শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৫

রাজধানীর ভাটারায় হামলা বোমাবাজির পর গ্রেপ্তার ২ ছাত্রলীগ নেতা

গতকাল রাতে রাজধানীর ভাটারার জগন্নাথপুর এলাকায় গ্রেপ্তার দুই ছাত্রলীগ নেতা। ছবি : কালের কণ্ঠ
অ- অ অ+

রাজধানীর ভাটারায় দলবল নিয়ে হামলা ও বোমাবাজির পর ছাত্রলীগের দুই নেতাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী। তাঁদের কাছ থেকে চাপাতিসহ দেশি কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে ভাটারার জগন্নাথপুর আজিজ সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর এলাকার ব্যবসায়ী ও লোকজন বিক্ষোভ করেছে। তাদের অভিযোগ, একটি হোটেলের মালিকের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়ে না পেয়ে ছাত্রলীগের এই দুই নেতা লোকজন নিয়ে ওই হোটেল ও এলাকার বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ১৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি মাহমুদুল হাসান অঞ্জন ও সাবেক সভাপতি জিয়াউল হক জিয়া।

ভাটারা থানার ওসি নূরুল মুত্তাকিন দুজনকে গ্রেপ্তার ও দেশি অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিসমিল্লাহ নামের খাবার হোটেলটির মালিক বিলায়েত হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, গত রবিবার রাত ১০টার দিকে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল হাসান অঞ্জন ও জিয়াউল হক জিয়ার নেতৃত্বে কমপক্ষে ৩০ জন তাঁর হোটেলে এসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি টাকা দিতে না চাইলে পরের দিন আসবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায় তারা। এরপর গত সোমবার তাদের পক্ষে উঠতি বয়সী সাত-আটজন কিশোর এসে তাঁর কাছে আবার ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় কিশোররা তাঁকে মারধর করে। তখন তাঁর চিত্কারে স্থানীয় লোকজন এসে ওই কিশোরদের আটক করে। পরে তাদের স্থানীয় বাড়ি মালিক সমিতি 'জগন্নাথপুর সোসাইটির' কার্যালয়ে নিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে বিচার বসে। পরে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

মালিক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, গতকাল রাত পৌনে ৮টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা অঞ্জন ও জিয়ার নেতৃত্বে প্রায় দুই শতাধিক লোকজন মিছিল করে 'জয় বাংলা' স্লোগান দিয়ে বিসমিল্লাহ হোটেলসহ এলাকার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। তারা বাড়ি মালিক সমিতির কার্যালয়েও হামলা চালায়। পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকলে মসজিদের মাইক থেকে হামলার বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানানো হয়। এরপর  স্থানীয় লোকজন হামলাকারীদের আটক করার চেষ্টা করে। তখন হামলাকারীরা ককটেল ফাটিয়ে পিছু হটে। কিন্তু ধরা পড়ে যান অঞ্জন ও জিয়া। পরে পুলিশ ডেকে তাঁদের তুলে দেওয়া হয়।

গতকাল রাত সোয়া ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, গ্রেপ্তারকৃত জিয়া ও অঞ্জন বিএনপির সময় ছাত্রদল করত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাঁরা ছাত্রলীগের নেতা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন