আপনার যেকোনো লেখা "বা" কথা অনলাইনে প্রকাশ করতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন-Facebook page
বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৬
রেডিও প্রবাসী
আপনার যেকোনো লেখা "বা" কথা অনলাইনে প্রকাশ করতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন-Facebook page
সোমবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৬
সর্বনাশের আগেই ফেসবুকে বন্ধু হতে সাবধান
‘বেশ মিষ্টি লাগছে।’
ফেসবুকে মেসেজটা পেয়ে ভালই লাগল সৃজার। নিশ্চয়ই কিছু ক্ষণ আগে পোস্ট করা ‘সেলফি’র প্রশংসা।
‘লাল জুতোটা দারুণ মানিয়েছে।’
এ বার শিরদাঁড়া দিয়ে একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল। জুতোর কোনও ছবি তো পোস্ট করেনি! মেসেজটা যে পাঠিয়েছে তার সঙ্গে দেখাও হয়নি! তা হলে? ফেসবুকের এই ‘বন্ধু’ কি তাকে ‘ফলো’ করছে? কিন্তু সৃজা কোথায় আছে, সে খবর জানছে কী করে?
সৃজার সন্দেহটা সত্যি প্রমাণ হতে সময় লাগল না। সত্যিই একজন পিছু নিয়েছিল। আর সৃজার হালহদিশ পাচ্ছিল ফেসবুকের লোকেশন থেকে।
‘সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে মেয়েদের ‘স্টক’ করা বা পিছু নেওয়ার অনেক অভিযোগ আমরা পাই।
অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রে ‘স্টক’ করার সমস্যাটা আরও প্রবল। এমনিতেই তো অনেক চোখ তাঁদের দিকে। তার উপর সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থিতি তো এখন তাঁদের কাজেরই একটা অঙ্গ। আমার কাছে তো ফ্যানরাই সব। কিন্তু তাঁদেরও তো বুঝতে হবে সবার একটা স্পেসের দরকার। অনেকে সেটা মানে। অনেকে সেটা মানে না। তখন খুব খারাপ লাগে। ছবি মর্ফ করে বিভিন্ন সাইটে দেওয়ার মতো জঘন্য কাজ তো আছেই। ফেসবুক-ট্যুইটারে বাজে বাজে কমেন্ট। আর এই তো দু’দিন আগে রাত তিনটের সময় একজন পনেরো বার মিসড কল দিল। শেষে বিরক্ত হয়ে কল ব্যাক করাতে বলল, ‘কেমন আছ?’ এটা খুব বিরক্তিকর। আমার তো মনে হয়, যারা এটা করে তারা মানসিক ভাবেই অসুস্থ, বলছিলেন কলকাতার অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।
মানসিক ভাবে ‘স্টকার’রা যে সুস্থ নয়, সে কথা বলছিলেন কলকাতার মনস্তত্ত্ববিদ জয়র়ঞ্জন রাম। তাঁর কাছেও এমন অনেক পেশেন্ট আসে, যারা ভুগছে সেলিব্রিটি ইরোটোম্যানিয়া’য়। বললেন, ট্যুইটার-ফেসবুকের আগে তো সেলিব্রিটিদের এত কাছাকাছি যাওয়ার কোনও প্রশ্ন ছিল না। কিন্তু এখন চাইলেই যে কেউ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে কমিউনিকেট করতে পারেন। আর সেলিব্রিটিরাও তো ফ্যানবেসের সঙ্গে দিব্যি টুইটারে ইন্টার্যাক্ট করেন। এই পেশাদার কথাবার্তাকে অনেক ফ্যান বড় বেশি করে ভেবে ফেলেন। সমস্যা শুরু হয় সেখান থেকে। আমার কাছে এক পেশেন্ট এসেছিল, যে মনে করত তার সঙ্গে এক অভিনেতার ‘কসমিক’ যোগ রয়েছে।
সাইবার স্টকিং যদি একটা দিক হয়, তবে আর একটা দিক হলো ‘সাইবার বুলিং’ বা সাইবার জগতে কারওকে হয়রানি করা। তসলিমা নাসরিন বাস্তব জীবনে যেমন হয়রানির শিকার হয়েছেন নানা সময়ে, তেমনই তাঁকে সম্মুখীন হতে হচ্ছে অনলাইন হয়রানিরও। আমি আর এগুলো নিয়ে তেমন ভাবি না, জানেন। বাস্তবেও তো এমন অনেক হয়রানির শিকার হয়েছি। ডেথ থ্রেট পেয়েছি। ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড তো আর সমাজের বাইরে না। সেখানেই বা পাব না কেন! এই তো ক’দিন আগে আইএস থেকে থ্রেট পেলাম। আমি এখন ঠিক করেছি অচেনা ব্যক্তিদের আর ফেসবুকের লিস্টে রাখব না। নেগেটিভ জিনিসগুলো জীবন থেকে বাদ দিলেই আসলে সমস্যার অর্ধেক সমাধান হয়ে যায়, ফোনে বলছিলেন লেখিকা।
পুলিশও কিন্তু সেটাই বলছে। আইন যতই থাক, নিজের সাবধানতাই সবার আগে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এ রকম ঘটনা ঘটে সচেতনতার অভাবে। একটা কথা মনে রাখা দরকার, ভার্চুয়াল জগতের কাউকে বিশ্বাস করা উচিত নয়। আপনি তো শুধু তার ছবি দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু সেই প্রোফাইল পিকচারের আড়ালে আসলে যে কে আছে, জানছেন কী করে? সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে কখনওই নিজের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না। নিজের প্রধান মেল আইডি, ফোন নম্বর না দিতে পারলেই ভাল হয়। আর পরিচিত ব্যক্তি ছাড়া ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করবেন না, জানান কলকাতার পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) দেবাশিস বড়াল।
‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র গান ছিল না, ‘হাত বাড়ালে বন্ধু পাওয়া যায় না/ বাড়ালে হাত বন্ধু সবাই হয় না।’ গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের কথাটা কিন্তু ‘ভার্চুয়াল’ জগতের ক্ষেত্রেও সত্যি। সাবধান। ফ্রেন্ডলিস্টে ফের একবার চোখ বুলিয়ে নেবেন নাকি!
স্প্রে করলেই হাতের মুঠোয় প্রেমিকা!
বশীকরণ বা জাদুটোনা নয়। এমনকী, মধ্যযুগের ইউরোপের ‘লাভ-পোশন’ও নয়। এটি নেহাতই নিরীহ একটি নেজাল-স্প্রে। আর এর গন্ধেই কুপোকাত হয়ে যেতে পারেন বড় বড় সুন্দরী।
জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন এই বিশেষ নেজাল স্প্রে অক্সিটোসিন হরমোনের এক কৃত্রিম রূপান্তর। এই হরমোনকে সাধারণত ‘লাভ হরমোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। মানুযের প্রেমে পড়ার প্রবৃত্তির মূলে নাকি কাজ করে থাকে এই হরমোনটিই।
এই নেজাল-স্প্রে পরীক্ষামূলকভাবে ৪৬ জন নারীর ওপরে প্রয়োগ করে দেখা গিয়েছে, তাঁরা তাঁদের পুরুষ সঙ্গীর প্রতি তীব্র প্রেম অনুভব করেছেন। এই নারীদের বয়স ২০-র কোঠায়।
কিন্তু সমস্যা অন্যত্র। যে সব নারী জন্মনিয়ন্ত্রক পিল ব্যবহার করেন, তাঁদের ওপরে কোনও প্রভাবই ফেলেনি এই স্প্রে। অতএব, সাধু সাবধান!
পুকুরে গলদা চিংড়ি ও মাছের মিশ্রচাষ
গলদা চিংড়ি
বাংলাদেশের কৃষিনির্ভর অর্থনীতিতে মৎস্য সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। জাতীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং সর্বোপরি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মৎস্য খাতের অবদান সমপ্রসারিত করার সুযোগ আরও ব্যাপক। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তথা রফতানি বাণিজ্যে মৎস্য খাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে চিংড়ি। কেননা গলদা চিংড়ি বর্তমানে দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। বিশ্বব্যাপী গলদা চিংড়ির ক্রমবর্ধমান চাহিদা, স্বাদ এবং মূল্যের কারণে বাংলাদেশে এর চাষ দ্রুত সমপ্রসারিত হচ্ছে। এদেশে ৩৬ প্রজাতির সামুদ্রিক ও ২৪ প্রজাতির মিঠা পানির চিংড়ি রয়েছে। লবণাক্ততার কারণে সামুদ্রিক চিংড়ি দেশের উপকূলীয় এলাকা ছাড়া অন্যত্র চাষ করা যায় না। কিন্তু মিঠা পানির চিংড়ি দেশের সব জায়গায় চাষ করা সম্ভব, এমনকি অল্প লবণাক্ত পানিতেও মিঠা পানির চিংড়ি চাষ করা যায়। মিঠা পানির সর্ববৃহৎ চিংড়ি প্রজাতি হচ্ছে গলদা চিংড়ি। আমাদের দেশে আবহাওয়া ও পানির গুণগতমান গলদা চিংড়ি চাষের জন্য খুবই উপযোগী। গলদা চিংড়ির চাষ বৃদ্ধি পেলে যেমন কর্মসংস্থান ও আমিষের যোগান বাড়বে তেমনি বৈদেশিক মুদ্রার আয় ও অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু কার্প জাতীয় এবং অন্যান্য মাছ থেকে চিংড়ির জীবনযাপন ও চাষ পদ্ধতি ভিন্ন হওয়ায় চিংড়ি চাষের জন্য কৃষকদের কারিগরি জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। এজন্য অনেক মৎস্য চাষি চিংড়ি চাষে সফলতা অর্জন করতে পারে না।
গলদা চিংড়ি ও মাছের মিশ্র চাষের সুবিধা :
১. গলদা চিংড়ি মিশ্রচাষে খাদ্য এবং বাসস্থানের জন্য মাছ ও চিংড়ি কেউ কারও প্রতিযোগিতা করে না।
২. পুকুরে প্রতিটি স্তরের খাদ্যের যথাযথ ব্যবহার হয়।
৩. চিংড়ির বাজার দর বেশি হওয়ায় তুলনামুলকভাবে কার্প জাতীয় মাছের সাথে মিশ্রচাষ অধিক লাভজনক।
৪. গলদা চিংড়ির মিশ্রচাষে প্লাংকটনের আধিক্যের জন্য পানির গুণগতমান নষ্ট হয় না।
মিশ্র চাষের জন্য পুকুর তৈরি:
গলদা চিংড়ি চাষের জন্য পুকুর তৈরির সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে:
১. খামারে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি নিষ্কাশন ও সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।
২. পুকুর পাড়ের আবেষ্টনী বন্যার পানির সর্বোচ্চ উচ্চতা হতে প্রায় দেড় ফুট উঁচু হতে হবে, মাথা চওড়া এবং ঢাল এঁটেল অথবা দো-আঁশ হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে কাঁকড়া, ইঁদুর বা অন্যান্য প্রাণী দ্বারা গর্ত করতে না পারে।
৩. সূর্যের আলো কমপক্ষে ৮ ঘন্টা থাকতে হবে। কেননা আলো ছাড়া পানিতে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরি হয় না। খোলামেলাভাবে বাতাস চলাচল না করলে অক্সিজেনের অভাব হবে এবং গলদা ও মাছের রোগ আক্রমণের আশংকা বেড়ে যাবে।
৪. পাড়ের নিচে বকচর থাকলে পাড় কম ভাঙ্গবে, বকচরের উপর খাদ্য দেয়া যাবে, বকচরের উপর দাঁড়িয়ে হররা ও জাল টানা সহজ হবে।
৫. পানির সুব্যবস্থার জন্য মটর কিংবা শেলো মেশিনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. পুকুরের তলদেশ সমান হলে জাল টানা ও মাছ ধরা সহজ হবে।
৭. জলাশয়ে পানির গভীরতা ৩ থেকে ৪ ফুট হবে এবং বেশি গভীর হলে উৎপাদন কমে যাবে।
৮.পানির আগমন ও নির্গমন মুখে অবশ্যই প্রতিবন্ধক স্থাপন করতে হবে।
৯. ভাল উৎপাদন পাওয়ার জন্য আগাছা পরিষ্কার করা আবশ্যক।
১০. অবাঞ্চিত কিছু যাতে না থাকে তার জন্য পুকুর শুকিয়ে এবং বিষ প্রয়োগ যেমন, রোটেনন পাউডার, চা বীজের খৈল, ক্যালসিয়াম কারবাইড ইত্যাদি ব্যবহার করে দূর করতে হবে।
১১. চুন প্রয়োগ করে মাটি ও পানির অম্লত্ব নিরপেক্ষ রাখতে হবে।
১২. পরিমিত মাত্রায় সার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
১৩. প্রাকৃতিক খাদ্য পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
১৪. পানির বিষাক্ততা পরীক্ষা করতে হবে।
১৫. খোলস বদলের সময় আশ্রয়স্থল স্থাপন করতে হবে।
গলদা চিংড়ি উৎপাদনে পানির সবচেয়ে উপযুক্ত গুণাগুণগুলো হলঃ তাপমাত্রা ২৫-৩১ ডিগ্রী সে. দ্রবীভূত অক্সিজেন ৫ পিপিএম তর্দুধ্ব, লবণাক্ততা ০-৮ পিপিটি, সামগ্রিক ক্ষারত্ব ১০০-১৬০ পিপিএম, সমাগ্রিক খরতা ১০০ পিপিএম এর নিচে, আন-আয়োনাইজড এ্যামোনিয়া ০.০১ পিপিএম এর কম, হাইড্রোজেন সালফাইডের অনুপস্থিতি এবং লৌহ ১ পিপিএম এর কম।
গলদার খাদ্য উপাদান:
গলদা চিংড়ির সম্পূরক খাদ্য তৈরির জন্য খাদ্যোপাদান এমনভাবে বাছাই করতে হবে যাতে সেগুলোতে আমিষ, স্নেহ, শর্করা, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ প্রয়োজনীয় পরিমাণে বিদ্যমান থাকে। গলদা চিংড়ির খাদ্য তৈরিতে সচরাচর ব্যবহারযোগ্য উপাদানগুলো হল : ফিশ মিল, রেশমকীট মিল, চিংড়ির গুঁড়া, শামুকের মাংস, কাঁকড়ার গুঁড়া, সয়াবিন খৈল, সরিষার খৈল, ভুট্রা, চালের কুঁড়া, গমের ভুষি, আটা, চিটাগুড়, ভিটামিন ও খনিজ মিশ্রণ ইত্যাদি।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক বলেন, রুই জাতীয় ও অন্যান্য মাছ থেকে চিংড়ির জীবনযাপন ও চাষ পদ্ধতি ভিন্ন হওয়ায় চিংড়ি চাষে চাষিদের পর্যাপ্ত কারিগরি জ্ঞানের অভাবে অনেকে চিংড়ি চাষে লাভবান হতে পারে না। ফলে তারা চিংড়ি চাষে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। তাই পুকুরে গলদা ও মাছের মিশ্রচাষ সম্পর্কিত লেখাটি মৎস্য চাষিভাইদের সহযোগী হবে বলে আশা করি এবং এভাবে পুকুরে গলদা চিংড়ি ও মাছের মিশ্রচাষ অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে বিশ্বাস করি।
রবিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৬
ঘুম যদি কম হয়
কারও হয়তো রাতে ভালো ঘুম হয় না। কেউ সারা রাত জেগে কাজ করেন বা ফেসবুক নিয়ে থাকেন। কেউ অনেক রাত জেগে টিভি দেখেন। কারও কারও হয়তো পেশাগত কাজটাই রাতে। দিনের পর দিন এ রকম ঘুমের স্বল্পতা আপনার ক্ষতি করতে পারে। ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় নির্ঘুমতা আপনার শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা তৈরি করতে পারে।
ঘুম অবশ্য নির্ভর করে বয়স, কাজের ধরন ইত্যাদির ওপর। যেমন ছোট শিশুরা দিনে ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টা ঘুমায়। কিশোর-তরুণদের দিনে সাড়ে আট থেকে সাড়ে নয় ঘণ্টা ঘুমানো দরকার। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। সর্বনিম্ন ছয় ঘণ্টা বা সর্বোচ্চ ১০ ঘণ্টা হতে পারে এই সময়।
এখন দিনের পর দিন এই ঘুমের সময়টা ওলটপালট হলে তার প্রভাব পড়ে দেহ-মনে। ধারাবাহিক ঘুমের স্বল্পতা মানুষের স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দেয়, বিষণ্নতায় আক্রান্ত করে। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে। ঘুমস্বল্পতা চলতে থাকলে ব্যথা-বেদনার অনুভূতিতে পরিবর্তন আসে। ফলে অল্পতে বেশি ব্যথা হয়। প্রভাব পড়ে হৃদ্যন্ত্রের সুস্থতায়ও। দৈনন্দিন কাজেও মনোযোগ কমে গিয়ে দক্ষতার ওপর প্রভাব ফেলে। তাই কম ঘুমিয়ে রাত কাটানো বন্ধ করুন।
ডা. আ ফ ম হেলালউদ্দিন
মেডিসিন বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ
প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ইসবগুলের ভুসি কতক্ষণ ভিজিয়ে রেখে খাওয়া উচিত?
উত্তর: কোষ্ঠকাঠিন্যে ইসবগুলের ভুসি-জাতীয় খাবারের উপকারিতা হচ্ছে এগুলো উচ্চ আঁশযুক্ত, তাই অন্ত্রে হজম হয় না এবং মলত্যাগ করতে সাহায্য করে। সবচেয়ে বেশি উপকার পেতে ভিজিয়ে না রেখে পানিতে গুলে সঙ্গে সঙ্গেই পান করা ভালো।
আখতারুন নাহার
প্রধান পুষ্টিবিদ, বারডেম হাসপাতাল
স্বাস্থ্যবটিকা ® ব্রোন স্মিথ
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাতের জোর কতটা কমে?
৬৫ বছর বয়সের শুরুতে নারীদের হাতের শক্তি বছরে ২ দশমিক ৪ শতাংশ হারে কমে। আর পুরুষেরা এই সামর্থ্য হারান ৩ থেকে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। বয়স ৮০ পেরোলে হাতের শক্তি আরও দ্রুত কমতে থাকে। মুঠোর দৃঢ়তা বজায় রাখতে কিছু ব্যায়াম করা যেতে পারে।
তুমি এটা খুলে দেবে?
দুঃখিত, আমি ৬৫ পেরিয়ে গেছি
‘স্বাস্থ্যবটিকা’র লক্ষ্য রোগনির্ণয় গোছের কিছু নয়
সাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর ২৭টি পেশার তালিকা
কিছু পেশা আছে যা স্বাস্থ্যহানিকর। চাহিদাসম্পন্ন কিছু পেশা রয়েছে এ তালিকায়। এসব কাজের আড়ালে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে চলেছে। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব লেবার ডেটাবেজ এমন অস্বাস্থকর পেশার তালিকা তৈরি করেছে। কি কি ক্ষতি হচ্ছে এবং এর মাত্রা অনুযায়ী পেশাগুলোর স্কোর করা হয়েছে। যে পেশা যত ক্ষতিকর, শূন্য থেকে ১০০ পয়েন্টের স্কেলে তার স্কোর তত বেশি। এখানে জেনে নিন সবচেয়ে ক্ষতিকর ২৭টি পেশার কথা।
২৭-২৪. সমানভাবে ক্ষতিকর তিনটি পেশা একই অবস্থানে রয়েছে। এদের একটি রেডিওলজিস্ট, যারা এক্স-রে ও অন্যান্য রেডিওঅ্যাকটিভ যন্ত্রপাতি চালনা করেন। একই অবস্থানে আছেন মেটাল রিফাইনিং ফার্নেস অপারেটর। এরা ধাতব পদার্থ গলানো এবং ফার্নেসের কাজ করেন। তৃতীয়টি হলো এমবালমারস। এরা সৎকারের আগে মৃতদেহকে প্রস্তুত করে। অস্বাস্থ্যকর স্কেলে এর স্কোর ৫২.৮।
২৩. নিউক্লিয়ার মেডিসিন টেকনোলজিস্ট তেজস্ক্রিয় রশ্মির যন্ত্রপানি পরিচালনা করেন। অস্বাস্থ্যকর স্কেলে এর স্কোর ৫৩.০।
২২. রেফ্রিজারেশন মেকানিস এবং ইন্সটলার যারা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও কমার্শিয়াল রেফ্রিজারেশন সিস্টেম তৈরি ও মেরামতের কাজ করেন। অস্বাস্থ্যকর স্কেলে এর স্কোর ৫৩.৩।
২১. করোনারি কেয়ার ইউনিটসহ জরুরি রোগীর সেবায় নিয়োজিত সেবিকা পেশা আছে এ অবস্থানে। অস্বাস্থ্যকর স্কেলে এর স্কোর ৫৩.৫।
২০-১৭. চারটি পেশা রয়েছে একই অবস্থানে। একটি তেল, গ্যাস ও মাইনিং সাইটে কর্মরত সার্ভিস অপারেটর। দ্বিতীয় পেশা রাসায়নিক কারখানার অপারেটররা। দুটো ক্ষেত্রেই অস্বাস্থ্যকর স্কেলে স্কোর ৫৩.৭। তৃতীয়টি ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান ও প্যারামেডিকস যারা আঘাতপ্রাপ্ত বা অন্যান্য জরুরি অবস্থার রোগীর চিকিৎসা দেন। চতুর্থটি হলো খনিতে কাজ করা মেশিন অপারেটর। অস্বাস্থ্যকর স্কেলে এ দুটো পেশার স্কোর ৫৪.০।
১৬. রিফ্র্যাকটোরি ম্যাটেরিয়ালস রিপেয়ারস। এরা ফার্নেসেস, কিলনস, কুপোলাস, বয়লারস ইত্যাদি তৈরি ও মেরামত করেন। অস্বাস্থ্যকর স্কেলে এর স্কোর ৫৪.৮।
১৫. অব্যবহৃদ মালামাল বা অন্যান্য উপকরণ যার সংগ্রহ করেন এবং এসব নিয়ে কাজ করেন। অস্বাস্থ্যকর স্কেলে এর স্কোর ৫৫.০।
১৪. নিউক্লিয়ার শক্তি উৎপাদনে কর্মরত প্রকৌশলীরা আছেন এ অবস্থানে। অস্বাস্থ্যকর স্কেলে এর স্কোর ৫৫.২।
১৩-১২. একই অবস্থানে দুটো পেশা। একটি মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট প্রস্তুত ও মেরামতের কাজ। অন্যটি বিমানের পাইলট, কো-পাইলট এবং ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার। উভয় ক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর স্কেলে স্কোর ৫৫.৭।
১১. তেল ও গ্যাস ফিল্ডের ডেরিক অপারেটর। যারা উত্তোলন যন্ত্র পরিচালনার কাজ করেন। অস্বাস্থ্যকর স্কেলে স্কোর ৫৬.০।
১০. এ অবস্থানে আছে সার্জিক্যাল অ্যান্ড মেডিক্যাল অ্যাসিসটেন্ট, টেকনলজিস্ট এবং টেকনিশিয়ানের কাজ। এরা অস্ত্রপচারে সাহায্য করেন এবং ল্যাবরেটরিতে নানা ধরনের টেস্ট করে থাকেন। স্বাস্থ্যের জন্যে মারাত্মক ৩টি হুমকি হলো, রোগ এবং জীবাণুর মাঝে কাজ করা, দূষণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে থাকা। ক্ষতির মাত্রায় এর স্কোর ৫৭.৩।
৯. স্টেশনারি পণ্য কারখানার প্রকৌশলী এবং বয়লার অপারেটররা আছেন নবম অবস্থানে। এরা স্টেশনারি ইঞ্জিন, বয়লার এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি ঠিকঠাক রাখেন এবং বিভিন্ন রাসায়নিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। ক্ষতিকর ৩টি স্বাস্থ্যঝুঁকি হলো, দূষিত পরিবেশে অবস্থান করা, বিপজ্জনক পরিবেশ এবং হালকা বা মারাত্মক পোড়া, কাটা বা অন্যান্য আঘাত। এর মোট স্কোর ৫৭.৭।
৮. পানি এবং দূষিত পানি পরিশোধনাগারে অপারেটররা ক্ষতিকর পেশার অষ্টমে আছেন। এ পেশার মানুষগুলো পানি পরিশোধনাগারের যন্ত্রপাতি নিয়ন্ত্রণ করেন। সেরা ৩টি হুমকি হলো রোগ সংক্রমণের পরিবেশে কাজ করা, বিপজ্জনক পরিবেশ এবং হালকা বা ভারী পোড়া, কাটা এবং ছড়ে যাওয়া। বিপজ্জনকমাত্রার মোট স্কোর ৫৮.২।
৭. হিস্টোটেকনলজিস্ট এবং এ কাজের প্রযুক্তিবিদরা আরো ক্ষতিকর পেশায় রয়েছেন। এরা বিপজ্জনক পরিবেশ, সংক্রমণের সম্ভাবনা এবং রোগ-জীবাণুর মধ্যে কাজ করেন। ক্ষতিরমাত্রার স্কোর ৫৯.০।
৬. ইমিগ্রেশন ও কাস্টম অপারেটররা আছে ক্ষতিকর তালিকার ষষ্ঠ অবস্থানে। এরা মানুষ, পণ্যবাহী ট্রলি, পণ্য পরীক্ষা করাসহ নানা কাজ করে থাকেন। বিপজ্জনক কর্মপরিবেশ, রোগ-জীবাণুর সংস্পর্শ এবং রেডিয়েশনের মাঝে কাজ করেন। মোট স্কোর ৫৯.৩।
৫. পডিয়াট্রিস্টরা আছে দারুণ স্বাস্থ্যঝুঁকির মাধ্যমে। এরা মানুষের পায় সংশ্লিষ্ট রোগ পরীক্ষা, সার্জারি ইত্যাদি কাজ করেন। এরা সংক্রমণের সম্ভাবনাময় পরিবেশ, রেডিয়েশন এবং দূষিত পরিবেশে থাকেন। এর মোট স্কোর ৬০.২।
৪. পশু চিকিৎসক এবং এ কাজে সংশ্লিষ্টরা আছেন দারুণ ঝুঁকিতে। এরা পশুর রোগ নির্ণয়, গবেষণা, চিকিৎসা এবং গবেষণাগারে কাজ করেন। যেকোনো রোগ-জীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনাসহ পোড়া, কাটা, কামড় ইত্যাদি ঝুঁকিতে থাকেন। ক্ষতির মাত্রায় এ পেশার স্কোর ৬০.৩।
৩. অ্যানেসথেশিয়ার সঙ্গে জড়িত চিকিৎসক, নার্স এবং সহকারীদের কাজ আরো বেশি ঝুঁকির। এরা রোগ-জীবাণুপূর্ণ পরিবেশ, সংক্রমণ এবং রেডিয়েশনের মধ্যে কাজ করেন। ক্ষতির স্কোর ৬২.৩।
২. ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা আছেন সবচেয়ে ক্ষতিকর পেশার দুই নম্বরে। তারা বিমানের যাত্রীদের নিরাপত্তা, সেবা ইত্যাদি দেখাশোনা করেন। ঝুঁকিপূর্ণ কর্মপরিবেশ, রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ এবং পোড়া, কাটা ও মানসিক যন্ত্রণা দারুণ অস্বাস্থ্যকর। এ পেশার মোট স্কোর ৬২.৩। এ পেশার ক্ষতির মাত্রা অ্যানেসথেশিয়োলজিস্টদের মতো হলেও ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের স্বাস্থ্যঝুঁকি অপেক্ষকৃত বেশি।
১. এ তালিকায় সবচেয়ে অস্বাস্থ্যকর পেশাখাত বলে চিহ্নিত হয়েছে দন্তচিকিৎসা। দাঁতের চিকিৎসক, সার্জন এবং অ্যাসিসটেন্টরা আছে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে। এরা সংক্রমণে ভরপুর পরিবেশ, রোগ ও জীবাণুর মধ্যে কাজ করা এবং বহু সময় বসে থেকে কাজ করেন। ক্ষতির মাত্রায় এ পেশার স্কোর ৬৫.৪। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার
শনিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৬
ভারতে পাচারকালে ৩১৮টি ছাগলের চামড়া জব্দ
বেনাপোল, যশোর: জেলার বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ৩১৮টি ছাগলের চামড়া জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। তবে এসময় কোনো পাচারকারীকে আটক করতে পারেনি তারা।
শনিবার সকাল ৭টার দিকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বেনাপোলের দৌলতপুর মাঠ থেকে চামড়াগুলো জব্দ করা হয়।
বিজিবি জানায়, পাচারকারীরা সীমান্ত পথে চামড়ার একটি চালান ভারতে পাচার করবে বলে খবর পেয়ে শুক্রবার রাত থেকে সীমান্তে টহল জোরদার করে বিজিবি। সকালে কয়েক যুবককে মাথায় বস্তা নিয়ে ভারতের দিকে যেতে দেখে ধাওয়া করলে তারা ছয়টি বস্তা ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বস্তাগুলোর ভেতরে ৩১৮টি ছাগলের চামড়া পাওয়া যায়। যার দাম প্রায় চার লাখ টাকা।
২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দৌলতপুর ক্যাম্পের সুবেদার সামছুল হক ব্রেকিংনিউজকে জানান, ‘জব্দকৃত চামড়াগুলো বেনাপোল কাস্টমস আটক শাখায় জমা দেওয়া হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৬
জিহাদ করতে ইচ্ছুক এমন ভাইদের জন্য লেখা
ইউটিউব থেকে আয় করার ৫ টি উপায়
বেশিরভাগ মানুষ ইউটিউব ব্যাবহার করে সম্পূর্ণ মজার খোঁড়াক হিসেবে। কেউ ব্যাবহার করে নিজের বিভিন্ন ক্রিয়েটিভিটি প্রদর্শন করে রাতারাতি খ্যাতি পাওয়ার জন্য আবার কেউ এটি ব্যাবহার করে নিজের এবং বন্ধুবান্ধবদের একান্ত কিছু স্মৃতি ধরে রাখার জন্য সারাজীবন। কিংবা কেউ হয়তো বিদেশে থাকা প্রিয়জনের কাছে নিজেদের বিশেষ আয়োজন বা মুহূর্ত পৌঁছে দেয় ইউটিউব এ আপলোড করা একটি ভিডিও এর মাধ্যমে।
কিন্তু যেসকল মানুষ প্রতিনিয়ত ইউটিউব ব্যাবহার করে শুধু শখের বসে তারা জানেই না যে আপনার আপলোড করা এই ভিডিও গুলো অনায়াসে হতে পারে আপনার আয়ের উৎস। খুব সহজ সাধারন কিছু নিয়ম অনুসরন করে অনলাইনের আয়ের যেকোনো ক্ষেত্র থেকে অনেক দ্রুত আয় করা যায় ইউটিউব থেকে। শুধু জানতে হয় আয়ের সঠিক পথ। তো চলুন দেখে নেই কি কি ভাবে আপনি ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন –
ইউটিউব থেকে আয় করার ১১ টি উপায়
১. ইউটিউব থেকে আয় করুন অ্যাডসেন্স দিয়ে
ইউটিউব থেকে আয় করুন অ্যাডসেন্স দিয়েএটাই ইউটিউব থেকে আয় করার সবথেকে জনপ্রিয় এবং বড় মাধ্যম। আমরা সকলেই জানি যে ইউটিউব হচ্ছে গুগল এর একটি সেবা। আবার গুগল অ্যাডসেন্স ও গুগলের। তাই ইউটিউব এর ব্যাপারে গুগলের প্রাধান্য অনেক। এমনকি আপনি মাত্র কয়েকটা ছোট ছোট ভিডিও দিয়েই একটি অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট এপ্রুভ করাতে পারবেন। আর সবথেকে মজার ব্যাপার হচ্ছে অ্যাডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার জন্য ইউটিউব হচ্ছে অন্যতম সহজ একটি পদ্ধতি। সেরা আর্নাররা শুধুমাত্র ইউটিউব অ্যাডসেন্স ব্যাবহার করে মাসে কয়েক লক্ষ ডলার পর্যন্ত আয় করে থেকে!
২. নিজের পণ্য বিক্রি করে
ইউটিউব থেকে আয় করুন নিজের পণ্য বিক্রি করেধরুন আপনার নিজের একটা ফ্যাশন হাউজ আছে। এখন আপনি যদি নতুন ফ্যাশন ট্রেন্ডজ সম্পর্কে কিছু ভিডিও তৈরি করেন এবং সাথে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে কিছুটা রিভিও যুক্ত করে আপলোড করেন তবে ইউটিউব হতে পারে আপনার নিজের পণ্য মার্কেটিং এর সবথেকে বড় মাধ্যম। এখন আপনি বলতে পারেন যে এভাবে কত জনই বা কিনতে পারে। কিন্তু আপনি জানেন কি ইউটিউব এ আপনি কি পরিমান ভিসিটর পেতে পারেন? যেকোনো বিষয়ের উপর ভিডিও গুলোর ভিউ থেকে আপনি সহজেই তা বুজতে পারবেন। আর সবথেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে ওয়েব সার্চ এর তাবৎ ক্রয়যোগ্য (অর্থাৎ যে কীওয়ার্ড গুলো দিয়ে মানুষ কোন প্রোডাক্ট কিনার জন্যই সার্চ করে) সার্চের বেশিরভাগটাই ইউটিউবে হয়। মানে কেউ কোন পণ্য কিনার জন্য মন স্থির করলে সেই পণ্য সম্পর্কে জানতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইউটিউব ভিডিওই দেখে থাকে।
৩. এফিলিয়েট প্রোডাক্ট এর রিভিউ করে
ইউটিউব থেকে আয় করুন এফিলিয়েট করেএটি ইউটিউব ব্যাবহারের আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম। এই ক্ষেত্রে মানুষ আমাজন বা অন্য কোন এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক এর পণ্যের এফিলিয়েশন করে থাকে। সাধারনত নিজের এফিলিয়েট লিঙ্ক ভিডিও এর ডেসক্রিপশনে দিয়ে দেওয়া হয় এবং ভিডিও তে সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে রিভিও প্রদান করা হয়। সেই ভিডিও থাকাকালীন কেউ যদি ঐ লিঙ্কের মাধ্যমে গিয়ে কোন পণ্য ক্রয় করে থাকে তবে এফিলিয়েটর কমিশন পায়। এইভাবে এফিলিয়েশন করলে খুবই কম খরচে বা বিনা খরচে আপনি সহজেই মাস গেলে অনেক টাকা কামিয়ে নিতে পারবেন।
৪. ইউটিউব এর পার্টনার হোন
ইউটিউব থেকে আয় করুন পার্টনার হয়েবর্তমানে পৃথিবী ব্যাপী প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি ইউটিউব পার্টনার আছেন। পার্টনাররা ভাড়ার ভিত্তিতে ভিডিও অভারলেয় করে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে এবং আয় ইউটিউব এর সাথে ভাগাভাগি করে নেয়। তাদেরদে অনেক সময় ব্রান্ডদের এন্টারটেইনার বা ভিডিও মার্কেটার হিসেবে হায়ার করাও হয়ে থাকে। অনেক সময় একটা ব্রান্ডের জন্য বিশেষ ভিডিও তৈরি করেও এরা অনেক টাকা উপার্জন করে।
৫. আপনার ভিডিওর ডেসক্রিপশনে লিঙ্ক বিক্রি করুন
ইউটিউব থেকে আয় করুন লিঙ্ক বিক্রি করেএটা অনেক মজার একটা আয়। ধরুন যেকোনো বিষয়ের উপর আপনার একটা ভিডিও ইউটিউব এ প্রথম দিকে আছে। এই মুহূর্তে এই ধরনের প্রোডাক্ট যাদের আছে আপনি চাইলেই তাদের কাছে এককালীন অথবা দীর্ঘমেয়াদী শর্তে একটা লিঙ্ক বিক্রি করতে পারেন যা আপনার ভিডিও এর ডেসক্রিপশনে থাকবে। কয়েকটা ভিডিও তে এসইও করেই আপনি এইভাবে লিঙ্ক বিক্রি শুরু করতে পারেন।
তবে এই ক্ষেত্রে ভিডিও তে অবশ্যই ভালো মানের ভিসিটর থাকতে হবে আর এভাবে লিঙ্ক দিয়ে আপনি আপনার নিজের ওয়েবসাইট বা ওয়েব ব্লগেও প্রচুর পরিমান ট্রাফিক আনতে পারেন।
এইধরনের আরও বেশ কিছু উপায় আছে ইউটিউব থেকে আয় করার। তবে সবথেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে কাজ করার মানসিকতা। নিয়মিত কাজ করলে যেকোন উপায়েই আপনি আয় করতে পারবেন। কিংবা আপনি নিজেও আরও আরও উপায় খুজে পাবেন আয় করার।