বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫

অবশেষে জানা গেলো বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধের কারন

অবশেষে জানা গেলো বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধের কারন। জনগনের নিরাপত্তা বা জঙ্গী দমন নয়, বরং এর আড়ালে ছিল বাংলাদেশের ইন্টারনেট লাইনের ওপর চাপ কমিয়ে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরাকে ১০ গিগাবাইট পার সেকেন্ড ব্যান্ডউডথ হস্তান্তর। এ কাজটি করা হয়েছে হত ১ ডিসেম্বর, যা গতকাল থেকে আনুষ্ঠানিক বিতরনে গেছে।

১০ জিবিপিএস খুবই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন লাইন। ফেসবুক চালু অবস্থায় বাংলাদেশের কোটি কোটি গ্রাহকের স্বাভাবিক লাইন চালু রেখে এই পরিমান ব্যান্ডউডথ হস্তান্তর করতে গেলে গতি কমে গিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে মারাত্মক অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারত, যুব সমাজ ক্ষেপে উঠত, যা শেষ পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষেই যেতো। এসকল আশঙ্কায় বুদ্ধি করে জঙ্গী দমনের নামে বাংলাদেশের প্রযুক্তি মন্ত্রীরা আগে থেকেই বন্ধ করে দেয় সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুক! যার ফলে কোটি কোটি বাংলাদেশী অনলাইন থেকে বিযুক্ত হয়ে পড়ে। মুলত, ভারতকে নানাবিধ আইটি সুবিধা তথা বিনাশুল্কে মোবাইল ফোন ব্যবসা, এদেশের কল ও ডাটা ভারতে মনিটর নিরাপদে সম্পন্ন করার জন্য গত ৬ বছর ধরে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরী কমিশনে একজন হিন্দু চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোসকে বসানো হয়। তার অবসরের পরে ভারতীয় লবি ও শেখ হাসিনার পুত্রের সুপারিশে সেখানে বসানো হয়েছে ওয়াশিংটন মেট্র্ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রকৌশলী শাহজাহান মাহমুদকে। এর আগেই পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশের আইটি খাতের উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) উদ্যোক্তা বিক্রম দাশ গুপ্তকে। তিনি বাংলাদেশের আইটি ও আইটি সক্ষম সেবা প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলকে (বিসিসি) কৌশলগত নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করছেন।

একদিকে বাংলাদেশে যখন ফেসবুক ভাইবারের জন্য চলছে হাহাকার, ঠিক তখন অপর পাড়ে ত্রিপুরায় কল্পনার হাইস্পীড লাইন পেয়ে চলছে মহাউৎসব। যেনো তারা জয় করেছে বাংলাদেশ। এভাবেই বার বার হারছে বাংলাদেশ, আর লুটে নিচ্ছে হিন্দুস্তান।

........হয়ত হাসিনার পতনের আগ পর্যন্ত এক এক করে এভাবেই ভারত নিয়ে যাবে তাদের দরকারী সব, যা পারে। শেষে কখনও যদি বাংলার প্রকৃত মুক্তি আসে, স্বাধীনতা পায়, তবে এইসব পরাধীনতার শোধ তুলে নেয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন