গাজা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
গাজা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০১৫

মুসলিম উম্মাহর দায়িত্ব এ কাজে ফিলিস্তিনি জনগণকে সহযোগিতা করা

লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, ফিলিস্তিন ইস্যুর অবস্থান সব রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলাদলির ঊর্ধ্বে। রাজধানী বৈরুতে আজ (মঙ্গলবার) ফিলিস্তিন বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহ বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড মুক্ত করা সেখানকার জনগণের দায়িত্ব। কিন্তু মুসলিম উম্মাহর দায়িত্ব এ কাজে ফিলিস্তিনি জনগণকে সহযোগিতা করা। প্রতি বছর রমজানের শেষ শুক্রবারকে কুদস দিবস হিসেবে পালনের যে ডাক ইসলামি ইরানের স্থপতি ইমাম খোমেনী (রহ.) দিয়েছেন তাতে সাড়া দেয়ার জন্য তিনি গোটা মুসলিম উম্মাহর প্রতি আহ্বান জানান।

গাজা উপত্যকাকে ইসরাইলের দখলমুক্ত করাকে তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের অন্যতম বড় সাফল্য বলে উল্লেখ করেন। হিজবুল্লাহর মহাসচিব বলেন, প্রতিরোধ আন্দোলনের কারণেই দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি যুদ্ধে লেবানন ও ফিলিস্তিনের জনগণ বিজয়ী হয়েছে।

ফিলিস্তিন ইস্যুকে বাদ দিয়ে আন্তর্জাতিক সমাজ এখন অন্য কিছু বিষয় নিয়ে মেতে রয়েছে বলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহ জোর দিয়ে বলেন, এর অর্থ এই নয় যে, ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ সংগ্রাম দুর্বল হয়ে পড়েছে। হিজবুল্লাহ মহাসচিব বলেন, কোনো মুসলিম বা আরব দেশের পক্ষ থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। কোনো কোনো আরব দেশ ইসরাইলকে এখন আর হুমকি বলে মনে করে না। এ বিষয়টিকে তিনি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বলে উল্লেখ করেন।

গাজায় ইসরাইলের ভয়াবহ বোমাবর্ষণ


গাজায় ইসরাইলের ভয়াবহ বোমাবর্ষণ

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, গত বছরঅবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইল যে যুদ্ধাপরাধ করেছে তার ‘শক্ত প্রমাণ’ রয়েছে। ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস একজন ইসরাইলি সেনাকে আটক করার পর ওই ভয়াবহ অপরাধ করে ইহুদিবাদী সেনারা।

গত বছরের গাজা আগ্রাসনের সময় ১ আগস্ট লে. হাদার গোলদিন নামের একজন ইসরাইলি সেনা হামাসে হাতে ধরা পড়ে। পরবর্তীতে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে তেল আবিব। ওই ঘটনার পর রাফাহ শহরে ভয়াবহ বোমাবর্ষণ করে নারী ও শিশুসহ ১৩৫ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরাইল। অ্যামনেস্টি এ সম্পর্কে বলেছে, চারিদিক থেকে অবরুদ্ধ করার পর এসব বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে তেল আবিব। হতভাগ্য ব্যক্তিদের পালিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না।

২০১৪ সালের জুলাই ও আগস্ট মাসে ৫০ দিনব্যাপী গাজা আগ্রাসনে ২,২৫১ জন ফিলিস্তিনি শহীদ ও তাদের প্রায় দেড় হাজার ব্যক্তি আহত হন। প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পাল্টা হামলায় নিহত হয় অন্তত ৭৩ জন ইসরাইলি সেনা।

অ্যামনেস্টি বলেছে, ২০১৪ সালের ১ থেকে ৪ আগস্ট গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরে ইসরাইলি সেনারা যা করেছে তাকে সহজেই যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধ বলা যায়। বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের সাক্ষ্য গ্রহণের পাশাপাশি ওই হামলার সময়কার নানা তথ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে এ ফলাফল জানিয়েছে অ্যামনেস্টি।