অ্যাজমা যখন শিশুদের
সদ্যজাত থেকে বয়োবৃদ্ধ সবারই হাঁপানি হতে পারে। তবে শিশুদের হাঁপানিতে বেশি ভুগতে দেখা যায়। মোট হাঁপানি রোগীর অর্ধেকের বয়স ১০ বছরের মধ্যে। মেয়েদের তুলনায় ছেলেদেরই শিশু বয়সে এই রোগ বেশি হয়। বিশ্বের প্রায় ১০ কোটি লোক শ্বাসনালির সচরাচর সমস্যা অ্যাজমায় আক্রান্ত হয়।
শিশুদের কেন এত বেশি: শিশুদের হাঁপানিতে বেশি আক্রান্ত হওয়ার কারণ হিসেবে মনে করা হয় শ্বাসনালির হাইপার রেসপোনসিভ-নেসকে। আসলে বড়দের তুলনায় শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা কম। তাই তাদের বার বার রেসপিরেটরি ট্রাক্ট এর সংক্রমণজনিত কারণে সর্দিকাশি হওয়ার প্রবণতা বেশি। কিছু কিছু শিশুর রেসপিরেটরি ট্রাক্ট এর সংক্রমণের ফলে শ্বাসনালিগুলোতে হাইপার ইরিটেবিনিটি দেখা দেয় অর্থাৎ অতিমাত্রার সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। এই ক্রনিক ইনফ্লামেশনের ফলে বাইরে থেকে কোনো কিছু শ্বাসনালিতে ঢুকলেই শুরু হয় সংকোচন এর ফলস্বরূপ হাঁপানি।
উপসর্গ : অনেক শিশুদের প্রায়ই ঠাণ্ডা লাগে অর্থাৎ নাক দিয়ে পানি পড়ে কাশি হয় বিশেষ করে রাতে। আসলে কিন্তু এই লক্ষণগুলো ছোট শিশুদের অ্যাজমার প্রাথমিক লক্ষণ। পরে অবশ্য বড়দের মতো অন্যান্য লক্ষণগুলোও দেখা দেয় । যেমন_ বুকের ভেতর বাঁশির মতো সাঁই সাঁই আওয়াজ, শ্বাস নিতে ও ছাড়তে কষ্ট, ফুসফুস ভরে দম নিতে না পারা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন