখা
যায়। এ মিথ্যা চর্চা থেকে বাদ যায় খুব
কমসংখ্যক মানুষ। ছোট-বড়, ছাত্র-ছাত্রী,
নারী-পুরুষ সবাই না  জেনেই জড়িয়ে পড়ে এর সাথে""""""""""""?