মঙ্গলবার শিলংয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটে বক্তব্য রাখার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ভারতের মিসাইলম্যান এ পি জে আবদুল কালামের। এর পরে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আবদুল কাদের খান বলেন, "কালাম সবসময় সহজ কাজ করার পক্ষে ছিলেন। তবে তিনি কখনই বিজ্ঞানী হিসেবে বিশেষ কিছু করেননি।" একই সঙ্গে আবদুল কাদের খানের দাবি, ভারতের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পিছনে কালামের কোনো কৃতিত্ব নেই। তার কথায়, "কালামকে ভারতের রাষ্ট্রপতি করা হয়েছিল কারণ সে সময় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের একজন সংখ্যালঘু মুখ দরকার ছিল। ২০০২ সালের গোদরা হত্যাকাণ্ডে মুখ পুড়েছিল বিজেপির তাই কালামকে রাষ্ট্রপতি পদে বসানো হয়।"
শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০১৫
ভারতের পরমানু রাসিয়ার কাছ থেকে ধার করা
মঙ্গলবার শিলংয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটে বক্তব্য রাখার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ভারতের মিসাইলম্যান এ পি জে আবদুল কালামের। এর পরে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আবদুল কাদের খান বলেন, "কালাম সবসময় সহজ কাজ করার পক্ষে ছিলেন। তবে তিনি কখনই বিজ্ঞানী হিসেবে বিশেষ কিছু করেননি।" একই সঙ্গে আবদুল কাদের খানের দাবি, ভারতের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পিছনে কালামের কোনো কৃতিত্ব নেই। তার কথায়, "কালামকে ভারতের রাষ্ট্রপতি করা হয়েছিল কারণ সে সময় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের একজন সংখ্যালঘু মুখ দরকার ছিল। ২০০২ সালের গোদরা হত্যাকাণ্ডে মুখ পুড়েছিল বিজেপির তাই কালামকে রাষ্ট্রপতি পদে বসানো হয়।"
বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০১৫
মুসলিম উম্মাহর দায়িত্ব এ কাজে ফিলিস্তিনি জনগণকে সহযোগিতা করা
লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, ফিলিস্তিন ইস্যুর অবস্থান সব রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলাদলির ঊর্ধ্বে। রাজধানী বৈরুতে আজ (মঙ্গলবার) ফিলিস্তিন বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহ বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড মুক্ত করা সেখানকার জনগণের দায়িত্ব। কিন্তু মুসলিম উম্মাহর দায়িত্ব এ কাজে ফিলিস্তিনি জনগণকে সহযোগিতা করা। প্রতি বছর রমজানের শেষ শুক্রবারকে কুদস দিবস হিসেবে পালনের যে ডাক ইসলামি ইরানের স্থপতি ইমাম খোমেনী (রহ.) দিয়েছেন তাতে সাড়া দেয়ার জন্য তিনি গোটা মুসলিম উম্মাহর প্রতি আহ্বান জানান।
গাজা উপত্যকাকে ইসরাইলের দখলমুক্ত করাকে তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের অন্যতম বড় সাফল্য বলে উল্লেখ করেন। হিজবুল্লাহর মহাসচিব বলেন, প্রতিরোধ আন্দোলনের কারণেই দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি যুদ্ধে লেবানন ও ফিলিস্তিনের জনগণ বিজয়ী হয়েছে।
ফিলিস্তিন ইস্যুকে বাদ দিয়ে আন্তর্জাতিক সমাজ এখন অন্য কিছু বিষয় নিয়ে মেতে রয়েছে বলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহ জোর দিয়ে বলেন, এর অর্থ এই নয় যে, ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ সংগ্রাম দুর্বল হয়ে পড়েছে। হিজবুল্লাহ মহাসচিব বলেন, কোনো মুসলিম বা আরব দেশের পক্ষ থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। কোনো কোনো আরব দেশ ইসরাইলকে এখন আর হুমকি বলে মনে করে না। এ বিষয়টিকে তিনি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বলে উল্লেখ করেন।
গাজায় ইসরাইলের ভয়াবহ বোমাবর্ষণ
গাজায় ইসরাইলের ভয়াবহ বোমাবর্ষণ
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, গত বছরঅবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইল যে যুদ্ধাপরাধ করেছে তার ‘শক্ত প্রমাণ’ রয়েছে। ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস একজন ইসরাইলি সেনাকে আটক করার পর ওই ভয়াবহ অপরাধ করে ইহুদিবাদী সেনারা।
গত বছরের গাজা আগ্রাসনের সময় ১ আগস্ট লে. হাদার গোলদিন নামের একজন ইসরাইলি সেনা হামাসে হাতে ধরা পড়ে। পরবর্তীতে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে তেল আবিব। ওই ঘটনার পর রাফাহ শহরে ভয়াবহ বোমাবর্ষণ করে নারী ও শিশুসহ ১৩৫ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরাইল। অ্যামনেস্টি এ সম্পর্কে বলেছে, চারিদিক থেকে অবরুদ্ধ করার পর এসব বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে তেল আবিব। হতভাগ্য ব্যক্তিদের পালিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না।
২০১৪ সালের জুলাই ও আগস্ট মাসে ৫০ দিনব্যাপী গাজা আগ্রাসনে ২,২৫১ জন ফিলিস্তিনি শহীদ ও তাদের প্রায় দেড় হাজার ব্যক্তি আহত হন। প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পাল্টা হামলায় নিহত হয় অন্তত ৭৩ জন ইসরাইলি সেনা।
অ্যামনেস্টি বলেছে, ২০১৪ সালের ১ থেকে ৪ আগস্ট গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরে ইসরাইলি সেনারা যা করেছে তাকে সহজেই যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধ বলা যায়। বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের সাক্ষ্য গ্রহণের পাশাপাশি ওই হামলার সময়কার নানা তথ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে এ ফলাফল জানিয়েছে অ্যামনেস্টি।
যুবলীগের ক্রসফায়ারে গর্ভাবস্থায় আহত শিশুটিকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে
যুবলীগের ক্রসফায়ারে গর্ভাবস্থায় আহত শিশুটিকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে
যুবলীগের ক্রসফায়ারে আহত গর্ভের শিশুকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা চালাচ্ছেন ডাক্তাররা। গতকাল শিশুটির চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শিশুটির মা নাজমা এখনো আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাগুরা হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার মাগুরার দোয়ারপাড় এলাকায় যুবলীগের কামরুল ভূঁইয়ার সাথে আলী হোসেন ও আজিবর বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এ সময় আলী হোসেন আজিবর বাহিনী কামরুল ভূঁইয়ার বাড়িতে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে কামরুল ভূঁইয়ার ভাই বাচ্চু ভূঁইয়ার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা নাজমা, মোমিন ও মিরাজ গুলিবিদ্ধ হন। ওই রাতেই মোমিন হাসপাতালে মারা যান। রাতেই নাজমা অস্ত্রোপচারে একটি মেয়ে জন্ম দেন। জন্মের পর দেখা যায় শিশুটির শরীরেও গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তার পিঠ দিয়ে গুলি লেগে বুকের এক পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। এ ছাড়া একটি চোখও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ দিকে মাগুরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে তাকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ২৫ জুলাই ভোরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন শিশুটির চাচা রেজাউল কবির ও ফুপু শিউলি বেগম। শিশুটিকে শিশু সার্জারি বিভাগের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। সেখানে ব্যান্ডেজ বাঁধাবস্থায় শিশুটির চিকিৎসা চলছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, শিশুটিকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ডাক্তাররা। গতকাল এ নিয়ে আট সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। টিমের প্রধান হচ্ছেন শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাক্তার আশরাফুর হক কাজল। তিনি বলেছেন, শিশুটির সুচিকিৎসার জন্য, যা করা দরকার সবই চলছে। শিশুটির অবস্থা আগের চেয়ে উন্নত বলে হাসপাতাল সূত্র জানায়।
এ দিকে বিষয়টি নিয়ে মাগুরার প্রশাসনও ওঠে পড়ে লেগেছে বলে স্থানীয় সূত্র জানায়। পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে। এরই মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতারেরও খবর পাওয়া গেছে। তবে মূল অপরাধীরা ঘটনার পরই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র জানায়। তারা আশপাশের এলাকায় গিয়ে অবস্থান করছে বলে জানা যায়। স্থানীয় সূত্র জানায়, এই দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘ দিনই বিবাদ চলে আসছে। স্থানীয় প্রশাসন আগে থেকেই তা জানত। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিকারের কোনো ব্যবস্থা করেনি। যার নির্মম পরিণতি থেকে গর্ভের শিশুও রেহাই পায়নি।
কে আসোল প্রেমিক বুজার ৭ টি উপায়
দু'জনের মধ্যে কে যোগ্য প্রেমিক? বুঝে নিতে ৭ পরামর্শ
ভালো লাগা মানুষের তালিকায় একাধিক মানুষ আসতেই পারেন। কিন্তু এদের মধ্য থেকে ভালোবাসার মানুষটি তো একজনই হবেন। এমনও হতে পারে, একটা মেয়ে তার সঙ্গীর মধ্যে পছন্দ-অপছন্দ, রুচিবোধ, ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি ক্ষেত্রে যে বৈশিষ্ট্যগুলো দেখতে চান তা হয়তো দুটো ছেলের মধ্যেই সুস্পষ্ট। দু'জনকেই ভালো লাগতে পারে। তারা দু'জনই মেয়েটাকে পছন্দ করে থাকতে পারেন। এ ক্ষেত্রে মন দেয়া-নেয়ার কাজে দু'জনের মধ্যে সেরাকেই বেছে নিতে হবে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে সেরা মানুষটিকে বেছে নেয়ায় সিদ্ধান্তহীনতা কাজ করে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওদের মধ্যে একজন অবশ্যই আপনার সঙ্গী হিসাবে অপরজনের চেয়ে যোগ্যতর। আর তাকে খুঁজে করা প্রয়োজন। সঠিক জনকে খুঁজে পাওয়ার দারুণ কার্যকর ৭টি পরামর্শ নিয়ে নিন।
১. প্রত্যেকের ব্যক্তিত্বের ইতিবাচক দিকগুলো খুঁজে বের করুন। প্রয়োজনে এগুলো পয়েন্ট আকারে লিখে নিন। দু'জনকেই সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করুন। তাদের রুচি কেমন, তাদের সেন্স অব হিউমার কি অবস্থায় রয়েছে, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কি ধরনের ইত্যাদি বিষয় তুলনা করুন।
২. দু'জনের প্রতিই আপনার ভালো লাগা কাজ করতে পারে। তারা দু'জনই নানা গুণে গুণান্বিত। কিন্তু তাদের যত গুণই থাক না কেন, একজনের উপস্থিতি আপনার অনুভূতিতে বেশি নাড়া দেবে। আপনার সর্বোচ্চটুকু যেকোনো একজন বের করে আনতে সক্ষম। যার বদৌলতে আপনি নিজের ভেতরে নতুন বা অনন্য কিছু অনুভব করছেন, তিনিই আপনার জন্যে ইতিবাচক।
৩. এবার দু'জনের চরিত্রের নেতিবাচক দিকগুলোতে দৃষ্টি দিন। প্রত্যেকেরই দোষ-ত্রুটি রয়েছে। কিন্তু কোন বিষয়গুলো আপনি একেবারেই সহ্য করতে পারেন না, তা বুঝতে হবে। আপনার কাছে যেকোনো একজনের নেতিবাচক বিষয়গুলো সহনীয় মনে হবে। হয়তো অন্য কোনো মেয়ের কাছে একই বিষয় নিকৃষ্ট গণ্য হবে। নিজের সঙ্গে খাপ খায় এমন ত্রুটিসম্পন্ন মানুষটিকে চিহ্নিত করুন।
৪. তাদের প্রত্যেকেই আপনার বিষয়ে বিশেষ কিছু অনুভূতি ধারণ করেন। এগুলোর প্রকাশ ভিন্ন হবে। আপনার কাছে যা গুরুত্বপূর্ণ, তা কোন ছেলেটি সমগুরুত্বের সঙ্গে দেখেন বুঝে নিন। আপনার প্রতি যার আবেগ ও অনুভূতি বেশি ক্রিয়াশীল থাকে, তিনিই বেশি সংবেদনশীল।
৫. খুব কাছের বন্ধুদের সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করতে পারেন। অভিজ্ঞ বন্ধুরা আপনাকে সুপরামর্শ দিতে পারবেন। তাদের দৃষ্টিতে আপনার জন্যে কে সঠিক পুরুষ হয়ে ওঠেন তা জানা জরুরি। তাদের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে নিজেরটি মিলিয়ে পার্থক্য ধরতে পারবেন।
৬. ওই দু'জনের কিছু বিষয়ে নিশ্চয়ই মিল থাকবে। এই মিলগুলো দেখার চেষ্টা করুন। আবার তাদের মধ্যে নানা অমিলও রয়েছে। সেগুলোও বের করুন। এতে দু'জনের পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
৭. সবচেয়ে বড় কথা হলো, তালগোল পাকিয়ে ফেলবেন না। অর্থাৎ, দু'জনের ব্যক্তিত্বের খুঁটিনাটি তুলনা করতে গিয়ে গুলিয়ে ফেললে সিদ্ধান্তে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই শীতল মস্তিষ্কে দু'জন মানুষকে চেনার চেষ্টা করুন। সেইসঙ্গে নিজের মনের কথাটিও বুঝে নিতে ভুলবেন না। একজন অনেক বেশি গুণের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও অপরজনকেই বেশি ভালো লেগে যেতে পারে আপনার।
মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০১৫
বাংলাদেশের সুন্দরবনে আর মাত্র ১০৬টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার অবশিষ্ট আছে
সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশের সুন্দরবনে আর মাত্র ১০৬টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার অবশিষ্ট আছে৷ ক্যামেরা ক্যাপচার পদ্ধতিতে পাওয়া এ সংখ্যায় বিস্মিত হয়েছেন বিশেষজ্ঞসহ অনেকই৷
বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী অঞ্চলের বন সংরক্ষক তপন কুমার দে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ক্যামেরা ক্যাপচার পদ্ধতির জরিপে বাংলাদেশ এবং ভারতীয় সুন্দরবনে ৮৩ থেকে ১৩০টি বাঘের সন্ধান পাওয়া গেছে৷ এর গড় হিসেবে বাংলাদেশ অংশে প্রকৃত বাঘের সংখ্যা সর্বোচ্চ ১০৬টি হতে পারে৷''
অথচ এর আগে, ২০০৪ সালে, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও ভারতের বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় পায়ের ছাপের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত জরিপে ছয় হাজার বর্গকিলোমিটারের সুন্দরবনে ৪৪০টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার গণনা করা হয়৷ এর মধ্যে ১২১টি পুরুষ, ২৯৮টি বাঘিনী এবং ২১টি শিশু বাঘ ছিল বলে জানা যায়৷ এরপর ২০০৬ সালে ক্যামেরা ট্র্যাপিং ও আপেক্ষিক সংখ্যা পদ্ধতি অনুসরণ করে সুন্দরবনের এক শুমারিতে দুই শ'টি বাঘের কথা বলা হয়েছিল৷ কিন্তু এবার ক্যামেরা ক্যাপচার পদ্ধতিতে এই গণনা করা হলে আগের করা পায়ের ছাপ পর্যবেক্ষণ বা ‘পাগ মার্ক' পদ্ধতির ফলাফলটি ভুল প্রমাণিত হলো৷
তপন কুমার দে বলেন, ‘‘সর্বশেষ জরিপে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে যে বাঘের সংখ্যার কথা বলা হচ্ছে, তা মোটামুটি নির্ভুল৷ তিনি বলেন, ক্যামেরা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জরিপ শেষ হয় গত এপ্রিল মাসে৷ এর আগে সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে ৭৪টি বাঘ থাকার কথা বলা হয় অন্য একটি জরিপে৷''
উল্লেখ্য, সুন্দরবনের মাত্র ৪০ শতাংশ ভারতের মধ্যে পড়ে৷'
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যার অধ্যাপক ও বাঘ বিশেষজ্ঞ মনিরুল খান জানান, ‘‘নতুন জরিপে বাঘ কমে যাওয়ার আশঙ্কাই সত্যি হলো৷ তবে বাঘের সংখ্যা আমাদের শঙ্কার চেয়েও অনেক কমে গেছে৷''
তিনি জানান, ‘‘এর আগে আমার নিজস্ব গবেষণায় দুই শ'টির কাছাকাছি বাঘ থাকার তথ্য পেয়েছি৷'' তার কথায়, ‘‘চোরাশিকার ও বনাঞ্চলের আশেপাশে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণেই বাঘের সংখ্যা কমছে৷ বাঘের খাবার এবং আবাস এখন হুমকির মুখে৷ তাই সরকারের উচিত বাঘ রক্ষায় আরো পদক্ষেপ নেয়া৷''
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ও ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক মো: আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘বনবিভাগ আগে ৪৪০টি বাঘ থাকার কথা বলেছে, এখন বলছে ১০৬টি৷ সরকারি এই তথ্য আমাদের মানতে হবে৷ তবে বাঘ যে কমে যাচ্ছে, এটাই সত্য৷ চোরাকারবারিদের শিকার আর খাবার সঙ্কটে বাঘ কমছে৷''
তাই তিনি বাঘের সংখ্যা কমে যাওয়ার প্রবণতা রোধ এবং বিপন্ন এ প্রজতি রক্ষায় এখনই সুন্দরবনে পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ সব ধরনের প্রতিনিধির অংশগ্রহণে স্বাধীন ‘অ্যান্টি পোচিং ইউনিট' গঠনের দাবি জানান৷
ওদিকে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড' জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী বাঘ বিলুপ্তির শঙ্কায় রয়েছে তারা৷ প্রায় এক লাখ বাঘ থেকে এই সংখ্যা এখন এক হাজার নয় শ' থেকে তিন হাজার ছয় শ'তে নেমে এসেছে৷
‘ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া'-র ওয়াই. ভি. ঝালা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘এ সংখ্যা এক ধরনের বাস্তবতা৷ তার মতে, ‘‘সুন্দরবনে আগে ৪৪০টি বাঘ থাকার তথ্য একটি কল্পকথা৷ সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে সর্বোচ্চ দুই শ'টি বাঘ থাকতে পারে৷''
জিহাদ | বাংলা
ইন্নাল হামদা লিল্লাহ। ওয়াস সালাতু ওয়াস আলামু আলা রাসুলিল্লাহ।
অনেকেই জিহাদ বলতে খুব সাদা-মাঠাভাবে কিছু মানুষ জড়ো করে, তাদেরকে কিতালের ব্যাপারে তাহরীদকরে, জিহাদের ব্যাপারে কিছু আয়াত-হাদিস মুখস্থ করিয়ে – একসাথে ‘কিছু একটা’ করা মনে করেথাকেন। আমাদেরকে এই ‘কিছু একটা’ এর গভীরে যেতে হবে।বাস্তবে জিহাদ কিভাবে করতে হবে – তা জানতে হবে।কিভাবে দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের মুজাহিদীনরা জিহাদ করছেন – সেটা জানতে হবে।তা না হলে এই ‘কিছু একটা’ এর ব্যাপারে ভাসাভাসা ধারনা নিয়ে কাজ করতে গেলে, আমরা এই জমীনের জিহাদকে হয়তো আরো অনেক পিছিয়ে দিবো। আর আমরা সেটা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই এবং সকল ব্যাপারে শুধু আল্লাহর উপরই ভরসা করি।শাইখুল মুজাহিদ ইমাম আব্দুল্লাহ আজ্জাম (রঃ) বলেছেনঃ (আল-আন্দালুস মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিতআলজেরিয়ার মুজাহিদীনদের সাম্প্রতিক ভিডিওতে এই বক্তব্য এসেছে)জিহাদ চারটি পর্বের সমন্বয়ে গঠিতঃহিজরতইদাদ বা প্রস্তুতিরিবাতকিতালতিনি আরো বলেছেনঃ“ইদাদ ছাড়া কিতাল করা সম্ভব নয়। রিবাত ছাড়া কিতাল করা সম্ভব নয়।”তবে প্রত্যেক মুজাহিদকেই আলাদাভাবে এই চারটা পর্বে কাজ করতে হবে এমনটা নয়। এটা হলো সাধারণভাবে যে কোন জিহাদের জন্য পর্ব। মুজাহিদীনদের একদল এগুলো করলেই হবে ইনশাআল্লাহ। যেমনঃক) হিজরতঃমক্কার মুহাজিররা হিজরত করেছিলেন, কিন্তু মদীনার আনসাররা হিজরত করেন নি। তারা হিজরত করতে সহায়তা করেছেন। তারা দিয়েছেন নুসরত। মদীনার আনসাররা আনসার হবার পরেই কেবল মক্কার মুহাজিরদের জন্য হিজরত করা সম্ভব হয়েছে। আল্লাহ তাঁদের সবার উপর রাজী থাকুন।আবার হিজরত করতে হলে যে বর্তমান একদেশ থেকে অন্য দেশে যেতে হবেই – এই চিন্তাধারাও যথেষ্ট আলোচনার দাবী রাখে।এসব বর্ডার তো মাত্র সেদিন ব্রিটিশ কাফির-ক্রুসেডাররা যাবার সময় এঁকে দিয়ে গেছে।এছাড়া মক্কা থেকে মদীনার দূরত্ব হয়তো টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া এর দূরত্বের কাছাকাছি হতে পারে। তাহলে বড় যেকোন দেশের এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে গেলেতো এর চেয়ে বেশী দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে।তাই বুঝা যায়, হিজরত মূলত নিজের দ্বীনকে হেফাজত করার জন্য অন্যত্র চলে যাওয়া। সেটার দূরত্ব নির্দিষ্ট নেই। একই দেশের ভিতরে হিজরতের ব্যাপারে ইমাম আনোয়ার আওলাকী (রঃ) তাঁর “হিজরত” লেকচারে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।এছাড়া অনেক সময়, একই দেশে থেকেও অনেক মুজাহিদ নিজের বাড়ী-ঘর ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। সেটাও হিজরত হতে পারে। আল্লাহই ভালো জানেন।আমরা বর্তমানে মক্কার মুহাজির না হয়ে মদীনার আনসারদের ভূমিকায় থাকতে পারি। তাহলেও জিহাদেরপ্রথম পর্বে আমাদের অংশগ্রহণ থাকলো ইনশাআল্লাহ।এটাই বর্তমান যুগের জিহাদের মূল স্রোত। সবাই জিহাদের জন্য নুসরত দেয়ার চেষ্টা করছেন। সবাই আনসার হবার চেষ্টা করছেন। যেমনঃ আনসার আশ শারীয়াহ, আনসার আদ দ্বীন, জাবহাত আন নুসরাহ। খোরাসানের তালেবান মুজাহিদীনগণ, যারা এই যুগের জিহাদের সূতিকাগার হিসেবে কাজ করছেন, তারাও আরব মুজাহিদীনদেরকে নুসরত দিয়েছেন।তাই আমাদের সবার আনসার হওয়া উচিত। আমরা যেভাবে নিজের জান-মাল-সন্তানদেরকে রক্ষা করি, সেভাবে মুজাহিদীনদেরকে রক্ষা করা উচিত। নিজের ঘরে তাদেরকে জায়গা দেয়া উচিত। যাতে তারা জিহাদের কাজ সুন্দরভাবে আঞ্জাম দিতে পারেন।এছাড়া এদেশ থেকে সবাই হিজরত করে অন্য দেশে চলে গেলে এই দেশে মুর্তাদদেরকে হটিয়ে ইসলামী শরীয়াত কায়েম করবে কারা? এ দেশ তো তাহলে আজীবনের জন্য মুর্তাদদের দখলে থেকে যাবে। আমাদেরএলাকার মুজাহিদীনরা জিহাদে শরীক না থাকলে অন্য দেশের মুজাহিদীনরা এসেতো এখন বাংলাদেশকে তাগুত-মুর্তাদদের থেকে উদ্ধার করে দিবেন না। আমাদের এলাকা আমাদেরকেই সামাল দিতে হবে।এমনিতেও এখানে শরীয়াতের পুনঃবিজয় করা ইজমা অনুযায়ী আমাদের উপর ফরজে আইন।তাই, আমরা নিজেরা আনসার হয়ে এদেশে মজলুম মুসলমান ও মুজাহিদীনদেরকে হিজরত করে আসার সুযোগ দেয়া উচিত।খ) ইদাদঃইমাম আব্দুল্লাহ আজ্জাম (রঃ) আরো বলেছেনঃ“প্রতিটা ঘন্টা কিতালের জন্য রয়েছে হাজারো ঘন্টার প্রস্তুতি”।“জিহাদের প্রস্তুতি চলে মাসের পর মাস। কিন্তু কিতাল চলে অল্প সময়ের জন্য। মাসে একদিন কিংবাদুই মাসে একদিন।”সত্যি, যুদ্ধের জন্য কুফফারদের প্রস্তুতি দেখলে ইমাম আব্দুল্লাহ আজ্জাম (রঃ) এর কথার মাহাত্ম বুঝা যায়। ইরাক যুদ্ধের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো কুফফারও কয়েক মাস ধরে মধ্যপ্রাচ্যে লজিষ্টিক সাপোর্ট সঞ্চয় করেছে। কিন্তু সেখানে তাদের যুদ্ধ চলেছে মাত্র কয়েক সপ্তাহ।অর্বাচীনরাই কেবল জিহাদের এই পর্বে তাড়াহুড়া করে সকল প্রস্তুতির কাজ বিনষ্ট করে চাইবে।বোকারাই কেবল সবরের অভাব হেতু এই পর্বে কাজ করতে চাইবে না।আর বাস্তবিক এই পর্বের কাজ খুবই কষ্টকর। কারণ চোখের সামনে কোন সুস্পষ্ট ফলাফল এই পর্বে দেখাযাবে না। হয়তো মুজাহিদ উমারা শুধু এই পর্বে সার্বিক প্রস্তুতির অগ্রগতি বুঝতে পারবেন। হয়তো নিরাপত্তার স্বার্থে তারা সকল মুজাহিদীনদের সাথে এই অগ্রগতি নিয়ে সাধারণভাবে আলোচনাওকরবেন না।এই পর্ব হলোঃ শ্রবণ ও আনুগত্যের পরীক্ষার এক পর্ব। কারণ অনেক সময় হাতে অস্ত্র থাকবে, সুযোগথাকবে কোন অপারেশন করার, কিন্তু সার্বিকভাবে ইদাদ শেষ না হওয়ায় হয়তো অপারেশনের অনুমতি মিলবে না। একমাত্র মুজাহিদীন উমারা ভালো বুঝবেনঃ এখন কি অপারেশন করার মতো সামর্থ্য মুজাহিদীনদের জামায়াত অর্জন করেছে কিনা। কারণ তারা সার্বিক পরিস্থিতির ব্যাপারে জানবেন।ইদাদ পর্বের জন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন – ততটুকু সময়ই নেয়া দরকার। এর চেয়ে কম সময়ে কাজ করতে গেলে প্রস্তুতি ঠিকমতো না নিয়ে অপারেশন শুরু করে দিলে, যে কোন জিহাদী তানজিমের জন্য তাদের মঞ্জিলে পৌঁছা কষ্টকর হয়ে যাবে।অর্ধেক প্রস্তুতি নিয়ে কিতাল শুরু করে দিলে হয়তো নিম্নশ্রেণীর কিছু মুর্তাদ পুলিশ কিংবা সৈনিককে কতল করা যাবে, কিন্তু জিহাদের মূল মাকসাদ হাসিল করা কষ্টকর হয়ে যাবে। ব্যক্তিগতভাবে হয়তো ঐ মুজাহিদীনরা সাফল্য লাভ করবেন, কিন্তু এই অঞ্চলের মুসলিমদের পরিস্থিতির কোন পরিবর্তনের সম্ভাবনা তখন থাকবে না।এই পাঁচ-সাত বছর আগে ইয়েমেন, মালি, সিরিয়াতে রিবাত / কিতাল পর্ব শুরু হবার আগে এসব দেশের মুজাহিদীনরা এই ইদাদ বা প্রস্তুতি পর্বে কাজ করছিলেন।এই ইদাদ পর্ব ব্যক্তিগতভাবে সকল মুজাহিদ নাও পেতে পারেন। যেমনঃ এদেশে যদি এখন জিহাদের কিতালপর্ব চলতো তাহলে নতুনভাবে জিহাদের পথে কেউ আসলে হয়তো ইদাদ কিংবা রিবাত পর্ব উনি পেতেন না। যদিও ব্যক্তিগতভাবে উনাকে কিছু কিছু বিষয় শিক্ষা করতে হবে।গ) রিবাতঃএটা মূলতঃ উভয় পক্ষ একে অন্যকে ভীত-সন্ত্রস্থ করে রাখার পর্ব। এই পর্বে মুজাহিদীনরা ছোট ছোট অপারেশন শুরু করেন কিন্তু পুরো একটা এলাকা সম্পূর্ণ নিজেদের আয়ত্বে নেয়ার মতো শক্তি তখনো অর্জিত হয় না।এই পর্বে মুজাহিদীনরা নিজেদের ‘ব্যানার’ প্রকাশ করেন। তাদের নির্দিষ্ট সংবাদ প্রকাশক (Spokesman) কাজ করা শুরু করেন। এই পর্বে মুজাহিদীনরা মাঝে মাঝে মিডিয়ায় অডিও-ভিডিও বার্তা পাঠান। তাঁদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বার বার সাধারণ মুসলমানদের কাছে পরিস্কার করতে থাকেন।এই পর্বে মুর্তাদ-কাফিরদের ক্ষতি সাধন করে মুজাহিদীনরা তাদেরকে ভীত-সন্ত্রস্থ করে তুলেন। এটা দেখে সাহসী মুসলমান যুবকরা মুজাহিদীনদের সাথে যোগ দিতে থাকে। আবার মুর্তাদ-কাফির বাহিনীও মুজাহিদীনদের উপর মাঝে মাঝে আক্রমণ চালায়। এটা অনেকটা কিতাল পর্বের জন্য একটা সূচনা পর্বের মতো কাজ করে।পাকিস্তানের শহরাঞ্চলে যে রকম জিহাদ চলছে, এই পর্ব অনেকটা সে রকম। ইরানের মুজাহিদীনদের অবস্থাও এ রকম। ইয়েমেনের মুজাহিদীনরা কিছুদন আগেও (আবইয়ান অঞ্চল দখলে নেবার আগে) এই পর্বে ছিলেন।এ পর্বও সকল মুজাহিদ নাও পেতে পারেন। অনেকে ইদাদ পর্বে শহীদ হয়ে যেতে পারেন। অনেকে কিতাল পর্বে এসে যোগ দিতে পারেন।কিন্তু একটি এলাকার জিহাদকে এই পর্ব অতিক্রম করতে হবে।ঘ) কিতালঃএই পর্বে মুজাহিদীনরা সরাসরি কিছু এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেন। কাফির-মুরতাদ বাহিনীর সাথে অনেক ক্ষেত্রে সম্মুখ যুদ্ধ হয়। অনেক সময় সনাতনধর্মী সামরিক অভিযান চালাতে হয়।সোমালিয়া ও আফগানিস্তানের জিহাদ এখন কিতাল পর্বে রয়েছে বলে আমরা ধারনা করতে পারি।অনেকে মুজাহিদ হয়তো রিবাত কিংবা ইদাদ পর্বে শহীদ হয়ে যেতে পারেন, তাই এই পর্বও সবাই নাও পেতে পারেন।মুলকথাঃ এই পর্বগুলো সামষ্টিকভাবে একটা জিহাদ অতিক্রম করবে।আমরা নিজেরা যে পর্বেই থাকি না কেন, সে পর্বের কাজ সঠিকভাবে আঞ্জাম দেয়া মানেই হলোঃ আমরা জিহাদ ফি সাবিলিল্লাতে ঠিক মতো সামিল আছি। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে কিতাল পর্ব থেকে ইদাদ পর্ব আরো বেশী কষ্টকর হয়, তাই আরো বেশী সওয়াবের অধিকারী হতে পারে। কারণ ইদাদ পর্বে একদল মুজাহিদের প্রস্তুতির কাজ আঞ্জাম দেবার ফলেই কিতাল পর্বে শতশত মুজাহিদীন জিহাদে শরীক হবার সুযোগ পান। অনেকে শহীদ, অনেকে গাজী হবার সুযোগ পান। একটি মসজিদ নির্মানের সাথে জড়িত থাকা যদি সদকায়ে জারিয়া হয়, তাহলে একটি জিহাদের ময়দান প্রস্তুত করার কাজ সদকায়ে জারিয়া হবেনা কেন?অনেকে ইদাদ পর্বের সময়ে প্রস্তুতির কাজকে ‘পিছনে বসে থাকা’ কিংবা ‘জিহাদের পথে না থাকা’ হিসেবে চিন্তা করেন, যা তাদের দূরদর্শীতা ও ইলমের অভাব থেকে তৈরী হয়। আমরা যেন এ রকম মানুষের চিন্তাধারা দ্বারা প্রভাবিত না হই।আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে জিহাদের নামে ‘কিছু একটা’ না করে, সঠিক পদ্ধতিতে জিহাদ করার তৌফিক দান করেন। আল্লাহ যেন আমাদেরকে ‘পিছনে বসে থাকার নিফাকী’ থেকে দূরে রাখেন এবং জিহাদের জন্য ‘তাড়াহুড়া প্রবণতা’ থেকে দূরে রাখেন। তিনি যেন আমাদেরকে এই দুই অবস্থার মধ্যবর্তী সঠিক অবস্থানে থেকে জিহাদ করার তৌফিক দান করেন। একমাত্র তিনিই সকল দোষ-ত্রুটি থেকে পবিত্র। তিনি ছাড়া সঠিক পথ প্রদর্শনকারী আর কেউ নেই।