ফেসবুক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ফেসবুক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৬

সর্বনাশের আগেই ফেসবুকে বন্ধু হতে সাবধান

‘বেশ মিষ্টি লাগছে।’

ফেসবুকে মেসেজটা পেয়ে ভালই লাগল সৃজার। নিশ্চয়ই কিছু ক্ষণ আগে পোস্ট করা ‘সেলফি’র প্রশংসা।

‘লাল জুতোটা দারুণ মানিয়েছে।’

এ বার শিরদাঁড়া দিয়ে একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল। জুতোর কোনও ছবি তো পোস্ট করেনি! মেসেজটা যে পাঠিয়েছে তার সঙ্গে দেখাও হয়নি! তা হলে? ফেসবুকের এই ‘বন্ধু’ কি তাকে ‘ফলো’ করছে? কিন্তু সৃজা কোথায় আছে, সে খবর জানছে কী করে?

সৃজার সন্দেহটা সত্যি প্রমাণ হতে সময় লাগল না। সত্যিই একজন পিছু নিয়েছিল। আর সৃজার হালহদিশ পাচ্ছিল ফেসবুকের লোকেশন থেকে।

‘সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে মেয়েদের ‘স্টক’ করা বা পিছু নেওয়ার অনেক অভিযোগ আমরা পাই।

অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রে ‘স্টক’ করার সমস্যাটা আরও প্রবল। এমনিতেই তো অনেক চোখ তাঁদের দিকে। তার উপর সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থিতি তো এখন তাঁদের কাজেরই একটা অঙ্গ। আমার কাছে তো ফ্যানরাই সব। কিন্তু তাঁদেরও তো বুঝতে হবে সবার একটা স্পেসের দরকার। অনেকে সেটা মানে। অনেকে সেটা মানে না। তখন খুব খারাপ লাগে। ছবি মর্ফ করে বিভিন্ন সাইটে দেওয়ার মতো জঘন্য কাজ তো আছেই। ফেসবুক-ট্যুইটারে বাজে বাজে কমেন্ট। আর এই তো দু’দিন আগে রাত তিনটের সময় একজন পনেরো বার মিসড কল দিল। শেষে বিরক্ত হয়ে কল ব্যাক করাতে বলল, ‘কেমন আছ?’ এটা খুব বিরক্তিকর। আমার তো মনে হয়, যারা এটা করে তারা মানসিক ভাবেই অসুস্থ, বলছিলেন কলকাতার অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।

মানসিক ভাবে ‘স্টকার’রা যে সুস্থ নয়, সে কথা বলছিলেন কলকাতার মনস্তত্ত্ববিদ জয়র়ঞ্জন রাম। তাঁর কাছেও এমন অনেক পেশেন্ট আসে, যারা ভুগছে সেলিব্রিটি ইরোটোম্যানিয়া’‌য়। বললেন, ট্যুইটার-ফেসবুকের আগে তো সেলিব্রিটিদের এত কাছাকাছি যাওয়ার কোনও প্রশ্ন ছিল না। কিন্তু এখন চাইলেই যে কেউ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে কমিউনিকেট করতে পারেন। আর সেলিব্রিটিরাও তো ফ্যানবেসের সঙ্গে দিব্যি টুইটারে ইন্টা‌র‌্যাক্ট করেন। এই পেশাদার কথাবার্তাকে অনেক ফ্যান বড় বেশি করে ভেবে ফেলেন। সমস্যা শুরু হয় সেখান থেকে। আমার কাছে এক পেশেন্ট এসেছিল, যে মনে করত তার সঙ্গে এক অভিনেতার ‘কসমিক’ যোগ রয়েছে।

সাইবার স্টকিং যদি একটা দিক হয়, তবে আর একটা দিক হলো ‘সাইবার বুলিং’ বা সাইবার জগতে কারওকে হয়রানি করা। তসলিমা নাসরিন বাস্তব জীবনে যেমন হয়রানির শিকার হয়েছেন নানা সময়ে, তেমনই তাঁকে সম্মুখীন হতে হচ্ছে অনলাইন হয়রানিরও। আমি আর এগুলো নিয়ে তেমন ভাবি না, জানেন। বাস্তবেও তো এমন অনেক হয়রানির শিকার হয়েছি। ডেথ থ্রেট পেয়েছি। ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড তো আর সমাজের বাইরে না। সেখানেই বা পাব না কেন! এই তো ক’দিন আগে আইএস থেকে থ্রেট পেলাম। আমি এখন ঠিক করেছি অচেনা ব্যক্তিদের আর ফেসবুকের লিস্টে রাখব না। নেগেটিভ জিনিসগুলো জীবন থেকে বাদ দিলেই আসলে সমস্যার অর্ধেক সমাধান হয়ে যায়, ফোনে বলছিলেন লেখিকা।

পুলিশও কিন্তু সেটাই বলছে। আইন যতই থাক, নিজের সাবধানতাই  সবার আগে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এ রকম ঘটনা ঘটে সচেতনতার অভাবে। একটা কথা মনে রাখা দরকার, ভার্চুয়াল জগতের কাউকে বিশ্বাস করা উচিত নয়। আপনি তো শুধু তার ছবি দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু সেই প্রোফাইল পিকচারের আড়ালে আসলে যে কে আছে, জানছেন কী করে? সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে কখনওই নিজের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না। নিজের প্রধান মেল আইডি, ফোন নম্বর না দিতে পারলেই ভাল হয়। আর পরিচিত ব্যক্তি ছাড়া ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করবেন না, জানান কলকাতার পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) দেবাশিস বড়াল।

‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র গান ছিল না, ‘হাত বাড়ালে বন্ধু পাওয়া যায় না/ বাড়ালে হাত বন্ধু সবাই হয় না।’ গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের কথাটা কিন্তু ‘ভার্চুয়াল’ জগতের ক্ষেত্রেও সত্যি। সাবধান। ফ্রেন্ডলিস্টে ফের একবার চোখ বুলিয়ে নেবেন নাকি!

বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫

অবশেষে জানা গেলো বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধের কারন

অবশেষে জানা গেলো বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধের কারন। জনগনের নিরাপত্তা বা জঙ্গী দমন নয়, বরং এর আড়ালে ছিল বাংলাদেশের ইন্টারনেট লাইনের ওপর চাপ কমিয়ে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরাকে ১০ গিগাবাইট পার সেকেন্ড ব্যান্ডউডথ হস্তান্তর। এ কাজটি করা হয়েছে হত ১ ডিসেম্বর, যা গতকাল থেকে আনুষ্ঠানিক বিতরনে গেছে।

১০ জিবিপিএস খুবই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন লাইন। ফেসবুক চালু অবস্থায় বাংলাদেশের কোটি কোটি গ্রাহকের স্বাভাবিক লাইন চালু রেখে এই পরিমান ব্যান্ডউডথ হস্তান্তর করতে গেলে গতি কমে গিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে মারাত্মক অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারত, যুব সমাজ ক্ষেপে উঠত, যা শেষ পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষেই যেতো। এসকল আশঙ্কায় বুদ্ধি করে জঙ্গী দমনের নামে বাংলাদেশের প্রযুক্তি মন্ত্রীরা আগে থেকেই বন্ধ করে দেয় সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুক! যার ফলে কোটি কোটি বাংলাদেশী অনলাইন থেকে বিযুক্ত হয়ে পড়ে। মুলত, ভারতকে নানাবিধ আইটি সুবিধা তথা বিনাশুল্কে মোবাইল ফোন ব্যবসা, এদেশের কল ও ডাটা ভারতে মনিটর নিরাপদে সম্পন্ন করার জন্য গত ৬ বছর ধরে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরী কমিশনে একজন হিন্দু চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোসকে বসানো হয়। তার অবসরের পরে ভারতীয় লবি ও শেখ হাসিনার পুত্রের সুপারিশে সেখানে বসানো হয়েছে ওয়াশিংটন মেট্র্ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রকৌশলী শাহজাহান মাহমুদকে। এর আগেই পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশের আইটি খাতের উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) উদ্যোক্তা বিক্রম দাশ গুপ্তকে। তিনি বাংলাদেশের আইটি ও আইটি সক্ষম সেবা প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলকে (বিসিসি) কৌশলগত নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করছেন।

একদিকে বাংলাদেশে যখন ফেসবুক ভাইবারের জন্য চলছে হাহাকার, ঠিক তখন অপর পাড়ে ত্রিপুরায় কল্পনার হাইস্পীড লাইন পেয়ে চলছে মহাউৎসব। যেনো তারা জয় করেছে বাংলাদেশ। এভাবেই বার বার হারছে বাংলাদেশ, আর লুটে নিচ্ছে হিন্দুস্তান।

........হয়ত হাসিনার পতনের আগ পর্যন্ত এক এক করে এভাবেই ভারত নিয়ে যাবে তাদের দরকারী সব, যা পারে। শেষে কখনও যদি বাংলার প্রকৃত মুক্তি আসে, স্বাধীনতা পায়, তবে এইসব পরাধীনতার শোধ তুলে নেয়।