২০০৪ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এই ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে ৫৫ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। একইসাথে এই ১০ বছরে বিশ্বের উন্নয়নশীল ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো থেকে ৭ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয়েছে।এর মধ্যে অবৈধ বাণিজ্যের মাধ্যমে পাচার হয়েছে ৬ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার। অবৈধভাবে মুদ্রা পাচারের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৬ নম্বরে। শীর্ষ পাঁচে রয়েছে চীন, রাশিয়া, মেক্সিকো, ভারত ও মালয়েশিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) বুধবার বিশ্বের উন্নয়নশীল ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর মুদ্রা পাচার নিয়ে একটি সমীক্ষাপত্র প্রকাশ করেছে। যাতে গোটা বিশ্বের অবৈধভাবে মুদ্রা পাচারের তালিকা প্রকাশ পায়। জিএফআইয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ দেব কার ও কনিষ্ঠ অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্পানজার সমীক্ষাপত্রটি তৈরি করেন। বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে মুদ্রা পাচারে জিডিপির হিসাবে পরিমাণ ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। ২০০৩-১২ সালের প্রকাশিত সমীক্ষাপত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৫১তম।
'উন্নয়নশীল দেশ হতে মুদ্রা পাচার : ২০০৪-২০১৩’ শিরোনামে ওই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালে বিশ্বে অবৈধ মুদ্রা পাচারের পরিমাণ প্রথম ১ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। ২০১৩ সালে পাচার হয় ১ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার। যেখানে ২০০৪ সালে এর পরিমাণ ছিল ৪৬৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।
সমীক্ষাপত্রটি সম্পর্কে জিএফআইয়ের চেয়ারম্যান রেমন্ড বেকার বলেন, এই সমীক্ষা থেকে এটা স্পষ্ট যে, উন্নয়নশীল ও উদীয়মান দেশগুলোর জন্য অবৈধ মুদ্রাপ্রবাহ তাদের অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে বড় বাধা।
২০০৪ সালে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া মুদ্রার পরিমান ছিল ৩ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৩ সালে তা বেড়ে হয় ৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। গড়ে প্রতিবছর ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশী মুদ্রা পাচার হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন