বুধবার, ২২ জুলাই, ২০১৫

দুই ঈদের নামাজ

য়াজিব নামাজ (দুই ঈদের নামাজ)

ঈদের নামাজ পড়তে যেয়ে প্রায়ই বিব্রত হতে হয় এর অতিরিক্ত ৬টি তাকবীর নিয়ে। নীচে ঈদের নামাজের সংক্ষিপ্ত নিয়ম দেওয়া হইলো।

ঈদ দিন এই তাকবীর পড়া উওম তাকবীর পড়ুন “আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকরব, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু,আল্লাহু আকবর,আল্লাহু আকবর, ওয়া লিল্লাহিল হামদ” (আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আল্লাহ সবচেয়ে বড়,আল্লাহ সবচেয়ে বড়, এবং সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য) ঈদের দিন সকালে বিজোড় সংখ্যক খেজুর বা সেমাই খেয়ে নামায পড়তে যান। এক রাস্তা দিয়ে তাকবীর পড়তে পড়তে যান এবং অন্য রাস্তা দিয়ে বাড়িতে ফিরে আসুন। ঈদের নামযে হেটে যাওয়া এবং ফিরে আসা সুন্নাত।

নিম্নে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম দেয়া হলো। অনেকের ধারণা, নামাজের নিয়ত আরবিতে করা জরুরি। এমনটি ঠিক নয়। যে কোনো ভাষাতেই নামাজের নিয়ত করা যায়। নিয়ত মনে মনে করাই যথেষ্ট। ঈদের দিন ইমামের পেছনে কিবলামুখী দাঁড়িয়ে মনে এই নিয়ত করতে হবে—‘আমি অতিরিক্ত ছয় তাকবিরসহ এই ইমামের পেছনে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করছি।’ এরপর উভয় হাত কান বরাবর উঠিয়ে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত বাঁধতে হবে। হাত বাঁধার পর ছানা অর্থাৎ ‘সুবহানাকা আল্লাহুম্মা’ শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।

এরপর আল্লাহু আকবার বলে হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। দ্বিতীয়বারও একই নিয়মে তাকবির বলে হাত ছেড়ে দিতে হবে। ইমাম সাহেব তৃতীয়বার তাকবির বলে হাত বেঁধে আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ে সূরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য যে কোনো সূরা তিলাওয়াত করবেন।

এ সময় মুক্তাদিরা নীরবে দাঁড়িয়ে থাকবেন। এরপর ইমাম সাহেব নিয়মমত রুকু-সিজদা সেরে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়াবেন। মুক্তাদিরা ইমাম সাহেবের অনুসরণ করবেন। দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম সাহেব প্রথমে সূরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য সূরা পড়বেন। এরপর আগের মতো তিন তাকবির বলতে হবে। প্রতি তাকবিরের সময়ই উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। চতুর্থ তাকবির বলে হাত না উঠিয়েই রুকুতে চলে যেতে হবে। এরপর অন্যান্য নামাজের নিয়মেই নামাজ শেষ করে সালাম ফেরাতে হবে।

ঈদের নামাজ শেষে ইমাম সাহেব খুতবা পাঠ করবেন। মুসল্লিদের জন্য জুমার খুতবার মতো এই খুতবা শোনা ওয়াজিব। খুতবার সময় কথাবার্তা বলা, চলাফেলা করা, নামাজ পড়া সম্পূর্ণরূপে হারাম। কারও ঈদের নামাজ ছুটে গেলে কিংবা যে কোনো কারণে নামাজ নষ্ট হয়ে গেলে পুনরায় একাকী তা আদায় বা কাজা করার কোনো সুযোগ নেই। তবে চার বা তার অধিক লোকের ঈদের নামাজ ছুটে গেলে তাদের জন্য ঈদের নামাজ পড়ে নেয়া ওয়াজিব।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন